পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিইউপির সাবেক ভিসির অভিজ্ঞতা বিনিময়

শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, দায়িত্ববোধ এবং নৈতিক মূল্যবোধের মধ্যে জীবন গড়ে তুলতে হবে তবেই আলোকিত সমাজ গড়ে তোলা যাবে। সোমবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে একথা বলেন চিফ অব জেনারেল স্টাফ আর্মি হেডকোয়ার্টার্স ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের সাবেক উপাচার্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান।
পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এজন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষা মানুষকে আলোকিত করে, তথ্য মানুষকে সমৃদ্ধ করে। বিহঙ্গের মতো নিজেকে মেলে ধরতে হবে। সবার মধ্যে অগ্নির শক্তি আছে। সেই শক্তিটাকে জানতে হবে। কীভাবে এই আলো জ্বালাব সেটা বুঝতে হবে- জানতে হবে। মনকে বিকশিত করতে হবে। দায়িত্ববান, সময়ানুবর্তী হতে হবে।
সোমবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর সাবেক উপাচার্য হিসেবে তার সফলতার প্রশাসনিক, একাডেমিক এবং শৃঙ্খলাবোধের অভিজ্ঞতা শিক্ষক-শিক্ষার্থী মাঝে তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, ২০২০ সালের ৫ মার্চ তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পরপর করোনার কারণে দেশে লকডাউন দেওয়া হলে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেন।
লকডাউন শুরুর ৫ দিনের মধ্যেই সবার প্রচেষ্টায় ক্লাস ও পরে পরীক্ষা শুরু করা হয়। এর ফলে কোনো সেশনজট হয়নি। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের পাশে নানা সহায়তা নিয়ে দাঁড়ায় বলেও জানান তিনি। বিইউপির শিক্ষার্থীরা দায়িত্বশীল, শৃঙ্খলাবোধ সম্পন্ন, শিক্ষকরা যোগ্য। তারা সময় মেনে চলেন। ফলে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা দায়িত্ববোধের সঙ্গে জীবন গড়ে তোলেন।
তিনি আরও বলেন, একজন শিশু যাতে শৃঙ্খলার মধ্যে সুন্দরভাবে বেড়ে উঠে, সেই পরিবেশ আমাদের সৃষ্টি করতে হবে। মূল্যবোধ সম্পন্ন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হবে। মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ পরিবার দেশ জাতিকে এগিয়ে নিতে পারে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, সমাজকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সম্পদ খুঁজে বের করতে হবে। ভিতরের আলোর প্রজ্বলন ঘটাতে হবে। নতুন নতুন ভাবনা তৈরি করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কে এম সালাহ উদ্দীন।
Comments