আর্ট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ!

এমন যদি হয় আপনি ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে গিয়েছেন দেশের বাইরে একটা জমকালো স্টেডিয়ামে। ব্রাজিল অথবা আর্জেন্টিনার খেলা দেখতে আর গিয়ে আবিষ্কার করলেন, বিপক্ষ দল হিসেবে খেলছে বাংলাদেশ। আপনার অনুভূতি কেমন হবে?
ডকুমেন্টা’১৫ এ বৃত্ত আর্টস ট্রাস্টের কাজ প্রদর্শিত হয়েছে। ছবি: ইউনিভার্সেস ডট আর্ট থেকে নেওয়া

এমন যদি হয় আপনি ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে গিয়েছেন দেশের বাইরে একটা জমকালো স্টেডিয়ামে। ব্রাজিল অথবা আর্জেন্টিনার খেলা দেখতে আর গিয়ে আবিষ্কার করলেন, বিপক্ষ দল হিসেবে খেলছে বাংলাদেশ। আপনার অনুভূতি কেমন হবে?

ঠিক একইরকম অনুভূতি আমার হয়েছে এবার জার্মানির ক্যাসেল শহরে ডকুমেন্টা'১৫ এ গিয়ে। এবার ডকুমেন্টার প্রধান ভেন্যুর একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনী 'ডকুমেন্টা হালে' বাংলাদেশের বৃত্ত আর্টস ট্রাস্টের কাজ প্রদর্শিত হচ্ছে।

তার আগে ছোট করে একটু বলতে চাচ্ছি, ডকুমেন্টা আসলে কী?

শিল্প প্রদর্শনীতে যতগুলো বড় বড় নামকরা প্রদর্শনী পৃথিবীতে আছে (যেমন- ইতালির ভেনিস শহরে ভেনিস বিয়ানন্যালে) তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডকুমেন্টা। ডকুমেন্টা সমসাময়িক বা কনটেম্পোরারি আর্ট নিয়ে কাজ করে। যেখানে মূলত বৈশ্বিক প্রভাব, সংস্কৃতির বৈচিত্র্য ও প্রযুক্তির উন্নয়ন দিয়ে বিভিন্ন চিন্তা প্রকাশ করা হয়।

১৯৫৫ সালে আর্টের শিক্ষক ও ডিজাইনার আর্নল্ড বোঁদে ডকুমেন্টার প্রচলন করেন। একে ১০০ দিনের মিউজিয়ামও বলা হয়ে থাকে। কেননা, এই প্রদর্শনী ১০০ দিন ধরে চলে। জার্মানির ক্যাসেল শহরে প্রতি ৫ বছর পর পর এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। আর এ জন্যই ডকুমেন্টাকে বলেছি আর্টের বিশ্বকাপ।

বিগত প্রদর্শনীগুলোতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ১০ লাখ মানুষ এই প্রদর্শনী দেখতে এসেছেন। এই সিজনে ডকুমেন্টা বাংলাদেশের বৃত্ত আর্টস ট্রাস্টকে নির্বাচন করেছে প্রদর্শনীর জন্য।

বলে রাখা ভালো, ডকুমেন্টাতে নির্বাচিত হওয়ার জন্য আবেদন করার প্রয়োজন হয় না বরং প্রত্যেকবারের আর্টের কিউরেটর বিভিন্ন দেশ থেকে আর্টিস্ট অথবা তাদের তৈরি সংঘকে খুঁজে বের করে ডকুমেন্টাতে নিজেদের কাজ প্রদর্শনীর জন্য আমন্ত্রণ জানায়। এবার বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছে বৃত্ত আর্টস ট্রাস্ট।

আমার দুর্ভাগ্য শিল্প সংস্কৃতিতে কাজ ও গবেষণা করা সত্ত্বেও বৃত্ত আর্টস ট্রাস্টের কাজের সঙ্গে পরিচিত হতে হয়েছে ভিন দেশের অপরিচিত এক শহরে। কিন্তু শহরটিকে ভিন দেশি কোনো শহর মনে হয়নি। বরং চেনা মনে হয়েছে নিজের দেশের পেইন্টিং, ছবি ও ইন্সটলেশন দেখে। বৃত্ত আর্টস ট্রাস্টের সর্বমোট ৬টি প্রজেক্ট ছিল।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ডকুমেন্টা যদি আর্টের বিশ্বকাপ হয় তাহলে কেন বিভিন্ন দেশ ঘুরে ফুটবল অথবা ক্রিকেটের মতো করে অনুষ্ঠিত হয় না। খেলাধুলা থেকে আর্টের বিষয় একটু ভিন্ন। আর্টের অন্যতম একটা বিষয় হচ্ছে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ এবং এই স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের জন্য যে ইন্টেলেকচুয়াল সচেতনতা ও জায়গা দরকার তা অনেক দেশের আইন ও চর্চায় নেই।

দ্বিতীয়ত, রঙ, কাগজ বা বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ও জৈব, অজৈব পদার্থের জন্য শিক্ষিত জনবল দরকার আর্ট সংরক্ষণে। উন্নত দেশের আর্ট স্কুলে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষক ও এই বিষয়ে কাজের কর্মী সেই অভাব পূরণ করতে পেরেছে, যা অনেক দেশের শিক্ষার চর্চায় নেই।

তবে ধীরে ধীরে এই ধারা পরিবর্তন হচ্ছে। যেমন গতবার গ্রীস ও জার্মানি যৌথভাবে ডকুমেন্টা উৎযাপন করেছে। ভেন্যু আন্তর্জাতিক না হলেও পুরো প্রদর্শনী নিয়ম-কানুনে আন্তর্জাতিকভাবেই করা হয়। যেমন- প্রতিবার একজন অথবা একদল আর্টিস্ট বা আর্টের স্কলারদের কিউরেটর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় পুরো প্রদর্শনী দেখভালের। তারাই বিভিন্ন দেশ থেকে আর্টিস্ট সংগ্রহ করে আমন্ত্রণ জানান ডকুমেন্টাতে অংশগ্রহণের জন্য। এ বছর ইন্দোনেশিয়ার আর্টিস্ট গ্রুপ রুয়াংরুপাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় পুরো ডকুমেন্টা প্রদর্শনীর দায়িত্বে।

প্রশ্ন হচ্ছে ডকুমেন্টা কেন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?

তার আগে ছোট করে নিজের ডকুমেন্টা দেখার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, বৃত্ত আর্টস ট্রাস্টের প্রায় ২০০ শিল্পী কি প্রদর্শনী করলো এবং কেন করলো?

তাদের মুরাল ছিল ৮টি বাংলা সিনেমার বিভিন্ন চরিত্র ও বাংলা ক্যাপশন দিয়ে বিশাল এক ক্যানভাসে সময়ের ভ্রমণ। এই ভ্রমণের মূল উপজীব্য বিষয় ছিল খাবার, ক্ষুধা ও খাবারের সংগ্রাম।

সিনেমা হচ্ছে সময়ের প্রতিচ্ছবি এবং আমাদের এই অঞ্চলের খাবারের সংগ্রামের ইতিহাস খুব বেশি প্রাচীন নয়। এখনও চলছে এটা বললে ভুল হবে না।

খাদ্যের রাজনীতি বিভিন্ন সময়ে চলচ্চিত্রে কীভাবে ফুটে উঠেছে তারই একটা বর্ণনা বৃত্ত আর্টস ট্রাস্ট তাদের কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছে। এর সঙ্গে তাদের একটা থ্রি চ্যানেল চলচ্চিত্র ছিল। সেখানে বাংলাদেশের ৭টি নৃ-সম্প্রদায়ের প্রায় ১০ থেকে ১২ বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়কে অনুসরণ করে পরিবেশ থেকে শুরু করে সামাজিক কাঠামোতে জীবনযাপনের যে পরিবর্তন হয়েছে তারই গল্প প্রকাশ করেছে। আরেকটি ইন্সটলেশন ছিল যেখানে তারা দেখাতে চেষ্টা করেছে কীভাবে রাসায়নিক দ্রব্য ও কারখানায় তৈরি খাবার আমাদের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠায় বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

এসব ছাড়া একটা রান্নাঘরও তৈরি করে ফেলছে বাংলাদেশি বাঁশ ও বাঁশের বেড়া দিয়ে। সেখানে বিভিন্ন দেশের মানুষ তাদের নিজের দেশের খাবার প্রতিদিন রান্না করছে। যে কেউ সেই খাবার ফ্রি খেতে পারবে। তবে, কেউ যদি নিজ সাধ্যমত অর্থ অনুদান দান করতে চায়, সেই ব্যবস্থাও আছে।

এখন আমার আগের প্রশ্নে ফেরত যাই, ডকুমেন্টার স্বীকৃতি কেন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ? বাংলাদেশের আসলে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে কি করা উচিত ছিল? পৃথিবীর বড় বড় দেশে আমরা দেখি, তাদের আর্ট কালচার চলে জনগণের টাকায়। আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। যেমন- প্রতিটি জেলায় শিল্পকলা একাডেমী, বাংলা একাডেমী, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং এর ভিতরে যত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে আরও যত প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি। এমনকি প্রতিটি বাংলাদেশি দূতাবাসে সংস্কৃতি বিভাগ আছে। যাদের কাজ অন্য দেশে নিজের দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরা।

এসব প্রতিষ্ঠান জনগণের টাকায় চলার কারণ মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং জাতীয় সংস্কৃতি চর্চায় অবদান রাখা। তারপরে আসে প্রাইভেট ফান্ড। ডকুমেন্টায় বিভিন্ন দেশের যতগুলো প্রদর্শনী হয়েছে প্রায় বেশিরভাগ দেশের অর্থ ডকুমেন্টা ছাড়াও নিজ দেশ অর্থায়ন করেছে।

আমার মতে আমাদের উচিত ছিল এসব শিল্পীদের জাতীয় সম্মাননা দেওয়া, যেমনটা আমরা দেই ক্রিকেটে। সঙ্গে পুরো শহর জুড়ে তাদের ছবি টাঙ্গিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। প্রতিটি শিল্পকলা একাডেমী থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের দিয়ে আর্টের ওয়ার্কশপ থেকে শুরু করে আর্ট নিয়ে চিন্তা শেয়ার করা খুবই জরুরি।

এক বছর তাদের হাতে বিভিন্ন জেলার শিল্পকলা একাডেমী পরিচালনার জন্য আমন্ত্রণও জানানো যেতে পারে। সময় কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি। কাজেই, কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ থাকবে তাদেরকে যেন সেই সুযোগ রাষ্ট্রীয়ভাবে করে দেওয়া হয়।

বিসিএস দিয়ে অনেক মেধাবী মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসায়ী শিক্ষার শিক্ষার্থী সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে বসে আছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাদের মেধা থাকা সত্ত্বেও দেশের জন্য সেভাবে কাজ করতে পারছেন না। কারণ, আমাদের চাকরি দেওয়ার সিস্টেমটাই এলোমেলো।

একজন মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসায়ী শিক্ষার শিক্ষার্থী কীভাবে সংস্কৃতির প্রকাশের জন্য আর্ট কালচার বুঝবেন? একজন ব্যবসায়ী শিক্ষার শিক্ষার্থীকে কি বিসিএস দিয়ে আমরা ডাক্তার বানাই? তাহলে কেন এসব ক্ষেত্রে বিশেষায়িতদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে না? আর এ জন্যই আমাদের দেশটা এতো সুন্দর হওয়ার পরেও আমরা সেটা প্রকাশ করতে পারছি না।

সংস্কৃতি চর্চা যদি না হয়, দেশের শিক্ষা ও চিন্তা কখনই মুক্ত হবে না। এটা তো গেলে দেশের গণ্ডীর ভিতরের কথা, দেশের বাইরের জন্যও বাংলাদেশের এই অর্জন হতে পারে বিশাল এক মার্কেটিং। কারণ আর্টের ক্ষেত্রে এই অর্জন কোনো ক্ষেত্রেই অস্কার বা বিশ্বকাপের থেকে কম নয়।

আমাদের প্রধান আয় এখন পর্যন্ত বৈদেশিক আয়। যেমন-রপ্তানি ও বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিভিন্ন দেশে কাজ করা। স্বভাবতই, বহির্বিশ্ব আমাদের বিভিন্ন কায়িক শ্রমের শ্রমিক হিসেবেই দেখে। আমরা যেমনটা দেখি রোহিঙ্গাদের। হাই কালচার ও লো কালচারের নীতি সর্বত্র। যেমন গ্রাম থেকে অনুন্নত বা মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে যে শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে তাকে একই ক্লাসের শহরের শিক্ষার্থী সেইভাবে মূল্যায়ন করতে চায় না। তাকে বিভিন্নভাবে প্রমাণ দিতে হয় যে, সে তাদের মতোই চিন্তা ও কাজে সময়োপযোগী। এই ধারণা সমাজের জন্য অনুচিত হলেও একই রকম মানুষের একই ধরনের কাজ এইরকম সরল দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে।

আরেকটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। আমাদের দেশে প্রবাসী কালো চামড়ার মানুষকে বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করতে দেখা যায়। আমরা এক অর্থে ধরেই নেই, কালো চামড়ার মানুষ মানেই অপরাধী। কিন্তু পৃথিবীতে চমৎকার সব সৃষ্টিশীল কালো মানুষ আছে।

আবার ধরেই নেই, ভারতের সব মানুষই মনে হয় ইসলামের বিপক্ষে অথবা বাংলাদেশি সবাই মনে হয় হিন্দুদের বিপক্ষে। এ রকম সরল চিন্তা তখনই হয় যখন ওই দেশ ও জাতি সম্পর্কে ধারণা বা বিবেচনা করা হয় একজন বা একদল মানুষকে দেখে।

এ জন্যই আর্ট একটা সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আর্ট নিজ সমাজ ও মানুষের বৈচিত্র্যকে চিন্তা দিয়ে প্রকাশ করে। আর্টের নিজস্ব শৈল্পিক ভাষা আছে বলে শিল্পীর চিন্তাও জাতিকে উদ্বুদ্ধ করে। শিল্পীর কারণে তার নিজ দেশের মানুষ নতুন ভাষার সন্ধান পায় নিজেকে প্রকাশ করার। একঘেয়েমি থেকে বের হয়ে নতুন করে জীবনকে বুঝতে সাহায্য করে।

আমরা যারা বিদেশে থাকি তারা কোনো না কোনোভাবে হাই কালচার ও লো কালচারের এই ইমেজ সঙ্কটে থাকি। এ জন্যই ডকুমেন্টার মতো প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা যারা উন্নত সমাজগুলোকে উন্নত বলে জানি, তাদের এই উন্নত হওয়ার পিছনে আর্ট কালচারের চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন ডকুমেন্টার কারণে পুরো বিশ্বে কি হচ্ছে, তা ইউরোপের মানুষ পুরো বিশ্ব না ঘুরে বরং সেইসব দেশের আর্টিস্ট মানুষের সমাজের গভীরতা নিয়ে প্রকাশ ভঙ্গী তাদের পৃথিবী সম্পর্কে আরও সচেতন করছে। এখন তারা উন্নত হবে না তো কারা হবে।

ডকুমেন্টার মতো প্রদর্শনী বিভিন্ন দেশের আর্ট ও সংস্কৃতি তুলে ধরে নিজ দেশের মানুষসহ পৃথিবীর সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছে। সবারই নিজ ভাষা আছে এবং কল্পনার বিভিন্ন ধারা আছে।

কাজেই, আমাদের উচিত হবে পৃথিবীর যেসব দেশ এবারের প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছে সেসব দেশে যদি বাংলাদেশের দূতাবাস থাকে তাহলে সেখানে বড় করে এই অর্জন পাবলিসিটি করা। ইউরোপের বড় শহরগুলোতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা নিয়ে ঢালাওভাবে প্রচার করা উচিত। এতে করে নতুন প্রজন্মের যারা সেখানে দিন-রাত দেশের জন্য কাজ করছে, তারা দেশ নিয়ে গর্ব করতে পারবে এবং নিজ ক্ষেত্রে কাজ করার আরও উদ্দীপনা পাবে। কারণ এসব অর্জনের খবর দেশের জন্য ভালোবাসা তৈরি করে, বেঁচে থাকার আশা যোগায়।

সবশেষে, আমার অনুরোধ থাকবে বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে নিজ নিজ জায়গা থেকে তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং নতুনদের জন্য চিন্তা ও আরও অনেক স্বপ্নের পথ খুলে দেওয়াই হবে এই অর্জনের সফলতা।

নুরুজ্জামান খান, চলচ্চিত্রকার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং পিএইচডি গবেষক, হাঙ্গেরিয়ান ফাইন আর্টস বিশ্ববিদ্যালয়

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নিবে না।)

Comments

The Daily Star  | English

Women MPs in reserved seats: How empowered are they really?

Fifty-two years ago, a provision was included in the constitution to reserve seats for women in parliament for a greater representation of women in the legislative body.

10h ago