বিশ্বাস, বিজ্ঞান এবং নির্বুদ্ধিতা

টেক্সাসে মাঝে মাঝে শিলা বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি শেষে বাড়ির সামনে প্রচুর ছাদ মেরামত কোম্পানির লোকদের উপস্থিতি দেখা যায়। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনা পয়সায় পরীক্ষা করে বলে দেন ছাদের ক্ষতি হয়েছে কি না।
texas.jpg
ছবি: রয়টার্স

টেক্সাসে মাঝে মাঝে শিলা বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি শেষে বাড়ির সামনে প্রচুর ছাদ মেরামত কোম্পানির লোকদের উপস্থিতি দেখা যায়। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনা পয়সায় পরীক্ষা করে বলে দেন ছাদের ক্ষতি হয়েছে কি না।

যদি হয়, আপনি তাদের মাধ্যমে আপনার ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে ছাদ মেরামত করতে পারেন। ছাদ মেরামত অত্যন্ত ব্যয় বহুল, তাই ক্ষতি হলে এভাবে মেরামত করানো মঙ্গল।

কিছু দিন আগে আমার শহরে আবার শিলাবৃষ্টি হলো এবং এই লোকগুলোর আগমন দেখা গেল। এর আগেও অনেকবার তারা আমার ছাদ পরীক্ষা করেছেন কিন্তু প্ৰতিবারই আমাকে তারা জানান আমার ছাদের তেমন ক্ষতি হয়নি। আমার ছাদ উঁচুমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি, তাই তেমন ক্ষতি হয়নি। আমার ছাদ যেহেতু ১০ বছরের পুরনো তাই আমিও চাচ্ছি এভাবে ঠিক করিয়ে ফেলতে।

যাই হোক, এবারও আবার কলিং বেলের শব্দ। দরজা খুলে দেখি অল্প বয়সী দুটি ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। অনেক ভুঁইফোড় কোম্পানি থেকে লোক আসে, তাই সবাইকে দেখতে দেই না। বললো, আপনার ছাদ কি কেউ চেক করেছে, না করলে আমরা দেখে দিতে পারি। একটু ইতস্তত করলাম, দেখতে দেবো কি না। পরে ভাবলাম ঠিক আছে দেখুক। কতক্ষণ পর আবার কলিং বেলের শব্দ, বুঝলাম তারা ছাদ দেখা শেষ করেছেন। মাস্ক পরতে পরতে দরজা খুললাম— দুজনের মধ্যে একজন দাঁড়িয়ে আছেন। বললো, আপনার ছাদের তেমন ক্ষতি হয়নি। এই পরিমাণ ক্ষতিতে ইনস্যুরেন্স কোম্পানি নতুন ছাদ করে দিতে রাজি হবে না।

এই লেখার উদ্দেশ্য আমার ছাদের ক্ষতি হয়েছে কি না তা নিয়ে নয়, যারা আমার লেখা পড়েন তারা হয়তো বুঝতে পারছেন না এই ভূমিকা কেন।

ছেলেটা চলে যাওয়ার সময় আবার ঘুরে দাঁড়াল। আমার দিকে তাকিয়ে ইংরেজিতে বললো, স্যার আপনাকে কি একটা কথা বলতে পারি? হ্যাঁ সূচক জবাবে বললো— মাস্ক আপনাকে রক্ষা করবে না। কেবলমাত্র যিশুই আপনাকে রক্ষা করতে পারে।

আমেরিকাতে বাড়ি বাড়ি এসে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার করা নতুন কিছু নয়। আমি আমেরিকার যতগুলো স্টেটে থেকেছি, সব জায়গায় আমি কিছু মানুষকে ধর্ম প্রচার করতে দেখেছি। এখানে মরমন নামে খ্রিস্টানদের একটি সম্প্রদায় আছে যাদের ১ বছরের জন্য ধর্ম প্রচারে যেতে হয়। এরা মদ খায় না এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণে বিশ্বাস করে না। আমেরিকাতে ইউটা স্টেটে প্রচুর মরমন বাস করে।

এখানে ব্রিঘাম ইয়ং ইউনিভার্সিটি মরমন সম্প্রদায়ের। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি খুব নামকরা এবং গবেষণায় বেশ ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়। আমার প্রথম পেপার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের সহযোগিতায় ছিল। তিনি লিজেন্ডারি একজন অধ্যাপক কিন্তু মরমনদের সমস্ত নিয়ম-কানুন মানতেন। এ ছাড়া, আমার বেশ কিছু বন্ধু/সহকর্মী আছেন যারা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং নামকরা বিজ্ঞানী।

ওয়াশিংটন স্টেটের রিচল্যান্ড শহরে থাকার সময় মাঝে মাঝে মসজিদে ইন্টারফেথ ডায়লগ হতো। অনেক খ্রিস্টান যাজক আসতেন। খ্রিস্টানদের অনেক ভাগ আছে। একবার এক খ্রিস্টান যাজককে দেখলাম মসজিদে মুসলিমদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করার জন্য নামাজ পড়তেন। বাংলাদেশেও তাবলিগরা বাসায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রুমে গিয়ে ধর্ম প্রচার করে। একবার মনে আছে আমি তখন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক। আমার রুমে বসে কাজ করছি। হঠাৎ দেখি তাবলিগের পোশাক পরা একজন বিদেশি ভদ্রলোক আমার রুমে প্রবেশ করলেন। ইংরেজিতে বললেন, তোমার সময় থাকলে আমি কি তোমার সঙ্গে কথা বলতে পারি?

আমি তার ভদ্রতায় মুগ্ধ হলাম এবং বিদেশি দেখে মানা করলাম না। ভদ্রলোক জানালেন তিনি অস্ট্রেলিয়ান। তাবলিগের সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ এসেছেন এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে থাকছেন। সেখানে তারা বয়ান দেবেন। আমাকে আমন্ত্রণ জানালেন তাদের কিছু বয়ান শোনার জন্য। আমি বললাম, আমার সময় হলে আমি যাব তবে কথা দিতে পারছি না। বুঝলাম ভদ্রলোক একটু বিরক্ত, যাওয়ার কথা দিচ্ছি না বলে। আমি আবার বললাম, আমি কথা দিতে পারছি না তবে চেষ্টা করবো। এরপর অস্ট্রেলিয়ান ভদ্রলোক ইংরেজিতে যা বললেন, তার মর্মার্থ হচ্ছে তিনি এত দূর থেকে এখানে এসেছেন এই তাবলিগের দলের সঙ্গে অথচ আমি আমার অফিস থেকে এক মাইলের মতো কাছে একটা জায়গায় যাওয়ার জন্য কথা দিতে পারছি না। আমি গভীরভাবে লোকটির দিকে তাকালাম, কারণ এই লোকটিকে আমি কখনো বোঝাতে পারবো না তার যুক্তিতে সমস্যা আছে।

তিনি আগে থেকেই ধরে নিয়েছেন তার কাজ জগতের অন্য যে কোনো কাজের চেয়ে উন্নত মানের। আমি সেটি শুনছি না বা করছি না, তার যুক্তিতে সেটা গ্রহণ যোগ্য নয়। তিনি প্রবল অনুরাগে যেটি করছেন তাতে আমার আগ্রহ নাও থাকতে পারে। মানুষ হিমালয় পাহাড় জয় করে ফেলছে তার প্যাশনের জন্য। কিন্তু আমার কাছে সেটা সময় ও জীবনের অপচয়। আমি আমার বিষয়ের সেরা বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা এবং তাদের গবেষণা শোনার জন্য এই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে প্রস্তুত। যদিও সময়ের সঙ্গে মানুষের এই অগ্রাধিকারের পরিবর্তন হয়।

যাই হোক, ফিরে আসি আমাদের টেক্সাসের সেই ছেলেটির কাছে। আমি সাধারণত এই পরিস্থিতিতে কোনো কথা বলি না। কিন্তু ইদানিং আমার মনে হচ্ছে, আমরা এসব বিষয়গুলোর ওপর কথা না বলে এক ধরনের নির্বুদ্ধিতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছি। আমি ছেলেটিকে বললাম, তুমি যে আমার ছাদ পরীক্ষা করার জন্য এত উপরে উঠেছো, তুমি কি ইচ্ছে করে ওখান থেকে ঝাপ দেবে এবং ভাববে খোদা তোমাকে রক্ষা করবে? সে জবাব দিলো না। আমার ছাদ ২ তলা, তুমি পড়ে ব্যথা না পেতেও পার। তারপরও তুমি এটা করবে না। মাস্ক হচ্ছে তোমার প্রতিরক্ষা, বাকিটা তোমার বিশ্বাস। ছেলেটা মাথা নিচু করে চলে গেল।

আমরা আজকাল নির্বুদ্ধিতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে ভয় পাই। শুধু বাংলাদেশ নয় সারা পৃথিবীতে এখন এই সমস্যা। মানুষ তার বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এমন কোনো যুক্তি গ্রহণ করতে কোনোভাবেই ইচ্ছুক নয়। সেটা যতই সঠিক বা যুক্তিসঙ্গত হোক না কেন। আমেরিকাতে এখনো অনেকে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না ধর্মীয় ও সামাজিক কারণে। লেবরন জেমসের মতো খ্যাতিমান বাস্কেট বল প্লেয়ার এতদিন ভ্যাকসিন নেননি।

গবেষণা পর্যায়ে ভ্যাকসিন নিলে আপনি বানরে পরিণত হবেন এ ধরনের গুজবও চলতো। অথচ গুটি বসন্ত এবং আরও অনেক ভয়ংকর ভাইরাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞানের মাধ্যমে।

বিজ্ঞানের সমস্যা হচ্ছে, এটি সাধারণ মানুষের কাছে এত সহজে পৌঁছে যায় না। আমি উচ্চ শিক্ষা নিয়েছি এনালাইটিক্যাল কেমিস্ট্রিতে। এনালাইটিক্যাল কেমিস্টদের কোয়ানটিটেটিভ কেমিক্যাল এনালাইসিস নামে একটি বিষয়ের বই পড়তে হয়। আমি যখন উচ্চ শিক্ষা শুরু করি এই বইটির মুদ্রণ সংখ্যা ছিল তৃতীয়। আমি এই বইটি এখন টেক্সট বই হিসেবে আন্ডার গ্র্যাজুয়েটদের পড়াই। এর মুদ্রণ সংখ্যা এখন ১০। গত ১৫ বছরে এর আরও ৭টি মুদ্রণ প্রকাশিত হয়েছে। বইটা কি সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে গেছে, এটা কি তার মূল বিষয় থেকে সরে গেছে, তা কিন্তু নয়। যেটা হয়েছে, নতুন গবেষণাগুলোকে আমরা যুক্ত করছি। বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল এটা সত্য কিন্তু এর পরিবর্তনটা সঠিক বিষয়টাকে বের করার জন্য। বিজ্ঞানের কোনো বিষয়ের পরিবর্তন মানে বিজ্ঞানের কোনো স্থির সিদ্ধান্ত নেই তা নয়। নতুন জ্ঞানের মাধ্যমে বিজ্ঞান তার পূর্ববর্তী ধারণাকে আরও মজবুত করতে শিখছে। যেটা দুর্বল সেটাকে পরিত্যাগ করছে।

আফগানিস্তানে তালেবানরা এখন ক্ষমতায় এসেছে। এদের কাছে মাস্টার্স ও পিএইচডির কোনো মূল্য নেই। এরা নারী মন্ত্রণালয়ের এখন নাম দিয়েছে পাপ এবং পূর্ণ মন্ত্রণালয়। এরা ভিসি হিসেবে একজন নন একাডেমিক লোককে নিয়োগ দিয়েছে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। নারী শিক্ষক কম থাকাতে এরা চিন্তা করছে পুরুষ শিক্ষক তাদের পর্দার আড়ালে পড়াবে। শিক্ষক হিসেবে আমি শিক্ষার্থীদের দিকে তাকালেই বুঝতে পারি এরা বিষয়টি বুঝতে পারছে কি না। আপনার শিক্ষক নারী না পুরুষ সেটা মুখ্য নয়, মুখ্য হচ্ছে যিনি পড়াচ্ছেন তিনি সেই বিষয়ে আপনাকে সেরাটা দিতে পারছেন কি না।

এই বিংশ শতাব্দীতে আমাদের এ ধরনের নির্বুদ্ধিতাকে দেখতে হচ্ছে। এদের উত্থান বাংলাদেশের জন্য চিন্তার বিষয়। বাংলাদেশে এই সমমনা লোকগুলোকে দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে এতকাল, এটা আবার তাদের মনোবল যোগাতে সাহায্য করবে। আমি আশাবাদী, বাংলাদেশে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার ক্ষমতায় আছে। কিন্তু ধর্ম নিরপেক্ষ কাগজে থাকলে হয় না। একটি পরিপূর্ণ ধর্ম নিরপেক্ষ সমাজ গঠন করাও উন্নত সমাজ ব্যবস্থার চাবি।

আমেরিকা সারা পৃথিবী থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অভিবাসী নিচ্ছে। আমেরিকাতে রেসিজম নেই তা নয়, কিন্তু রাষ্ট্র এবং আইন এখানে কঠিন। এখানে ঘৃণা ভিত্তিক অপরাধ প্রমাণ করতে পারলে শাস্তি অনেক। আমেরিকাতে শিক্ষা কারিকুলামে ধর্মীয় বিষয়কে অনুপ্রবেশ করানোর অনেক চেষ্টা হয়েছে, এখনও হচ্ছে। কিন্তু কখনই সফল হয়নি। এখানে এখন অনেক প্রাইভেট খ্রিস্টান স্কুল আছে সেখানে এখনো ডাইনোসর এবং মানুষ পৃথিবীতে একসঙ্গে বসবাস করেছে তা শেখানো হয়। কিন্তু তা কখনো মূল মিশতে পারেনি। সমস্যা হচ্ছে রাজনীতির মাধ্যমে এই সংবেদনশীল গ্রুপটিকে অস্ত্রের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। ট্রাম্পের মাধ্যমে এই ধারাটির উত্থান হয়েছিল এখনো ধীরে ধীরে বাড়ছে।

তারপরও আমি নিশ্চিত আমেরিকার সেকুলার রাষ্ট্রের কাঠামো এদের কাছে কখনই পরাভূত হবে না। আমার ব্যক্তিগত মতামত, বিশ্বাস বিহীন জীবন সামগ্রিকভাবে সাস্টেনেইবল নয়। জীবনের যে কোনো টানাপোড়েন এবং বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ বিশ্বাসের দিকে ঝুঁকে পড়ে। মানুষের রঙ এবং জাতিগত পার্থক্যের মতো বিশ্বাসের বহুরূপতা আছে, এটাও জীবনের এক ধরনের বৈচিত্র্য। এই বিশ্বাসের সঙ্গে পরিপূর্ণ বিজ্ঞান থাকতে হবে তা নয়, সত্যিকার অর্থে এটা বিজ্ঞানের বিষয়ই নয়। বিজ্ঞানের মাপকাঠিতে বিশ্বাসকে মাপতে হবে তা নয়। কিন্তু তাই বলে বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে প্রখর নির্বুদ্ধিতাকে প্রশ্রয় দিতে হবে এটাও গ্রহণযোগ্য নয়। প্রতিটি মানুষের জীবন একটি ভ্রমণ। এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তার নিজস্ব। মানুষের বিশ্বাস-অবিশ্বাস সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত এবং এটা তার জীবনের ভ্রমণের একটি অংশ। কিন্তু এটাকে যুক্তির সঙ্গে হাঁটতে না দিলে তা ভালোর থেকে মন্দের দিকে বেশি ঝুঁকে যায় বলে আমার ধারণা। বদ্ধ জলাশয় থেকে সব সময় দুর্গন্ধই ছড়ায় সুগন্ধ নয়।

লেখাটি শেষ করছি সুফি সাধক জালালুদ্দিন রুমির কিছু কথা দিয়ে—
রুমি বলেছেন, 'তুমি যা খুঁজছো, তা তোমাকে খুঁজছে। তুমি মহাবিশ্বের উচ্ছ্বাস, এত ক্ষুদ্র আচরণ করো না।'

আমি মনে করি, বিশ্বাসের প্রয়োজন আছে, এর শক্তি অপরিসীম। এটা অনেককে আশা, জীবনের লক্ষ্য এবং
উদ্দেশ্য দেয়। কিন্তু বিশ্বাস যেন মহাবিশ্বের উচ্ছ্বাস আমাদেরকে এবং আমাদের জ্ঞানের অগ্রগতিকে থামিয়ে না দেয়।

সাইফুল মাহমুদ চৌধুরী: অধ্যাপক, আরলিংটনের রসায়ন এবং প্রাণ রসায়ন বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস, যুক্তরাষ্ট্র

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago