মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও সরকারের নতুন চ্যালেঞ্জ
সম্প্রতি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও পররাষ্ট্র দপ্তর।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭ জনই বাংলাদেশের।
স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ সরকার এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ১১ ডিসেম্বর ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এ বিষয়ে সরকারের অসন্তোষের কথা জানিয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। সরকারের শরীক ১৪ দলীয় নেতৃবৃন্দ এবং জোট বহির্ভূত বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কঠোর ভাষায় এই নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছে।
সরকারি দলের অনেকেই এ সিদ্ধান্তকে দেশ ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন। সরকারের শরীক বাম ঘরানার দলগুলো এবং সিপিবির বিবৃতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী চরিত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই বলেও তারা মত ব্যক্ত করেছেন।
এ কথা সবাই জানেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বিশ্ব পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের মোড়লের ভূমিকায় রয়েছে। নিকট অতীতেও দেশটির বিরুদ্ধে অনেক গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতে সহযোগিতা কিংবা ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধেও মার্কিন ভূমিকা ঘৃণার অক্ষরে লেখা হয়ে আছে। এমতাবস্থায় দেশের অন্যতম এলিট ফোর্স র্যাবের সিনিয়র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন সিদ্ধান্ত যে গভীর রাজনৈতিক বিশ্লেষণের দাবি রাখে তা বলাই বাহুল্য।
এ প্রসঙ্গে প্রথমেই যে প্রশ্নটা আসে তা হলো, র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি কি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অবস্থার কোনো অনিবার্য ফসল? নাকি মার্কিন প্রশাসনের নিজস্ব ও স্বাভাবিক সিদ্ধান্ত? মার্কিন প্রশাসন সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল মহল মাত্রই জানেন, এ জাতীয় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তারা দীর্ঘ সময় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। যাকে বলা যায় 'হোম ওয়ার্ক'। হোম ওয়ার্কে সন্তুষ্ট হলেই কেবল তারা সিদ্ধান্ত নেয়। আলোচিত বিষয়টিও এর ব্যতিক্রম ছিল না।
যতটুকু জানা যায়, এই নিষেধাজ্ঞার কাজটি শুরু হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে ২০২০ সালের অক্টোবরে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের ১০ জন সিনেটর তদানীন্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট প্রধান স্টিভেন মেনোচিনের কাছে এক পত্র পাঠান। সেখানে র্যাবের উল্লেখিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।
বলা বাহুল্য, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অনেক আগে থেকেই, বলতে গেলে র্যাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমের উপর নজর রাখছে। তাই এ কথা ভাবলে ভুল হবে যে কেবলমাত্র বর্তমান সরকারকে বিব্রত করা এবং চাপে রাখার জন্যই তারা এ কাজটি করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মূল চিঠিটি দেখলেই বোঝা যায় সংস্থাটি সেই ২০০৪ সাল থেকে র্যাবের কার্যক্রমের ফিরিস্তি মার্কিন প্রশাসনের কাছে তুলে ধরেছে। আর মার্কিন নীতিই হচ্ছে সময় ও প্রয়োজনে ঝোপ বুঝে কোপ দেওয়া। সেই কাজটিই করেছে এই নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে।
স্বভাবতই প্রশ্ন জাগতে পারে, মার্কিন প্রশাসন এই সময়ে মানবাধিকার ইস্যুটিকে সামনে নিয়ে এলো কেন? ১০ বছর আগে কেন আনেনি? এই প্রশ্নের জবাব পেতে দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক দৃশ্যপটের দিকে তাকানো দরকার।
গত ২ দশকে চীন গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় তার অর্থনৈতিক প্রভাবকে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি সংহত করেছে। এ ক্ষেত্রে দেশটির বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, যা ২০১৩ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির দলিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ উন্নয়নের জন্য ভারতের মাধ্যমে এর একটি কাউন্টার ইনিশিয়েটিভ নেওয়ার প্রয়াস করে। যদিও তা অংকুরেই ব্যর্থ হয়ে যায়। যতটুকু জানা যায়, তদানীন্তন মার্কিন সেনা প্রধান জেনারেল ডেভিড পেট্রিয়াস দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সহযোগিতার জন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেন, যা সে সময়কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ২০১১ সালে ভারতের চেন্নাইয়ে এক সম্মেলনে উপস্থাপন করেন। কিন্তু তা চীনা কূটনীতির কাছে হেরে আলোর মুখ দেখার আগেই শেষ হয়ে যায়। এ দিকে চীন তার বিআরআই নিয়ে এগোতে থাকে এবং এর আওতায় এ অঞ্চলের দেশগুলোতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে। বাংলাদেশেই চীনের বিনিয়োগের পরিমাণ নাকি প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলার। স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে চীনের ভূমিকাকে চাপা দিয়ে অর্থনৈতিক সুবিধা নেওয়ার লক্ষ্যে চীনের দিকে ঝুঁকে বসেছে।
বাংলাদেশের এই অবস্থান যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব একটা ভালো চোখে দেখবে না, তাতো সহজেই অনুমেয়। এ দিকে কয়েক মাস আগেই চীনের কূটনীতির কাছে হেরে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চলে আসতে হয়েছে। এখন বাংলাদেশও যদি চীনের প্রভাব বলয়ে চলে যায় তাহলে গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনো মিত্রই অবশিষ্ট থাকে না। এসব বিবেচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
প্রশ্ন হলো দেশে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান থাকতে মার্কিন প্রশাসন র্যাবকেই বা কেন বেছে নিলো? উত্তরটা খুবই সহজ। মানুষ সাধারণত শত্রুর দুর্বল জায়গাতেই আঘাত করে, মার্কিন প্রশাসনও তাই করেছে। সেই বিএনপি আমলে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই বাহিনীটির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিস্তার অভিযোগ উচ্চারিত হচ্ছিলো। কিন্তু বিএনপি সরকার তাতে গা দেয়নি। মনে পড়ে, সে সময়ে র্যাবের 'ক্লিন হার্ট অপারেশন' কে আওয়ামী লীগও কঠিন ভাষায় সমালোচনা করতো, ব্যঙ্গ করে বলতো 'দিল সাফ অপারেশন'। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এলো, তারা র্যাবের ওপর অতীতের সরকারের তুলনায় আরও বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠলো। ক্ষমতায় আসার অল্পদিনের মাঝেই ঘটলো এই বাহিনীর সদস্যদের হাতে নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনা। সেই যে শুরু, তারপর থেকে সংস্থাটির দিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীর উৎক্ষিপ্ত হতেই থাকে। কখনো ক্রস ফায়ারের অভিযোগ, কখনো ঘর থেকে তুলে নিয়ে গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ।
অস্বীকার করার উপায় নেই, অনেক ক্ষেত্রে সন্ত্রাস দমনে র্যাব অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের চরম দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সেই সব লিপিবদ্ধ করে বিভিন্ন দেশে তাদের প্রতিবেদন পাঠিয়েছে, যা আমাদের কূটনীতিকরা টেরও পাননি। বস্তুতঃ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনই মার্কিন প্রশাসনকে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্র প্রস্তুতে সহায়তা করেছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন সিদ্ধান্তকে নিছক ষড়যন্ত্র তত্ত্বের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে ভুল হবে। বরং যা সত্য তাকে সত্য বলেই মেনে নেওয়া ভালো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল—শুধু এ কারণে তার আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে অবজ্ঞা করার কোনো কারণ নেই। আর, এ কথাও তো সুবিদিত যে মার্কিন প্রশাসন থেকে একটা সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য আমাদের সরকার কিংবা বিরোধী দলের সবাই উদগ্রীব হয়ে থাকেন। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের একজন জুনিয়র কর্মকর্তার সঙ্গে ছবি তুলতে পারলে আমাদের দেশের ডান-বাম নির্বিশেষে অনেক রাজনৈতিক নেতাই নিজেকে ধন্য মনে করেন। এমনও শোনা যায়, কোনো একটা মার্কিন কাগজে, হোক সে কোনো তৃতীয় শ্রেণীর, প্রশংসাসূচক একটা লেখা ছাপানোর জন্য হাজারো ডলার ব্যয় করে লবিস্ট পর্যন্ত নিয়োগ করা হয়। তখন তো কেউ বলেন না যে সাম্রাজ্যবাদী মার্কিনি সার্টিফিকেট আমরা নেব না? তাই মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে সাম্রাজ্যবাদী 'ষড়যন্ত্র' বলে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো অবকাশ আছে বলে আমি মনে করি না।
ব্যাপারটাকে একটু উল্টো করেও দেখা যেতে পারে। যদি মার্কিন প্রশাসন থেকে জঙ্গিবাদ বা মাদক পাচারের অভিযোগে কোনো এক বিরোধী দলীয় নেতা বা নেত্রীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতো তখন আমাদের সরকার বা সরকার সমর্থকরা কি করতেন? নিশ্চয়ই তারা এ কথা বলতেন না যে এটি সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন চক্রান্তের ফল। বরং ঢাকঢোল পিটিয়ে তা প্রচার করা হতো। সম্ভব হলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হাজারো কপি ছাপিয়ে জনগণের মাঝে বিতরণ করা হতো। তাহলে আজ কেন মার্কিনের বিরুদ্ধে এতো বিষেদগার?
যারা আজ মার্কিন সমালোচনায় উচ্চকণ্ঠ তারা কি নিত্যদিন ঘটে যাওয়া ক্রসফায়ারের কিংবা জলজ্যান্ত মানুষ গুম হয়ে যাওয়ার ঘটনাগুলো অস্বীকার করতে পারেন? এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যেতে পারে, যেদিন র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানাজানি হলো সেদিনই 'মায়ের ডাক' নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে ৪০টি পরিবারের সদস্যরা মানববন্ধন করে। এই মানুষগুলো তাদের পরিবারের আপনজনদের খোঁজ পাচ্ছেন না। এই আপনজনদের বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে ঘর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল—শুধু সে কারণেই তার সবকিছুকে যদি নেতিবাচক হিসেবে দেখতে হয় তাহলে চীনকেও একই কাতারে সামিল করতে হবে। আমরা কি তা পারবো? যদি না-ই পারি, তাহলে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত হবে বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিয়ে অবস্থার উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করা। সেই সঙ্গে অর্থহীন বাগাড়ম্বর পরিহার করে যথাযথ কূটনৈতিক সমঝোতার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে আরও বড় কোনো ক্ষতি না হয়ে যায়। মনে রাখতে হবে, বিদ্যমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ একটা শাঁখের করাতের ওপর বসে আছে। একদিকে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের একটা বিশাল অংশ আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে, অন্যদিকে বর্তমান উন্নয়ন কার্যক্রমের সিংহভাগই বাস্তবায়িত হচ্ছে চীনের সহযোগিতায়। মাঝখানে রয়েছে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বন্ধু ভারত। এই ৩ অক্ষশক্তির সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে এগিয়ে যাওয়াই হবে সরকারের এই মুহূর্তের চ্যালেঞ্জ।
(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)
Comments