সাধারণ হওয়ার গ্লানি!
ফেসবুকে একটা পোস্ট দেখে থমকে যেতে হলো। কোনো ছবি নেই, ব্যাকগ্রাউন্ড কালার দিয়ে হাইলাইট করাও নেই। একেবারে সাদামাটা ফন্টে লেখা একলাইনের টেক্সট—'"সাধারণ মানুষ" হওয়া যে কতটা গ্লানিকর তা শুধু সাধারণরাই জানে!'
এই সমাজ, এই দেশ দিন দিন যে আর সাধারণকে বিবেচনায় রাখছে না, শুধুই অ-সাধারণদের মাথায় রেখে অ-সাধারণরা সবকিছু চালাচ্ছে সেতো চারপাশে তাকালেই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এমন তীক্ষ্ণ প্রকাশ সেই নির্মম সত্যর! এক মুহূর্ত থমকে যেতে হয়।
১.
কেমন আছেন এই সমাজের সাধারণ মানুষ? খুব দূরে যাওয়ার তো দরকার নেই। গত সপ্তাহখানেকের কথাই ধরা যাক। সরকার বাড়িয়ে দিলো জ্বালানি তেলের দাম। পরিবহন মালিকরা দিলো গণপরিবহন বন্ধ করে। চাকরির নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বললো, তবু চাকরির পরীক্ষা চলবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বললেন, আমাদের ভর্তি পরীক্ষা চলবে।
এদিকে বাজারে আগুন। চাল, তেল, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ ইত্যাদি নিত্যপণ্যে হাত দিলে দামের তাপে হাতে ফোস্কা পড়ার অবস্থা। আবার গবেষণা বলছে, করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ৩ কোটির বেশি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন। তাদের আয় কমেছে, হাতে টাকা নেই। সাধারণ তবু চলছে; চলতে হচ্ছে তাই। যেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া সেই গানের লাইনের মতো, 'কে রাখে খবর তার'।
একবারে দরিদ্র মানুষের জন্য খোলাবাজারে ট্রাকে করে নিত্যপণ্য বিক্রির যে সরকারি সেবা, সেখানেও বেড়েছে দাম। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে দেখা যাচ্ছে, দরিদ্র মানুষ সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত টাকা কম পড়ে যাওয়ায় প্রয়োজনীয় পণ্য না কিনে ফিরে যাচ্ছেন। হঠাৎ দাম বাড়ায় সাধারণের এই অবস্থা। যারা এই খোলাবাজারে বিক্রির পণ্যের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন, সেই অ-সাধারণরা হিসেবেই ধরেন না যে সপ্তাহের বাজারে ৫০ টাকা বেশি খরচ করতে একজন মানুষের সমস্যা হতে পারে। কুইক রেন্টালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কত কত টাকা আমরা ভর্তুকি দেই, একেবারে গরিবের খাদ্যে, নিত্যপণ্যে সামান্য ভর্তুকি বাড়ালে কী সমস্যা হতো!
একটা ছেলে বা মেয়ে লেখাপড়া শেষ করার পরে চাকরির আবেদন করবেন, প্রত্যেকবার ফি দিতে হবে। তারপর তিনি দেখবেন, ১ দিনে ১৪-১৫টি চাকরির পরীক্ষা (গত ৮ অক্টোবর ছিল ১৪টি চাকরির পরীক্ষা, ২৩ অক্টোবর ছিল ১৫টি চাকরির পরীক্ষা)। তিনি তো ১টির বেশি পরীক্ষা ১ দিনে দিতে পারবেন না। এর অর্থ কতগুলো আবেদনের পেছনে তার যে পরিশ্রম, অর্থ ও সময় ব্যয় তা আক্ষরিক অর্থেই জলে গেল। সবগুলোই সরকারি বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা। চাইলে কি পরীক্ষার তারিখ সমন্বয় করা যেতো না? আপনি তো পরীক্ষা নেবেন বলে তাদের কাছ থেকে টাকাও নিয়েছেন। এখন তাদের পক্ষে অংশগ্রহণ সম্ভব নয় এমন পরিস্থিতিতে আপনি তাদেরকে ফেলেন কি করে? অ-সাধারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের এতে কিছু যায় আসে না।
গত ৬ নভেম্বর ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষা ছিল। গণপরিবহণ যেহেতু চলবে না, সেক্ষেত্রে পরীক্ষা হবে কি না জানতে চাইলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন, পরীক্ষা হবে। কারণ তারা আগেই ঘোষণা দিয়েছেন। সরকার যদি পরিবহন চলাচল নিশ্চিত করতে না পারে, সেই ক্ষতির একক ভিকটিম হবে এই চাকরিপ্রার্থীরা। সরকারেরই একটি কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করে এই পরিস্থিতিতে আবেদনকারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে না। আবেদনকারীরা যদি দাবি তোলেন, এই পরিস্থিতিতে আবেদনপত্রের সঙ্গে নেওয়া ফি তাদের ফেরত দেওয়া হোক। হয় নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ দেবে; না হয় সরকার দেবে। সেটাকে কি খুব অযৌক্তিক বলা যাবে? কিন্তু তারা সাধারণ; বাস মালিকদের মতো, লঞ্চ মালিকদের মতো অ-সাধারণ তারা নন। কাউকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের মতো দর কষাকষির সক্ষমতা তাদের নেই।
অগত্যা, সংবাদ মাধ্যমে দেখতে পাই, একজন পিতা তার সন্তানকে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ানোর জন্য বগুড়া থেকে মোটর সাইকেল চালিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসেন। একজন মা কতগুলো ব্যাগ নিয়ে রাস্তার পাশে অপেক্ষা করেন, এই পরীক্ষাটা শেষ হলে ঢাকাতেই কোথাও থেকে সন্তানকে অন্য পরীক্ষাগুলো দেওয়ানোর চেষ্টা করবেন। কারণ, এত কষ্ট করে বারবার তো এভাবে আসা যাবে না।
এই যে পরিবহণ মালিকরা ইচ্ছে হলেই হুট করে গণপরিবহন বন্ধ করে দেন, এটা তারা কীভাবে করেন? রাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের চুক্তি কী? তারা তো রাস্তায় চলছেন রাষ্ট্রের অনুমতি নিয়েই। পরিবহন মালিকদের বা শ্রমিকদের সংগঠন তো নিবন্ধিত সংগঠন। নিবন্ধনের শর্ত কী? এভাবে বিনা ঘোষণায় ধর্মঘট তো ডাকা যায় না। এবার অবশ্য তারা ধর্মঘট ডাকেননি, চলাচল বন্ধ রেখেছেন। এই কাজটি তারা করতে পেরেছেন কারণ তারা জানেন সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি। সাধারণ মানুষের এই জিম্মিদশাই সরকারের সঙ্গে তাদের দর কষাকষির হাতিয়ার।
আমাদের রাষ্ট্রীয় গণপরিবহন সার্ভিস বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) অবস্থা যদি ভালো হতো, বেসরকারি পরিবহন মালিকরা ইচ্ছে হলেই মানুষকে জিম্মি করতে পারতেন না। বিআরটিসির দুর্দশার সরাসরি উপকার ভোগী এই বাস মালিকরা। তেমনিভাবে জলপথে গত ৫০ বছরে বিআইডব্লিউটিসির সার্ভিসে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। ঢাকা-চাঁদপুর-বরিশাল-পিরোজপুর-খুলনার মতো লম্বা রুটে যে কয়েকটি স্টিমার চলে সেগুলো কোনোটা ব্রিটিশ আমলের, কোনোটা পাকিস্তান আমলের। সুতরাং লঞ্চ মালিকরাও জানেন, সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় গণপরিবহনের সেবার আওতা ও মান বাড়ানো গেলে এই ধর্মঘটে জিম্মি হওয়ার আপদ থেকে কিছুটা মুক্ত হওয়া যেতে পারে।
সারাদেশ প্রায় স্থবির করে দেওয়া হয়েছে গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে। প্রশ্ন হচ্ছে, তেলের দাম যে পরিমাণ বেড়েছে তার সঙ্গে সমানুপাতিক হারে বাস ভাড়া বাড়ালে সেটা কতো হবে? বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলছেন, তেলের দাম যে হারে বেড়েছে তাতে বাসে একজন যাত্রীর জন্য প্রতি কিলোমিটারে খরচ বাড়বে ১০ পয়সারও কম। ট্রাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ১ কেজি পণ্য পরিবহনে খরচ বাড়বে ১৮ পয়সা।
যারা ধর্মঘট ডেকে দেশকে প্রায় স্থবির করে দিলেন, তারা এই খরচ পুষিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরষ্কার হিসেবে পেলেন বাড়তি লাভ। বাস যাত্রার ক্ষেত্রে যেখানে খরচ বেড়েছে ১০ পয়সার মতো (প্রতি কিলোমিটারে), সেখানে ভাড়া বেড়েছে প্রায় ৪০ পয়সা। আন্তজেলা বাস ভাড়া ১ টাকা ৪২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ৮০ পয়সা করা হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে চলাচলকারী বাসের ক্ষেত্রে ১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ভাড়া বাড়িয়ে ২ টাকা ১৫ পয়সা এবং মিনিবাসের ক্ষেত্রে ১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৫ পয়সা করা হয়েছে।
জলপথেও ভাড়া বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। লঞ্চ ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৬০ পয়সা করে বেড়েছে। ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাত্রার ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে লঞ্চ ভাড়া ছিল ১ টাকা ৭০ পয়সা। এই ভাড়া বাড়িয়ে করা হয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা। ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের যাত্রার ক্ষেত্রে ভাড়া ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা। যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২ টাকা।
দেখা যাচ্ছে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি পরিবহন মালিকদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। জনগণকে জিম্মি করে তারা সরকারের সঙ্গে দর কষাকষি করতে পেরেছেন। এই দর কষাকষিতে সরকার সাধারণ মানুষের স্বার্থের প্রত্যাশিত সুরক্ষা দিতে পারেনি। ১০ পয়সা খরচ বাড়ার বিষয়টিকে মূলধন করে পরিবহন মালিকরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৪০ পয়সা আদায়ের লাইসেন্স নিলেন। ধর্মঘটকারীদের এই 'লাভের ওপরে লাভ' এর ভার যথারীতি বহন করবেন সাধারণ জনগন।
২.
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার একটা কারণ হিসেবে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে টাকার দাম পড়ে যাওয়াকেও দেখানো হচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডলারের দাম। ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে। দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন রপ্তানি আয় বাড়ায়, বিপরীতে বাড়ায় আমদানি খরচ।
যিনি টাকায় বিনিয়োগ করে ডলারে আয় করেন তার জন্য এখন দারুণ সময়। ধরুন, একজন এ দেশে পণ্য বা সেবা উৎপাদন করেন এবং উৎপাদন খরচ মেটান বাংলাদেশি টাকায়। কিন্তু সেই পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে মার্কিন ডলারে রপ্তানি মূল্য পান। তিনি বিদেশের বাজারে যে জিনিস আগে ৫ ডলারে বিক্রি করতেন, এখনো যদি ৫ ডলারেই বিক্রি করেন, তাহলেও তিনি টাকার অংকে বেশি অর্থ পাচ্ছেন।
কারণ, প্রতি ডলারের দাম ৮০ টাকা হলে ১ কোটি ডলারের দাম হবে ৮০ কোটি টাকা। ডলারের দাম ৮৫ টাকা হলে সেই ১ কোটি ডলারেরই দাম হবে ৮৫ কোটি টাকা। একই পণ্য বিদেশে একই দামে রপ্তানি করেও টাকার অংকে রপ্তানিকারকের আয় ৫ কোটি টাকা বেড়ে যাবে শুধুমাত্র টাকার অবমূল্যায়নের কারণে। তেমনিভাবে বিদেশ থেকে আসা যেকোনো রেমিট্যান্স টাকার অংকে আগের চেয়ে বড় হয়ে যাবে।
বিপরীতে, যিনি দেশের মধ্যে টাকায় পণ্য বা সেবা বিক্রি করেন, কিন্তু সেটা বিদেশ থেকে ডলারে আমদানি করতে হয়, তার খরচ বেড়েছে। তিনি আগে ১ কোটি ডলার দিয়ে যে পণ্য ও সেবা আমদানি করতেন, এখনো যদি সেটা ১ কোটি ডলারেই আমদানি করেন, তবুও বাংলাদেশি টাকায় তার খরচ বেশি হচ্ছে। কারণ সমপরিমাণ ডলার কিনতে তার আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ টাকা লাগছে। তিনি এই বাড়তি আমদানি ব্যয় মেটাচ্ছেন বাজারে পণ্যের দাম বাড়িয়ে। ভোক্তার তো মাথায় হাত। আর, ব্যয় ১০ পয়সা বাড়লে পণ্যের দাম ২০ পয়সা বাড়ানো এ দেশে বিচিত্র কিছু তো নয়।
দায়িত্বশীলরা অনেকে বলতে চান, এখন মুক্তবাজারে ডলারের দাম তো সরকার বেঁধে দেয় না। বাজারের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু সেই বাজার যাতে অস্থিতিশীল না হয়ে পড়ে, ভারসাম্যহীন না হয়ে পড়ে এই জন্যই তো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে।
সরকার সম্ভবত ডলারের বিপরীতে টাকার মান নেমে যাওয়ার হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রপ্তানিমুখি শিল্পখাতগুলো এবং রেমিট্যান্স প্রবাহকে উৎসাহিত করতে। একই সঙ্গে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বা এফডিআইকে উৎসাহিত করতে। দেশের মুদ্রার মান কমে গেলে সেই দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ তখন বেশি লাভজনক হয়। বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য সরকারের নানা উদ্যোগ সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে।
কিন্তু আমদানি নির্ভর নিত্যপণ্য, যেমন ভোজ্যতেল ইত্যাদিতে, এর যে নেতিবাচক প্রভাব, তাতে সাধারণ মানুষের তো নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। একইসঙ্গে এসব কারণে দাম যতটা বাড়ছে, তার চেয়ে বেশি বাড়ছে বাজার ব্যবস্থাপনার শিথিলতার কারণে। সাধারণের দুর্দশা লাঘবের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাবাজারে এবং সরকার পণ্যবাজারে হস্তক্ষেপ করে একটা ভারসাম্যপূর্ণ পরিস্থিতি ধরে রাখবে এটাই প্রত্যাশিত।
দিন শেষে রাষ্ট্রের সব কার্যক্রম তো মানুষের জন্যেই। সেই 'ছোট ছোট মানুষের ছোট ছোট আশা' যদি পূরণ না হয়, সেই সাধারণ মানুষকেই যদি নিত্যদিন গ্লানিকর জীবনযাপন করতে হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, কোথাও একটা ভুল হচ্ছে।
তাপস বড়ুয়া, ফ্রিল্যান্স কলাম লেখক
(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নিবে না।)
Comments