সড়ক মেরামতের দায়িত্ব কার?

নরসিংহপুর-শিমুলতলার মধ্যবর্তী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ৩ কিলোমিটারের ভয়াবহ অবস্থার কথা জেনে আমরা হতাশ। এ অবস্থার কারণে যানবাহন ও পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।   
নরসিংহপুর-শিমুলতলার মধ্যবর্তী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ৩ কিলোমিটার ড্রেনের পানিতে ডুবে আছে। ছবি:স্টার

নরসিংহপুর-শিমুলতলার মধ্যবর্তী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ৩ কিলোমিটারের ভয়াবহ অবস্থার কথা জেনে আমরা হতাশ। এ অবস্থার কারণে যানবাহন ও পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।   

গত ৩ মাস ধরে সড়কের এ অংশটি ড্রেনের উপচে পড়া নোংরা পানিতে ডুবে আছে বলে জানা গেছে। প্রধান জাতীয় মহাসড়কের অংশ হওয়ায়, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু,জলাবদ্ধতার কারণে সড়কটিতে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে চালকদের গর্তের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হয়। বিষয়টি তাদের বিলম্ব ও ভোগান্তি বাড়ায়। বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) কর্মীরা সস্তা ইট ব্যবহার করে মাঝেমাঝে সড়কটি 'ঠিক' করলেও, এটি অস্থায়ী ও অকার্যকর সমাধান মাত্র। সওজের কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, স্থানীয় বাসিন্দা, আশেপাশের কারখানা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি এলাকার ড্রেনে বর্জ্য ফেলায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার জন্য সওজের সহকারী প্রকৌশলী বিশেষভাবে আশেপাশের ২০০ বা তার বেশি কারখানাকে দায়ী করেছেন। এগুলো সরাসরি ড্রেনে পানি ফেলে বলে অভিযোগ আছে।

এ ছাড়া, কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি পাশের নয়নজুলি খাল দখল করে রাখায়, খালের প্রস্থ ২৪ ফুট থেকে কমে মাত্র ৩ বা ৪ ফুট হয়ে গেছে। ফলে ড্রেনের পানি খালের মধ্য দিয়ে নদীতে যেতে পারছে না এবং জলাবদ্ধতা বাড়ছে।

যদি আমাদের অন্যতম প্রধান মহাসড়কের এ হাল হয়, তাহলে 'কম গুরুত্বপূর্ণ' সড়কগুলোর অবস্থা কতটা ভয়াবহ তা সহজেই অনুমেয়। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে, বিশেষ করে সওজকে, এ ধরনের সমস্যা সমাধানে আরও সক্রিয় হওয়ার এবং সড়কগুলোকে দীর্ঘদিনের জন্য ব্যবহারের অনুপযোগী করে ফেলে না রাখার অনুরোধ করছি।

যাত্রীদের এমনিতেই প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হয়। যদি সড়কও এমন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকে, তবে তা কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত হয়ে যায়। বিভিন্ন সরকারি সংস্থার একে অপরকে দোষারোপের অভ্যাস এ অবস্থাকে  আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

অনুবাদ করেছেন জারীন তাসনিম

 

Comments

The Daily Star  | English

Where lives get 're-rolled' into misery

Workers compelled to work in unsafe conditions with low wages

47m ago