ইভ্যালির অফিসে তালা

ইভ্যালির অফিস ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় অফিসের প্রবেশমুখে তালা ঝুলছে। ছবি: স্টার

চেয়ারম্যান-এমডি'র গ্রেপ্তারের পর হাজার হাজার গ্রাহক, সেলারের পাওনা টাকা ও পণ্য এবং কর্মীর বকেয়া বেতন নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে আবারও বন্ধ হলো ইভ্যালির অফিস।

আজ শনিবার ধানমন্ডির ১৪ নং সড়কে ইভ্যালির অফিসে গিয়ে দেখা যায় ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় অফিসের প্রবেশমুখে তালা ঝুলছে। সেখানে কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশ টানিয়েছেন।

নোটিশে লেখা আছে, 'তদন্ত শেষে অনুমতি সাপেক্ষে অফিস খোলা হইবে- কর্তৃপক্ষ।'

তবে, ইভ্যালি তাদের ফেসবুক নোটিশে জানিয়েছে- প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা 'হোম অফিস' করবেন এবং স্বাভাবিক সময়ের মতোই 'সার্ভিস চালু' রাখা হবে।

ফেসবুকে পোস্ট করা নোটিশে বলা হয়েছে, '১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোজ শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ইভ্যালি এমপ্লয়িগণ নিজ নিজ বাসা থেকে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। 'হোম অফিস' পদ্ধতিতে ইভ্যালির সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলমান থাকবে।'

যোগাযোগের জন্য ইভ্যালির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহদী চৌধুরীর মোবাইল ফোনে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আজও পাওনা পণ্য ও টাকার জন্য অফিসে গ্রাহকদের ভিড় করতে দেখা গেছে।

সেখানে উপস্থিত গ্রাহক মাসুদ পারভেজ জানান, তিনি পেশায় একজন ড্রাইভার। গত জানুয়ারিতে ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা দিয়ে তিনি একটি বাইক অর্ডার করেছিলেন। বাইকটি তিন মাসের মধ্যে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, আজ পর্যন্ত তিনি বাইক পাননি। পরে রিফান্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটা এখনো পাননি।

'অনেক কষ্টের টাকা পাই, ভাই। গরিবের টাকা। টাকা না পেলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে,' বলেন মাসুদ।

অনেকে বলেন, এমডি ও চেয়ারম্যানকে মুক্তি দিয়ে হলেও তাদের পাওনা যেন ফিরে পান সরকারকে সে ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

এমডি এবং চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের পর র‍্যাব গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ইভ্যালির গ্রাহক সংখ্যা ৪৪ লাখেরও বেশি। ইভ্যালি বিভিন্ন লোভনীয় অফারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে এত সংখ্যক গ্রাহক সৃষ্টি করেছে।

র‍্যাব জানায়, প্রতিষ্ঠানটির দায়ের সর্বমোট পরিমাণ ১০০০ কোটি টাকার বেশি। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে লোকসানি কোম্পানি, কোনো ব্যবসায়িক লাভ করতে পারেনি। গ্রাহকের অর্থ দিয়েই যাবতীয় ব্যয় ও খরচ নির্বাহ করা হতো। ফলে দেনা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।

উল্লেখ্য, গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।  

Comments

The Daily Star  | English

Polls no later than June 2026

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus has said that next national polls will be held within June 2026.

1h ago