ই-কমার্স ব্যবসায় সাকিব

সম্প্রতি দেশে ই-কমার্স খাতে ঘটে যাওয়া কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বিতর্ক এবং অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে আরেকটি প্ল্যাটফর্ম চালু হয়েছে।
sakib_al_hasan.jpg

সম্প্রতি দেশে ই-কমার্স খাতে ঘটে যাওয়া কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বিতর্ক এবং অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে আরেকটি প্ল্যাটফর্ম চালু হয়েছে।

গত ৬ মাস ধরে চলমান কাজের পর মোনার্ক মার্টের ওয়েবসাইট গত ২১ জানুয়ারি চালু হয়েছে বলে এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।

কোম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মো. জাহেদ কামাল গতকাল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাকিব আল হাসান কোম্পানির পরিচালক ও চেয়ারম্যান।'

তিনি জানিয়েছেন, এই কোম্পানিতে তারও বিনিয়োগ আছে।

কোম্পানিতে সাকিবের বিনিয়োগ ও শেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আনুষ্ঠানিকভাবে সাকিব নিজেই ঘোষণা করবেন।'

সাকিবকে উদ্ধৃত করে জাহেদ কামাল বলেন, 'আমরা বাংলাদেশকে একটি নতুন ই-কমার্সের অভিজ্ঞতা প্রদান করছি। গ্রাহকদের কাছে সঠিক সময়ে ন্যায্য মূল্যে মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করাই মোনার্ক মার্টের মূলমন্ত্র…।'

তিনি আরও বলেন, 'বর্তমানে বাংলাদেশে ই-কমার্স নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক নেতিবাচক ধারণা আছে। আমরা সেটি পরিবর্তন করতে চাই। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য।'

'বাংলাদেশে ই-কমার্স বাজার অনেক বড় এবং অনেকেই এখন অনলাইনে কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। সুতরাং আমরা এই বাজারের একটি অংশ দখল করতে চাই,' বলেন কামাল।

মোনার্ক মার্টের এক কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যেই বেশ কিছু পণ্যের অর্ডার পেয়েছি।'

কোম্পানির ওয়েবসাইট বলা হয়েছে, মোনার্ক মার্ট অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিক্স, ফ্যাশন, স্বাস্থ্য এবং গৃহস্থালি পণ্য, সংগীত, বই, পোষা প্রাণীর সরবরাহ, প্লেসেট, খেলাধুলা এবং বাইরের জিনিসপত্র বিক্রি করবে।

সাকিবের ইতোমধ্যেই খাদ্যসামগ্রী, শেয়ার বাজার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এবং কাঁকড়া ও এশিয়ান সোয়াম্প ইলের খামারে বিনিয়োগ রয়েছে।

শেয়ারহোল্ডারদের তালিকায় থাকা সত্ত্বেও তার প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক কার্যক্রম শুরু করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পায়নি।

প্রস্তাবিত ব্যাংকটি একটি কোম্পানি খোলার এবং গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিশোধিত মূলধন পরিচালনা করার কথা থাকলেও তা করতে পারেনি।

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বলছে, বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার ই-কমার্স সাইট এবং দেড় লাখের মতো ফেসবুকভিত্তিক আউটলেট প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার পণ্য সরবরাহ করছে। এই খাতে বার্ষিক বিক্রির গড় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা এবং প্রতি বছর প্রায় ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৩ সালের মধ্যে বিক্রি ২৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অনুবাদ করেছেন সুমন আলী

Comments

The Daily Star  | English

Frequent power cuts pile misery on city residents

With life in the capital limping in the searing heat, city dwellers are suffering due to frequent power cuts.

14h ago