করোনায় ‘স্বপ্ন’র ১৪ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিক্রি

করোনা মহামারিতেও বাংলাদেশের বৃহত্তম চেইনশপ ব্র্যান্ড ‘স্বপ্ন’র বিক্রি রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ‘স্বপ্ন’র মোট বিক্রি ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা হয়েছে। যা আগের অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা।

করোনা মহামারিতেও বাংলাদেশের বৃহত্তম চেইনশপ ব্র্যান্ড 'স্বপ্ন'র বিক্রি রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে 'স্বপ্ন'র মোট বিক্রি ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা হয়েছে। যা আগের অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা।

বিক্রি ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে যাওয়া 'স্বপ্ন'র প্রায় ১৪ বছরের ব্যবসায়িক ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

তবে, বিক্রি বাড়লেও 'স্বপ্ন' এখনো লোকসানে আছে। এসিআই লিমিটেডের সম্প্রতি প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে জানা যায়, 'স্বপ্ন' পরিচালনাকারী এসিআই লজিস্টিকস ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ১৪২ কোটি টাকার লোকসান করেছে। যা আগের বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ কম। কোম্পানির ঋণের সুদের খরচ কমায় তা লোকসান কমাতে সহায়তা করেছে।

'স্বপ্ন'র আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সুদ বাবদ বছরে খরচ ১২ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ১২৫ কোটি টাকা হয়েছে।

এসিআই লজিস্টিকসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাব্বির হাসান নাসির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'করোনায় ই-কমার্স ও টেলিফোনভিত্তিক বিক্রি বেড়েছে। যা স্বপ্নের মোট বিক্রি বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া, এই কঠিন সময়েও ঢাকার বাইরে ও ঢাকায় "স্বপ্ন"র আউটলেট খোলা হয়েছে। ফলে বেশি মানুষকে সেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অনেক উদ্বুদ্ধ ছিলেন। করোনার সময়ে কাউকে ছাঁটাই করা হয়নি। তাদের ইনক্রিমেন্ট হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'গ্রাহকদের জন্য চালু হওয়া টেলিসেলস পরিষেবার মাধ্যমে "স্বপ্ন"র নিজস্ব হোম ডেলিভারি চালু করা হয়েছে। যা প্রতি মাসে ১১ হাজার গ্রাহককে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে অর্ডার ও গ্রাহক সংখ্যা বাড়ছে। এই প্ল্যাটফর্মে এখন প্রতি মাসে ৩০ হাজারের বেশি অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে।'

জানা গেছে, গত অর্থবছরে 'স্বপ্ন'র ৫২টি নতুন আউটলেট খোলা হয়েছে। এখন ৩১টি জেলায় স্বপ্নের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

'স্বপ্ন'র ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারাদেশে তাদের ২০০ বেশি আউটলেট আছে।

'স্বপ্ন'র লোকসান প্রসঙ্গে নাসির বলেন, '২০২০-২১ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিক থেকে "স্বপ্ন" পরিচালন মুনাফা করছে। আমাদের প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০২৫ সাল থেকে আমরা নিট মুনাফা করতে পারব। যেহেতু পরিচালন মুনাফা হচ্ছে সুতরাং বিক্রির পরিমাণ বাড়তে থাকলে নিট মুনাফাও সম্ভব হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Chattogram shoe factory fire under control

A fire that broke out at a shoe accessories manufacturing factory on Bayezid Bostami Road in Chattogram city this afternoon was brought under control after two hours.

2h ago