স্টাফ রিপোর্টার, দ্য ডেইলি স্টার
শেয়ার কারসাজি করা ব্যক্তিরা ছাড়া সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার থেকে হতাশা ছাড়া আর কিছুই পাননি। বিদেশি বিনিয়োগকারীসহ অনেকে পুঁজিবাজার ছেড়ে চলে গেছেন।
খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১১ ও ২০১২ সালে জোর করে শেয়ার বিক্রি বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ফলে শেষ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
দুঃখজনক বিষয় হলো—ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কারসাজিতে জড়িয়ে পড়ে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এভাবে মধ্যস্থতাকারী অনুমোদন দেওয়ায় বাজারে ভালো কোনো ফল বয়ে আনেনি। বরং শেয়ারবাজারে সেবার মানের পতন হয়েছে, এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমেছে।
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, গত ১৪ বছরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত অনেক প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের কাজ করছে।
২০২১ সালে পুঁজিবাজারে ব্যাংকটির মোট বিনিয়োগ ছিল ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার কিনতে ব্যয় করা হয় ১০৫ কোটি টাকা, যার বিনিয়োগের মূল্য এখন ২৭ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের মাথাপিছু বিদেশি ঋণ ১৩৫ শতাংশ বেড়ে ৬০৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
কমিটির সদস্যদের সম্মানী ও বিভিন্ন সভা আয়োজনে মোট দুই কোটি ১২ লাখ টাকা খরচ করে সিএমএসএফ। এটি তাদের মোট পরিচালন খরচের এক-তৃতীয়াংশ।
তদন্তে দেখা গেছে, কক্সবাজারভিত্তিক হোটেল কোম্পানিটি বন্ড (ঋণ) পরিশোধে খেলাপি হওয়ার পর্যায়ে গিয়েছিল। এরপরও প্রতিষ্ঠানটিতে সিটি ব্যাংক কেন বিনিয়োগ এত বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করলো, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা...
বর্তমানে, চীনা ঋণের সুদের হার দুই থেকে তিন শতাংশ এবং পরিশোধের সময়কাল ২০ বছর।
ব্যাংক কোম্পানি আইনে ভেঙে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা নজিরবিহীনভাবে সাতটি ব্যাংক ও দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বড় অঙ্কের শেয়ার দখলে নেয়।
তখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছিল, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ও শেয়ারবাজার চাঙা করতে এই আয়োজন। যদিও এভাবে রোড শো করে বিদেশি বিনিয়োগ টানা বিএসইসির দায়িত্ব নয়, তাছাড়া তালিকাভূক্ত কোম্পানির টাকায়...
আটটি ব্যাংকের পরিচালকরা পারস্পরিক যোগসাজসে ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এর বাইরে চারটি ব্যাংক পরিচালকদের আত্মীয়দের প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, বেশ কয়েকটি ব্যাংকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে
এ নিয়ে টানা তিন কার্যদিবস সূচকের উত্থানে শেষ হয় এ সপ্তাহের লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পাঁচ হাজার ৪২৬ পয়েন্টে শেষ হয়েছে। যা গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি।
এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে বিনিয়োগকারী ও ক্রেতাদের মাঝে দেশের ভাবমূর্তিতে একটি বড় ধাক্কা দিয়েছে।
সম্প্রতি তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৩১টি আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করেছে।