প্রাইজবন্ড ড্রয়ের ফল জানতে সরকারি অ্যাপ

প্রাইজবন্ডের ক্রেতারা যাতে সহজেই ড্রয়ের ফলাফল মেলাতে পারেন সেজন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ প্রাইজ বন্ড রেজাল্ট ইনকোয়ারি সফটওয়্যার তৈরি করেছে।
আজ শনিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে সফটওয়্যারটির উদ্বোধন করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
সফটওয়্যারটির মাধ্যমে ২টি পদ্ধতিতে ফলাফল অনুসন্ধানের ব্যবস্থা রয়েছে। সার্চ বক্সে সরাসরি নম্বর লিখে এবং নম্বর আপলোড করে ফলাফল জানা যাবে।
www.irdbd.online থেকে এই ফল জানা যাবে।
প্রথম পদ্ধতিতে প্রাইজবন্ডের নম্বরটি (সিরিজ ব্যতীত) বাংলায় অথবা ইংরেজিতে সার্চ বক্সে দিয়ে অনুসন্ধান করা যাবে। একাধিক নম্বর একসঙ্গে অনুসন্ধান করতে হলে নম্বরগুলোকে কমা (,) দিয়ে আলাদা করতে হবে। ধারাবাহিক (সিরিজ) নম্বর অনুসন্ধানের জন্য প্রথম ও শেষ সংখ্যার মাঝে হাইফেন (-) ব্যবহার করতে হবে।
দ্বিতীয় পদ্ধতিতে প্রাইজবন্ডের নম্বরগুলো (সিরিজ ব্যতীত) মাইক্রোসফট এক্সেল সিটের কলাম এ-তে ইংরেজিতে লিখে শেষ করতে হবে এবং সরাসরি এক্সেল ফাইলটি সফটওয়্যারে আপলোড করতে হবে। সফটওয়্যারে অনুসন্ধানের তারিখ থেকে পূর্ববর্তী ২ বছরের মধ্যে প্রকাশিত সব ফলাফলের বিপরীতে কোনো মিল পেলে তার ফলাফলের কপি দেখাবে।
প্রাইজবন্ড ক্রেতারা এই সফটওয়্যার থেকে পুরস্কারের টাকা দাবি ফরম ডাউনলোড করতে পারবেন এবং প্রাইজবন্ডের ড্র সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম বলেন, '১ বছরে যে পরিমাণ পুরস্কারের টাকা ক্লেইম করার কথা, বাস্তবে দেখছি, সে পরিমাণ হচ্ছে না। অনেক টাকা আনক্লেইমড থেকে যাচ্ছে। কারণ প্রাইজবন্ডের ডিজিট সংখ্যা ৭টি। যার কারণে ড্রয়ের পরে মিলাতে অনেক সময় লাগে। তাই অনেকে মিলাতে চান না। আবার প্রাইজবন্ড ড্রয়ের তারিখটি অনেকেই ভুলে যান।'
তিনি আরও বলেন, 'এই ওয়েব সফটওয়্যারের মাধ্যমে কারও কাছে যদি ৫ হাজার প্রাইজবন্ড থাকে, তিনিও ১ মিনিটের মাধ্যমেই জানতে পারবেন কোনো পুরস্কার জিতেছেন কি না। এই সফটওয়্যারটি তৈরির জন্য গত ১ বছর ধরেই চেষ্টা চলছিল। অবশেষে এর চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখতে পাচ্ছি। আশা করছি এই সফটওয়্যার ক্রেতাদের প্রকৃত অর্থেই কাজে লাগবে।'
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, 'প্রাইজবন্ড এক সময় খুবই জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু একটা সময় পর দেখা গেল ধীরে ধীরে সেই জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। কারণ অনেক সময় লাগে প্রাইজবন্ডের ফলাফল মেলাতে। এটা ক্রেতাদের জন্য এক ধরনের যন্ত্রণা।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা প্রাইজবন্ডটাকে জনপ্রিয় করতে চাই। তারই অংশ হিসেবে এই সফটওয়্যারটি চালু করা হলো। আমাদের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের আইটি টিম নিজস্ব জনবলের সাহায্যে সুন্দর এই অ্যাপসটি তৈরি করেছে। আশা করছি এটি কার্যকরী ও উপকারী হবে প্রাইজবন্ডের ড্রয়ের লটারি মেলানোর জন্য।'
এ ছাড়াও এই সফটওয়্যারে ক্রেতারা বিনামূল্যে ই-মেইল সাবস্ক্রিপশন করতে পারবেন। যার মাধ্যমে প্রতি ৩ মাস পরপর (৩১ জানুয়ারি, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফল সম্পর্কে সাবস্ক্রিপশনপ্রাপ্ত নাগরিকরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ই-মেইলে অবহিত হতে পারবেন।
Comments