মদ উৎপাদন দ্বিগুণ করবে কেরু

স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে উৎপাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় মদ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড।
কেরুর উৎপাদিত মদ। ছবি: সংগৃহীত

স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে উৎপাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় মদ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড।

কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বরে কেরুর উৎপাদিত মদের বিক্রি ৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে

এ বছরের অক্টোবরে, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে যথাক্রমে  ১৮ হাজার ৫৭৯, ১৯ হাজার ৪৪৬ এবং ২১ হাজার কেসেরও বেশি মদ বিক্রি করেছে কেরু। প্রতিষ্ঠানটি ১৭৫ মিলিলিটার, ৩৭৫ মিলিলিটার ও ৭৫০ মিলিলিটারের বোতলে মদ বাজারজাত করে। একটি কেসে ৭৫০ মিলিলিটারের ১২টি, ৩৭৫ মিলিলিটারের ২৪টি এবং ১৭৫ মিলিলিটারের ৪৮টি মদের বোতল থাকে।

কেরুর উৎপাদিত মদ প্রতি মাসে গড়ে ১২ থেকে ১৩ হাজার কেস বিক্রি হয়ে থাকে। উৎপাদনও সে অনুযায়ী করা হয়। তবে চুয়াডাঙার দর্শনায় অবস্থিত কারখানায় বর্তমানে উৎপাদন সক্ষমতার মাত্র ৫০ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে।

২০২০-২১ অর্থবছরে কেরু মদ বিক্রি থেকে ১৯৫ কোটি টাকা লাভ করেছে।

কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সরকার একটি ১০২ কোটি ২১ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যা ২০২২ সালে শেষ হবে। এর মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় করা হবে।

এ ছাড়া রূপপুর, কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় ১টি করে বিক্রয় কেন্দ্র এবং রাজশাহী ও রামুতে ১টি করে ওয়্যারহাউস নির্মাণের মাধ্যমে বাজার সম্প্রসারণের পরিকল্পনাও করেছে কেরু।

বর্তমানে সারা দেশে কেরুর ১৩টি ওয়্যারহাউস ও ৩টি বিক্রয়কেন্দ্র আছে।

এরমধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কেরুর ২টি নতুন বিক্রয়কেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির  কর্মকর্তারা। তারা বলেন, বিক্রয়কেন্দ্রগুলো পরিচালনা করার জন্য পর্যটন করপোরেশনের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করবে কেরু।

পণ্য:

৮৩ বছরেরও বেশি পুরনো প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে ৯টি ব্র্যান্ড। এগুলো হচ্ছে-  ইয়েলো লেবেল মল্টেড হুইস্কি, গোল্ড রিবন জিন, ফাইন ব্র্যান্ডি, চেরি ব্র্যান্ডি, ইম্পেরিয়াল হুইস্কি, অরেঞ্জ কুরাসাও, জারিনা ভদকা, রোসা রাম ও ওল্ড রাম।

কেরুর সূত্রগুলো জানায়, বর্তমানে তাদের কারখানায় ৯টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আওতায় আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য প্রস্তুতকৃত ১০ লাখ ৮০ হাজার প্রুফ লিটার মদ, ২৬ লাখ লিটার দেশি স্পিরিট ও ৮ লাখ লিটার ডিনেচার্ড স্পিরিট উৎপাদন করা হয়। মদের পাশাপাশি ভিনেগার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সার, চিনি ও গুড়ের মতো অন্যান্য পণ্যও উৎপাদন করে থাকে এ প্রতিষ্ঠানটি।

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments

The Daily Star  | English

Settle disputes through dialogue, say 'no' to wars, says PM at UNESCAP meet

Prime Minister Sheikh Hasina today called for speaking out against all forms of aggression and atrocities, and to say 'no' to wars

11m ago