মায়ের হাতের রান্না ও বন্ধুদের মনে পড়ে

ঈদের আনন্দ ছুঁয়ে যায় সবাইকে। আড্ডা, খাওয়াদাওয়া আর হইহুল্লোড়ে কাটে এই একটা দিন। ঈদের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু, এলিটা ও অভিনয়শিল্পী নাবিলা ইসলাম।

ঈদের আনন্দ ছুঁয়ে যায় সবাইকে। আড্ডা, খাওয়াদাওয়া আর হইহুল্লোড়ে কাটে এই একটা দিন। ঈদের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু, এলিটা ও অভিনয়শিল্পী নাবিলা ইসলাম।
চট্টগ্রামের এনায়েত বাজারের সম্ভ্রান্ত হাজি পরিবারে আমার জন্ম। সেই সূত্রে আমি এনায়েত বাজারের ছেলে। আমার ছোটবেলার পুরোটাজুড়েই চট্টগ্রাম। আমরা একান্নবর্তী পরিবারের বড় হয়েছি। আমরা যাঁরা মুসলমান পরিবারের সন্তান তাঁদের জন্য ঈদ সবচেয়ে বড় উৎসব। তাই ঈদের উৎসবে আমাদের আনন্দটাই ছিল অন্য রকম। ছোটবেলায় রোজার ঈদে বাবা-মায়ের কাছে পাঞ্জাবি-পায়জামা নিয়ে আবদার থাকত। তাঁরাও আমার পছন্দমতো জামা কিনে দিতেন। ছোটবেলায় ঈদের সময় অনেক মজার ঘটনা ঘটেছে, এত ঘটনা বলে শেষ করা যাবে না। তবে আমার মনের মধ্যে গেঁথে আছে আত্মীয়স্বজন সবাইকে ডেকে মায়ের খাওয়ানোর ব্যাপারটি। আমার মা ছিলেন খুবই অতিথিপরায়ণ। আমাদের বাড়িতে ঈদের পরদিন রাতেই মা সবাইকে দাওয়াত করে খাওয়াতেন। আত্মীয়স্বজনের পাশাপাশি পরিচিতজনেরাও এই দাওয়াত থেকে বাদ পড়ত না। মা জীবিত থাকা পর্যন্ত এটা চালু ছিল। মা যখন সবার খাবারের আয়োজন করতেন আমি তাঁর পাশেই থাকতাম। ওই সময়টাতে মায়ের পাশে থাকতে আমার খুবই ভালো লাগত।
পেশাগত কারণে অনেক বছর ধরেই আমাকে ঢাকায় থাকতে হয়। তাই চট্টগ্রামের ঈদের অনেক কিছুই মিস করি। চট্টগ্রামে ঈদের সময় নামাজ পড়েই আমরা সবাই মিলে কবর জিয়ারত করতে যেতাম। দাদা-দাদি, নানা-নানিসহ সব মুরব্বির কবর জিয়ারত করতাম। এ ছাড়া আমার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। তাদের মধ্যে দুলাল, মোহাম্মদ আলী, সারোয়ার, সানি সবাই মিলে ঈদের দিন আমাদের বাসায় দারুণ এক আড্ডায় মেতে উঠতাম। তার সঙ্গে ছিল মায়ের হাতের রান্না করা মজার খাবার। গিটার তো সঙ্গী ছিল। চলত গানবাজানাও। এই ব্যাপারগুলোও মনে পড়ে।

Comments