টিকা না নেওয়ায় চাকরি হারালেন

টিকা না নেওয়ায় চাকরি হারিয়েছেন ড্যানিয়েল থর্নটন। ছবি: বিবিসি

ড্যানিয়েল থর্নটন স্কুলের যখন তার বাচ্চাদের জন্য স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন, তখন তিনি জানতে পারেন জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হবে। আর সেটি হলো কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করতে হবে অথবা তার দীর্ঘ ৯ বছরের ব্যাংক সিটিগ্রুপের চাকরি হারাতে হবে। 

ড্যানিয়েল এবং তার স্বামী কয়েক মাস ধরেই দেখেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাকসিন গ্রহণের আদেশ দেওয়া হচ্ছে। তার পরিবারও যেকোনো মুহূর্তে এই ধরনের আদেশের  মুখোমুখি হতে পারে বলেই ধরে নিয়েছিলেন। এরপর ফোনে সেই বার্তাটি পেলেন ইমেল আকারে।

'এ বিষেয়ে আমাদের অনেক, অনেক আলোচনা হয়েছে' উল্লেখ করে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, 'কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, বেতন চেয়ে আমাদের স্বাধীনতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।'

ভ্যাকসিনবিরোধী আন্দোলন

আমেরিকা জুড়ে হাজারো মানুষের মধ্যে ড্যানিয়েল একজন, যিনি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরিবর্তে চাকরি হারানোর সিদ্ধান্ত বেছে নিয়েছেন। 

তবে ভ্যাকসিন না নেওয়া মানুষের সংখ্যাটা সেখানে অনেক কম। বেশিরভাগ নিয়োগকর্তা যারা এই ধরনের নিয়ম চালু করেছেন; দেশের বৃহত্তম কোম্পানিগুলোর প্রায় এক তৃতীয়াংশ এবং ছোট ব্যবসায়ীদের ১৫ শতাংশ জানিয়েছেন তাদের বেশিরভাগ কর্মী নিয়মটি মেনে টিকা নিয়েছেন। 

চলতি বছর নিউইয়র্ক সিটিতে কয়েক হাজার স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, শিক্ষক এবং সরকারি কর্মচারী ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মিছিল করেছেন।

ভ্যাকসিনবিরোধী ডোনা শিমিড

লং আইল্যান্ডের বাসিন্দা ভ্যাকসিনবিরোধী ডোনা শিমিড, যিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে একটি হাসপাতালে নবজাতক শিশুদের নার্স হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি না যে মানুষ এবং তার স্রষ্টার মধ্যেকার বিষয়গুলো নির্ধারণ করা সরকারের কাজ।'

৫২ বছর বয়সী এই নারী জানিয়েছেন, তিনি তার চাকরি করতে পছন্দ করতেন কিন্তু ধর্মীয় এবং ব্যক্তিগত পছন্দের কারণে ভ্যাকসিনে আপত্তি আছে। নিজেকে তিনি এখন একজন অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে নতুন করে আবিষ্কার করছেন। ২৬ হাজার মানুষের সমন্বয়ে সেখানে নিউ ইয়র্কার্স এগেইনেস্ট মেডিকেল ম্যান্ডেটস নামে একটি শক্তিশালী তৃণমূল গ্রুপ সংগঠিত করছেন।
 

Comments

The Daily Star  | English

Rally begins near Jamuna demanding ban on Awami League

The demonstration follows a sit-in that began around 10:00pm last night in front of the Chief Adviser's residence

9m ago