অতিরিক্ত সুবিধা পেয়ে খুশি অস্ট্রেলিয়া

বাংলাদেশ সফরে আসার আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার টালবাহানার কথা নতুন কিছু নয়। সে ধারায় চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজে আসার আগেও নানা ধরণের শর্ত দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। সে সকল শর্ত মেনেও নিয়েছে বিসিবি। আর বিশেষ সুবিধা পেয়ে অজিরা বেশ খুশি বলেই মনে করেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী।
নিজেদের শর্তের কথা বাংলাদেশে আসার আগেই জানিয়ে দেয় অজিরা। বিমানবন্দর থেকেই শুরু হয় তাদের বাড়তি সুবিধা পাওয়া। সেখানে হয়নি তাদের ইমিগ্রেশন। হয় বিশেষ ব্যবস্থায়। হোটেলেও বিশেষ ব্যবস্থা। অজিরা থাকা অবস্থায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আর কোনো অতিথি রাখতে পারবে না হোটেল কর্তৃপক্ষ। হোটেলে ১০ দিন আগে ঢুকতে না পারায় খেলতে দেওয়া হচ্ছে না মুশফিকুর রহিম। লিটন দাসও থাকছেন না একই কারণে।
এছাড়া এ সিরিজে কাজ করতে যাওয়া মাঠকর্মীদের নেওয়া হয়েছে কোয়ারেন্টিনে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাদেরও প্রায় প্রতিদিন কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হবে। মাঠের ভেতর ব্রডকাস্টারদের ক্যামেরা নিয়ে ঢোকার সুযোগও থাকছে না। আর মাত্র ৭ দিনেই খেলবে সিরিজের পাঁচটি ম্যাচ। এ সব কিছুই হয়েছে অজিদের বিশেষ চাহিদায়।
আর এতো কিছু পেয়ে অস্ট্রেলিয়ার খুশি না হওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না নিজাম উদ্দিন, 'আমার মনে হয় তারা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে তা তাদের প্রত্যাশারও বেশি। তাদের যে ইনফরমেশন পাচ্ছি তাতে মনে হচ্ছে তারা এখন পর্যন্ত সবকিছু নিয়ে খুশি। বিশেষ করে ওদের প্রথম যে শর্ত ছিল- এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে যাওয়া পর্যন্ত এবং হোটেলের পরিবেশ সবকিছু নিয়ে খুশি আছে আমি মনে করি।'
অজিদের বিশেষ শর্ত মানতে অনেক পরিবর্তনই আনতে হচ্ছে বিসিবিকে। এরমধ্যেই সবকিছুর প্রস্তুতি সফলভাবেই হচ্ছে বলে জানান বিসিবির প্রধান নির্বাহী। পাশাপাশি কিছু বাড়তি কাজও করছেন বলেও জানান তিনি, 'আমাদের প্রস্তুতি মোটামুটি সম্পন্ন। ১ তারিখ থেকে অস্ট্রেলিয়া দল অনুশীলন করবে। তাদের কিছু চাহিদা বা সার্বিক বিষয় মাথায় রেখে আমাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে, সঙ্গে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ হচ্ছে।'
একটি দলকে এতো বাড়তি সুবিধা দেওয়াতেও কোনো সমস্যা দেখছেন না নিজামউদ্দিন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা স্বাভাবিক বলেই জানান তিনি, 'এখন যে পরিস্থিতি, স্ট্যান্ডার্ড বায়োবাবল প্রটোকল আছে। এই প্রটোকলের বাইরে অস্ট্রেলিয়া দল বাড়তি কিছু চাহিদার কথা জানিয়েছে, আমরা সেগুলো পূরণের চেষ্টা করেছি। এর বাইরে কিন্তু তেমন কিছু না। বিষয়টাকে বেশি ইয়ে করে (অতিরঞ্জিত করে) দেখার সুযোগ নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাই নিউ নরমাল এবং আমাদেরকে এভাবেই ইভেন্টগুলো আয়োজন করতে হবে।'
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শুরু হবে ৩ অগাস্ট। ৪ তারিখ দ্বিতীয় ম্যাচের পর ৫ অগাস্ট বিরতি। ৬ ও ৭ অগাস্ট আবার টানা দুদিন খেলা। ৮ অগাস্ট বিরতি দিয়ে ৯ তারিখ হবে সিরিজের শেষ ম্যাচ। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সবগুলো ম্যাচই শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
এতো অল্প সময়ের মধ্যে পাঁচটি ম্যাচ আয়োজনের কারণও জানান বিসিবির প্রধান নির্বাহী, 'আমাদের হাতে আর কোনো সুযোগ ছিল না। অস্ট্রেলিয়া যত কম সময়ের মধ্যে সম্ভব খেলা শেষ করে যেতে চাচ্ছে। আবহাওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হয়েছে। যেহেতু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আর মাঠের প্রস্তুতি ভালো। মাঠের ড্রেনেজ সিস্টেম সম্পর্কে আপনাদের ধারণা আছে। আশা করি খেলাগুলো আমাদের মত করে শেষ করতে পারব।'
Comments