অ্যাশেজের শেষ টেস্টেও বড় জয় অস্ট্রেলিয়ার

ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে অস্ট্রেলিয়াকে সাধ্যের মধ্যে আটকে দিলেন মার্ক উড। তাতে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয় ইংলিশদের। এক সময় লড়াইও চালিয়েছিল দলটি। অন্তত দুই ওপেনারের সুবাদে ইঙ্গিতটা তেমনই ছিল। কিন্তু হঠাৎ ধস নামে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপে। চার ওভারের মধ্যে শেষ পাঁচটি উইকেট হারিয়ে উল্টো বড় হার মানতে বাধ্য হয় সফরকারীরা।
হোবার্টে রোববার অ্যাশেজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ না হতেই ইংল্যান্ডকে ১৪৬ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১২৪ রানেই নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার তাদের দুই ইনিংসে ৩০৩ ও ১৫৫ রানে অলআউট হয়। ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে করে ১৮৮ রান।
পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজে ৪-০ ব্যবধানে জিতল অস্ট্রেলিয়া। চারটিতেই বড় জয় পেয়েছে তারা। চতুর্থ টেস্টে কোনোমতে ড্র করতে না পারলে হোয়াইটওয়াশই হতে হতো ইংলিশদের। সে টেস্টে শেষ উইকেট জুটিতে লড়াই করে সফরকারীদের রোমাঞ্চকর ড্র উপহার দিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস অ্যান্ডারসন।
তবে লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা বেশ ভালো ছিল ইংল্যান্ডের। দুই ওপেনার রোরি বার্নস ও জ্যাক ক্রাউলির জুটিতে আসে ৬৮ রান। তবে এ জুটি ভাঙতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। মাত্র ৫৬ রানের ব্যবধানে ১০টি উইকেট হারায়। শেষ ৫টি উইকেট তারা হারায় মাত্র ২৩ বলের ব্যবধানে।
এক অর্থে ইংল্যান্ডের কোনো ব্যাটারই দায়িত্ব নিতে পারেননি। বলার মতো রান কেবল করতে পেরেছেন দুই ওপেনার। ক্রাউলি ৩৬ ও বার্নস ২৬ রান করেন। কিন্তু নিজেদের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ফলে আরও একটি বড় হারই মানতে হয় ইংলিশদের।
ইংলিশদের গুটিয়ে দিয়ে উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছে সব অজি বোলারই। স্কট বোল্যান্ড ১৮ রানের খরচায় পেয়েছেন ৩টি উইকেট। ৩টি উইকেট ক্যামেরুন গ্রিনেরও। ২১ রানের বিনিময়ে এ উইকেট পেয়েছেন তিনি। কিছুটা খরুচে হলেও ৩টি উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও। অপর উইকেটটি পেয়েছেন মিচেল স্টার্ক
এর আগে ৩ উইকেটে ৩৭ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া এদিন মার্ক উডের তোপে পড়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। দলীয় ৬৩ রানেই প্রথম সারীর ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। তবে সপ্তম উইকেটে গ্রিনের সঙ্গে ৪৯ ও নবম উইকেটে কামিন্সের সঙ্গে ৩০ রানের জুটিতে সম্মানজনক স্কোর পায় অজিরা।
৮৮ বলে ৪টি চারের সাহায্যে সর্বোচ্চ ৪৯ রানের ইনিংস খেলে ব্রডের শিকার হন কারি। ইংল্যান্ডের পক্ষে ৩৭ রানের খরচায় একাই ৬টি উইকেট তুলে নিয়েছেন উড। ৫১ রানের বিনিময়ে ৩টি শিকার ব্রডের। অপর উইকেটটি পেয়েছেন ক্রিস ওকস।
প্রথম ইনিংসে ১০১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছে ট্রাভিস হেড।
Comments