আকবরের তাণ্ডবের জবাবে পাত্তা পেল না মোহামেডান

টপ অর্ডারে মাহমুদুল হাসান, ফরহাদ হোসেন আর আকবর উর রহমান করেন তিন ফিফটি। সেই ভিতে দাঁড়িয়ে খুনে ব্যাটিংয়ে চার-ছয়ের ঝড় তুলেন আকবর আলি। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার পৌঁছে যায় সাড়ে তিনশোর কিনারে। যার জবাবে একদম লড়াই করতে পারেনি তারকাবহুল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
বুধবার বিকেএসপির তিন নম্বর গ্রাউন্ডে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মোহামেডানকে ৭২ রানে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ। আগে ব্যাট করে গাজী গ্রুপ করেছিল ৩৪৬ রান। জবাবে ২৭৪ রানে আটকে যায় ফেভারিট মোহামেডান।
গাজী গ্রুপের হয়ে সবচেয়ে বড় অবদান তাদের অধিনায়ক আকবরের। মাত্র ৪৫ বলে ৫ চার, ৬ ছক্কায় তিনি অপরাজিত থাকেন ৮৯ রানে। এর আগে মাহমুদুল ৫৮ বলে ৫৯। ফরহাদ ৮২ বলে ৬২ ও আকবর উর রহমান ৬৪ বলে করেন ৫৪। পরে আকবর উর রহমান বল হাতেও নিয়েছেন ২ উইকেট। বাঁহাতি পেসার কাজি অনিক ২৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে রাখেন বড় অবদান।
বিশাল রান তাড়ায় নেমে মোহামেডানকে আশা দেখিয়েছিলেন রনি তালুকদার। একাই উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন তিনি। আরেক পাশে পাশে পারভেজ হোসেন ইমন ফেরেন দ্রুত। সৌম্য সরকার (২৮ বলে ২৩) আরও একবার থিতু হয়ে থামান দৌড়।
রনির ব্যাট তবু দিচ্ছিল ভরসা। মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়েও এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে সম্ভাবনাময় সেঞ্চুরি হাতছাড়ার সঙ্গে দলের বিপদও বেড়েছে তার বিদায়ে।৬৩ বলে ১০ চার, ২ ছক্কায় রনির ৮৩ রানের ইনিংস থামান আকবর উর রহমান।
পাকিস্তানি হাফিজ আরও এক দফা হতাশ করে ফেরেন ৩০ রানে। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসে রানের দেখা পাননি। ১০ বলে তিনি করেন কেবল ৭ রান। অধিনায়ক শুভাগত হোমের ব্যাটও হাসেনি। বিপদে পড়া মোহামেডানকে শেষ পর্যন্ত টেনেছেন জাহিদুজ্জামান। তার ৪৬ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে কেবল হারের ব্যবধানই আসলে কমেছে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে মেহেদী মারুফকে শুরুতে হারালেও পথ হারায়নি গাজী গ্রুপ। মাহমুদুল-ফরহাদ দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আনেন ১০০ রান। ৫৯ করে মাহমুদুলের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি আল-আমিন জুনিয়র। তবে ফরহাদ টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন ইনিংস। আকবর উর রহমানের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে তার ৮১ রানের আরেক জুটি গড়ে উঠে।
তাদের তৈরি করা ভিতের উপর দলকে চূড়ায় নেওয়ার কাজটি শুরু করেন আকবর। এই কিপার ব্যাটসম্যান চার-ছয়ে নাজেহাল করে দেন হাফিজ-মাহমুদুল্লাহদের। শেষ পর্যন্ত তার দুর্দান্ত ইনিংসই ম্যাচে গড়ে দেয় তফাৎ।
Comments