অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার কথা ভেবে উত্তেজনায় কাঁপছিলেন নাসুম

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে বাজে বল করে বেদম মার খেয়েছিলেন নাসুম আহমেদ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে তাই ছিল সংশয়। তবে ম্যাচের আগের দিন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো যখন একাদশে থাকার কথা নিশ্চিত করেন, তখন থেকেই উত্তেজনা ভর করেছিল ম্যাচসেরা নাসুমের মনে।
মঙ্গলবার টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়াকে হারায় বাংলাদেশ, ২৩ রানে। স্মরণীয় জয়ে ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরার পুরস্কার হাতে পান বাঁহাতি স্পিনার নাসুম।
অথচ ম্যাচটি খেলা নিয়ে দোলাচলে ছিলেন নাসুম। আগের দিন নেটে অনুশীলন চলাকালে একাদশে থাকার খবর জেনেই উত্তেজনা ভর করেছিল তার উপর, 'কালকে (সোমবার) যখন নেটে বল করছিলাম তখন কোচ আমাকে বলল যে, কাল (মঙ্গলবার) তুমি খেলবে। তাই তোমার ওপর অনেক দায়িত্ব। সেই সময় থেকেই আমি ভাবছিলাম, খেললে আমি কী করব, কী করব না। অনেক উত্তেজনা কাজ করছিল ভেতরে। শেষ একটা ম্যাচে একটু বাজে বল করেছি। তো যখন আমরা ১৩১ করেছি, তখন নামার আগে রিয়াদ ভাই (অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ) বলল, আমরা এ রানেই লড়াই করব, ডট বল করব, যতটুক পারি চেষ্টা করব জেতার জন্য। তো ওই ডট বলের চিন্তাই করেছিলাম।'
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বল হাতে পান নাসুম। তার দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মেরে দেন জশ ফিলিপি। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে নাসুম ওই ওভারে আনেন সাফল্য। তার চতুর্থ বলে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন ফিলিপি।
ওই ওভারের পরে আর কোনো বাউন্ডারি হজম করেননি নাসুম। দশম ওভারে অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড তার বাইরের বলে ক্যাচ দেন শর্ট লেগে। ইনিংসের ১৪তম আর নিজের তৃতীয় ওভারে আবার সাফল্য। এবার অ্যাস্টন অ্যাগার তার বলে অনেক পেছনে গিয়ে খেলতে গিয়ে হন হিট উইকেট। ভাগ্য নাসুমের পক্ষে থাকার পাশাপাশি রান আটকে দেওয়ার মতো বল করে চাপ বাড়িয়েছেন তিনি। সাফল্য ধরা দেয় তাতেই।
নিজের শেষ ওভারে নাসুম পান ম্যাচের সবচেয়ে বড় উইকেট। ওই ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে ফেরান সর্বোচ্চ ৪৫ করা মিচেল মার্শকে। তখন ৮৪ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে বসে অজিরা। ম্যাচ চলে আসে বাংলাদেশের মুঠোয়।
নাসুম জানান, খেলার বিরতিতে উইকেটের ধরন দেখেই তারা জানতেন এই ম্যাচ জেতা খুব সম্ভব, 'আমরা যে রান করছি, ওটাতে ডিফেন্ড করা সম্ভব ছিল। আমাদের চেষ্টাও ছিল, সেই সঙ্গে উইকেটেও সাহায্য ছিল। আমরা সেটাও কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।'
উইকেটের ধরন অনুযায়ী সাফল্য পেতে দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আর মাহমুদউল্লাহর পরামর্শ বেশ কাজে লেগেছে তার, 'যখন প্রথম দুটো বল করলাম ব্যাক অব লেন্থে, তখন সাকিব ভাই আমাকে বলল, এই উইকেটে আস্তে বলটাই ভালো এবং সামনে করলে ভালো হয়। তো ওটাই চেষ্টা করেছি। চারটা ওভার যে করেছি, সবসময়ই সাকিব ও রিয়াদ ভাই আমার সঙ্গে কথা বলেছে।'
Comments