আফগান সিরিজের আগে সেরে ওঠার প্রত্যাশায় তাসকিন

ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

পিঠের পুরনো চোট ফিরে আসায় আগেভাগে বিপিএল শেষ হয়ে গেছে তাসকিন আহমেদের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে আসন্ন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে ফিট ওঠার লড়াইয়ে আছেন তিনি। প্রশ্ন হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত সময়মতো সুস্থ হয়ে উঠবেন তো তিনি? সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ছন্দে থাকা এই পেসার আশ্বস্ত করে জানালেন, শঙ্কার কিছু নেই।

চোটকে সঙ্গী করে গত সপ্তাহে বিপিএলের সিলেট পর্বে গিয়েছিলেন তাসকিন। সেখানে তার দল সিলেট সানরাইজার্সের ম্যাচ ছিল তিনটি। কিন্তু 'হোম' ভেন্যুতে প্রথম ম্যাচের আগেই আসে তার ছিটকে যাওয়ার খবর। এরপর থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফিজিওর অধীনে চলছে তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।

শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমকে তাসকিন বলেছেন, অনুশীলনে ভালো অনুভব করছেন তিনি, 'আজকে বল করলাম। ফুল রান আপ-শর্ট রান আপ মিলিয়ে প্রায় ছয় ওভার। রানিং-জিম চলছে, পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোচ্ছি। আমাদের ট্রেইনার ও ফিজিওর অধীনে আমি প্রোগ্রাম করছি। সব সময় তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কোনো সমস্যা হয়নি।'

আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এরপর দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ মাঠে গড়াবে ৩ মার্চ থেকে। সেরে উঠে রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীদের বিপক্ষে খেলার ব্যাপারে আশাবাদী তাসকিন, 'আজকের বোলিং সেশনে নিজের প্রতি নিজের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। একটা জায়গায় ব্যথা লাগলে একটু জড়তা কাজ করতো। সেটা চলে গেছে। আশা করি, সামনের সেশনগুলো করতে পারলে আরও ভয় কাটবে, আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আমার বিশ্বাস, আফগানিস্তান সিরিজ নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই। যদি সেখানে আমাকে বিবেচনা করা হয়, আশা করি, ফিট থাকব।'

ভারতের বেঙ্গালুরুতে চলছে আইপিএলের মেগা নিলাম। খেলোয়াড়দের তালিকায় নাম রয়েছে তাসকিনের। তবে দল পাওয়া নিয়ে তার কণ্ঠে নেই জোর, 'না, আসলে সত্যি কথা বলতে, আমার ওইটা নিয়ে কোনো আশা নাই। আমাদের অনেক টেস্ট খেলা আছে (দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে)। তাই খেলার সুযোগও কম থাকবে। পেলে অবশ্য ভালো লাগতো। যেহেতু আইপিএলের সময় টেস্ট খেলা আছে, দল পাওয়ার সুযোগ অনেক কম।'

Comments

The Daily Star  | English
price hike of essential commodities in Bangladesh

Essential commodities: Price spiral hits fixed-income families hard

Supply chain experts and consumer rights activists blame the absence of consistent market monitoring, dwindling supply of winter vegetables, and the end of VAT exemptions granted during Ramadan.

15h ago