আরিফুলের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি

পাকিস্তানের বিপক্ষে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন আরিফুল ইসলাম। কিন্তু সতীর্থদের ব্যর্থতায় হারতে হয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও দারুণ এক সেঞ্চুরি করলেন এ ব্যাটার। কিন্তু সতীর্থরা পারলেন না সে অর্থে সহায়তা করতে। ফলে সপ্তমও হতে পারলো না যুবারা।
আন্টিগায় কুলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সপ্তম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের যুবাদের ২ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৯৩ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছায় প্রোটিয়া যুবারা।
২৯৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে দলীয় ২৪ রানেই প্রোটিয়াদের ওপেনিং জুটি ভাঙে বাংলাদেশ। জেড স্মিথকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচে পরিণত করেন মুশফিক হাসান। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে রোনান হারমানকে নিয়ে ৮৬ রানের জুটি গড়ে জুয়াদের হতাশা বাড়ান ডেভিড ব্রেভিস।
এরপর মেহেরব হাসানের জোড়া আঘাতে ১৭ রানের ব্যবধানে তিনটি উইকেট তুলে ম্যাচে ফিরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এক প্রান্ত ধরে রাখেন ব্রেভিস। কেডান সলোমনসকে নিয়ে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। সলোমনসকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন মুশফিক।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে ম্যাথিউ বোস্টকে নিয়ে আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন ব্রেভিস। স্কোরবোর্ডে ৭৪ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর অবশ্য মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটার সহ ৪টি উইকেট তুলে নিয়েছিল যুবারা। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেনি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৩৮ রানের ইনিংস খেলেন ব্রেভিস। ১৩০ বলে ১১টি চার ও ৭টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন রোনান। এছাড়া ২২ বলে ২টি ও ৪টি ছক্কায় ৪১ রান করেন বোস্ট। বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রিপন মণ্ডল, মুশফিক হাসান ও মেহেরব।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম ও প্রান্তিক নওরোজ নাবিল করেন ৫৭ রানের জুটি। এরপর অবশ্য ২৮ রানের ব্যবধানে এ দুই সেট ব্যাটার সহ আইচ মোল্লাকে হারায় তারা। ফলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
তবে চতুর্থ উইকেট মোহাম্মদ ফাহিমকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আরিফুল। ৫৫ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। এরপর ফাহিম আউট হলে মেহেরব হাসানকে নিয়ে আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন তারা। স্কোরবোর্ডে ১১৭ রান যোগ করেন তারা। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় যুবারা।
দলের পক্ষে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে সর্বোচ্চ ১০২ রান করেন আরিফুল। ১০৩ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। নাবিলের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান। এছাড়া ফাহিম ও মেহেরব দুই জনই করেন ৩৬ রান করে। মাহফিজুলের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৫৫ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন কেনা মাফাকা। ২টি শিকার লিয়াম অল্ডারের।
Comments