আল-আমিন, মোসাদ্দেকের নৈপুণ্যে চ্যাম্পিয়ন ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল

ফাইনালের ঠিক আগেই দেখা হয়েছিল দুই দলের। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে। বল হাতে মোস্তাফিজুর রহমান ও ব্যাট হাতে তৌহিদ হৃদয় জ্বলে ওঠায় ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলকে হারিয়েছিল বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল। কিন্তু  শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খুঁজে পাওয়া গেল না তাদের। হতাশ করল তাদের সতীর্থরাও। মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ও আল-আমিনের হাফসেঞ্চুরিতে স্বাধীনতা কাপে চ্যাম্পিয়ন হলো মধ্যাঞ্চল।

শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দক্ষিণাঞ্চলকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে মধ্যাঞ্চল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর পরও দক্ষিণাঞ্চল ৪৮.৫ ওভারে গুটিয়ে যায় মাত্র ১৬৩ রানে। জবাবে ৪২.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান তুলে শিরোপা ঘরে তোলে মধ্যাঞ্চল।

লক্ষ্য তাড়ায় এক পর্যায়ে ৭৬ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলে মধ্যাঞ্চল। এরপর মোসাদ্দেক ও আল-আমিন সময় নিয়ে জমিয়ে ফেলেন জুটি। তারা পঞ্চম উইকেট আনেন অবিচ্ছিন্ন ৮৮ রান। অফ স্পিনে ৪৫ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর মোসাদ্দেক অপরাজিত থাকেন ৮৫ বলে ৩৩ রানে। ফিফটির স্বাদ নিয়ে আল-আমিন দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ৬৯ বলে ৫৩ করে।

৫০ ওভারের এই লিস্ট 'এ' টুর্নামেন্টের আগে চার দিনের প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া আসর বিসিএলেও মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। ওই লড়াইয়েও শুভাগত হোমের জোড়া সেঞ্চুরিতে দক্ষিণাঞ্চলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মধ্যাঞ্চল।

দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ রান তোলেন পিনাক ঘোষ ও এনামুল হক বিজয়। দ্বাদশ ওভারে এই জুটি ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। এলবিডব্লিউ হয়ে বিজয় ফেরেন ৩৪ বলে ২০ রান করে। তার বিদায়ে খেই হারায় দলটি। অল্প সময়ের মধ্যে বিদায় নেন পিনাক ও হৃদয়। ৪৭ বলে ৩৫ রান করে পিনাক হন সৌম্য সরকারের শিকার। হৃদয় খুলতে পারেননি রানের খাতা।

চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন অমিত হাসান ও অধিনায়ক জাকির হাসান। কিন্তু তাদের জুটিকে এগোতে দেননি মোসাদ্দেক। দুজনকেই পরপর দুই ওভারে ফেরান তিনি। জাকির ২৬ বলে ১৪ ও অমিত ৬১ বলে ২৯ রান করেন। তারা আউট হওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দক্ষিণাঞ্চল। কেবল নাহিদুল ইসলাম লড়াই করতে পারেন ব্যাট হাতে। তিনি করেন ৪৮ বলে ৩১ রান।

জবাব দিতে নেমে দারুণ শুরু পায় মধ্যাঞ্চলও। মিজানুর রহমান ও সৌম্য গড়েন ৬৫ রানের ওপেনিং জুটি। কিন্তু সৌম্যের বিদায়ে পথ হারায় দলটি। আর ১১ রান যোগ করতে তারা হারায় আব্দুল মজিদ, মোহাম্মদ মিঠুন ও মিজানুরকে। তবে দক্ষিণাঞ্চলকে এরপর চেপে বসতে দেননি মোসাদ্দেক ও আল-আমিন। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষ হাসি হাসেন তারা।

মিজানুর করেন ৫৩ বলে ৩৯ রান। সৌম্য আউট হন ২৫ বলে ২১ করে। এছাড়া, মজিদ ১ ও মিঠুন ৪ রানে সাজঘরে ফেরেন। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ৩২ রানে নেন ৩ উইকেট। মোস্তাফিজ সমান সংখ্যক রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য।

Comments

The Daily Star  | English

People cautioned of travelling to India, affected countries as Covid spreads

DGHS has also instructed to enhance health screening and surveillance measures at all land, river, and airports

14h ago