ইয়াসির আলীর সেঞ্চুরিতে এগিয়ে চট্টগ্রাম

বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়দের একজন ভাবা হয় ইয়াসির আলীকে। গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের ড্রেসিং রুমের নিয়মিত মুখ তিনি। যদিও কেবল ড্রেসিং রুমেই শেষ হয় তার যাত্রা। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে এখনও মাঠে নামা হয়নি তার। তবে নিজের জাত বরাবরই চিনিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে চালকের আসনে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে এদিন আগের দিনের ২ উইকেটে ১২৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা। স্কোরবোর্ডে এদিন ২০ রান যোগ হতেই অধিনায়ক মুমিনুল হককে হারায় দলটি। ভাঙে ১৩৪ রানের জুটি। এরপর সাহাদাত হোসেন ও ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে ৩৯ ও ৪৩ রানের দুটি ছোট জুটি গড়েন আউট হন ইয়াসির। এরপর মেহেদী হাসান রানাকে নিয়ে ইরফান শুক্কুরের ৫৬ রানের জুটিতেই বড় লিড পেয়ে যায় দলটি। শেষ পর্যন্ত ৩৪৯ রান অলআউট হয় তারা।
প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে নিজের নবম সেঞ্চুরি তুলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২৯ রানের ইনিংস খেলেন ইয়াসির। ১৯৮ বলে ১৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ১০৪ বলে ২টি চারের সাহায্যে ৬৩ রান করেন শুক্কুর। অধিনায়ক মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। ৯৪ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন অধিনায়ক। রানার ব্যাট থেকে আসে কার্যকরী ৩৬ রান। রাজশাহীর পক্ষে ৯৯ রানের খরচায় ৫টি উইকেট পেয়েছেন সানজামুল ইসলাম। ১১৯ রানে বিনিময়ে ৪টি উইকেট পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
প্রথম ইনিংসে ১৮৩ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রাজশাহীর। দলীয় ৩১ রানেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে দলটি। এরপর চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪৮ রানের জুটি গড়ে দলকে আশা দেখাচ্ছেন তৌহিদ হৃদয় ও জহুরুল ইসলাম। হৃদয় ২৬ ও জহুরুল ২১ রানে ব্যাট করছেন। দ্বিতীয় দিন শেষে ১০৪ রানে পিছিয়ে আছে তারা।
দ্বিতীয় স্তরের অপর ম্যাচে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রোপলিস ও বরিশাল বিভাগের মধ্যকার ম্যাচে এদিন এক বল মাঠে গড়ায়নি। বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত হয়।
Comments