উইন্ডিজকে অনায়াসে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত

নিকোলাস পুরানের ফিফটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই সংগ্রহ নিয়ে ভারতকে হারাতে দারুণ কিছু করে দেখাতে হতো দলটির বোলারদেরও। কিন্তু লক্ষ্য তাড়ায় অধিনায়ক রোহিত শর্মা শুরুতেই ঝড় তুলে এলোমেলো করে দেন ক্যারিবিয়ানদের। তাতে জয়ের ভিত পেয়ে যাওয়া ভারতীয়দের হয়ে বাকি কাজটা সারেন সুরিয়াকুমার যাদব ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার।
বুধবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। ফলে তিন ম্যাচ সিরিজে তারা এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান করে সফরকারীরা। জবাবে ৭ বল হাতে রেখে ৪ উইকেট খুইয়ে ১৬২ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে ভারত।
ওপেনিংয়ে নেমে রোহিত খেলেন ১৯ বলে ৪০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ৩ ছক্কা। এর আগে ভারতের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণোই কাড়েন আলো। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি।
রান তাড়ায় রোহিতের তাণ্ডবে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৮ রান তোলে ভারত। এর মধ্যে ওডিন স্মিথের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভার থেকেই আসে ২২। অষ্টম ওভারে সীমানা পার করতে গিয়ে রোস্টন চেজের শিকার হন রোহিত। মিড-উইকেটে তার ক্যাচটি নেন স্মিথ। তাতে ভাঙে ৬৪ রানের উদ্বোধনী জুটি।
আরেক ওপেনার ইশান কিশান ছিলেন খোলসে বন্দি। তাকেও ফেরান চেজ। ৩৫ রান করতে তার লেগে যায় ৪২ বল। ইশানের তিন বল আগেই সাজঘরের পথ ধরেন বিরাট কোহলি। উইকেটে গিয়ে দারুণ স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন তিনি। কিন্তু তার সম্ভাবনাময় ইনিংসের ইতি ঘটে লং-অফে উইন্ডিজ দলনেতা কাইরন পোলার্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে। কোহলি করেন ১৩ বলে ১৭ রান।
৮ বলে ৮ করা রিশভ পান্ত হতে পারেননি থিতু। টাইমিংয়ে গড়বড় করে তিনি মাঠ ছাড়েন দলীয় ১১৪ রানে। এরপর পঞ্চম উইকেটে ২৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪৮ রানের জুটিতে হেসেখেলেই জিতে যায় ভারত। সুরিয়াকুমার ১৮ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন ৫ চার ও ১ ছক্কায়। ২ চার ও ১ ছয়ে ভেঙ্কটেশ অপরাজিত থাকেন ১৩ বলে ২৪ রানে।
আগে ব্যাটিংয়ে নামা উইন্ডিজের পক্ষে ৪৩ বলে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন পুরান। ৪ চারের পাশাপাশি ৫ ছক্কা মারেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে কাইল মায়ার্সের সঙ্গে ৩৬ বলে ৪৭ ও ষষ্ঠ উইকেটে পোলার্ডের সঙ্গে ২৫ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। মায়ার্স ২৪ বলে করেন ৩১ রান। পোলার্ড অপরাজিত ছিলেন ১৯ বলে ২৪ রানে।
Comments