এই ৩০ রানই রোচের জীবনের সেরা

জেতার আশা অনেকটা ফিকে হয়ে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবে কেমার রোচ নিজের উপর বিশ্বাসটা রেখেছিলেন। অতি প্রতিকূল অবস্থায় শেষ ব্যাটসম্যান জেডন সিলসকে নিয়ে ম্যাচ জেতানোর পর ভাষা হারানোর অবস্থা তার। পেসার রোচ ব্যাটসম্যান বনে ৩০ রানের যে ইনিংস খেলেছেন, সেটার তার জীবণের সবচেয়ে স্মরণীয়।
রোববার স্যাবাইনা পার্কে টানটান উত্তেজনায় ঠাসা প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ১ উইকেটে হারায় ক্যারিবিয়ানরা।
১৬৮ রান তাড়ায় নেমে ১১৪ রানে যখন ৭ উইকেট পড়ে, ম্যাচ অনেকটাই হেলে গিয়েছিল পাকিস্তানের দিকে। দলের ১৪২ রানে শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান জশুয়া দা সিলভা আউট হওয়ার সময় জিততে লাগত আরও ২৬ রান।
ওই অবস্থায় হাল ধরেন রোচ। জোমেল ওয়ারিকনকে নিয়ে ৯ ও সিলসকে নিয়ে ১৭ রানের জুটিতে ম্যাচ জিতিয়ে দেন তিনি। অপরাজিত থাকেন ৫২ বলে ৩০ রানে।
টেল এন্ডার হিসেবে টুকটাক ব্যাটিং জানা রোচের টেস্টে এরচেয়ে বড় ইনিংস আছে ৭টি। তবে রান সংখ্যায় এটার মূল্য যে কতখানি বলার অপেক্ষা রাখে না। ম্যাচ শেষে বললেন এটাই তার জীবনের সেরা, 'আমি চেয়েছি ইতিবাচক থাকতে। প্রতিটি বল মেপে খেলার চেষ্টা করেছি। এটাই আমার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। আমার লক্ষ্য ছিল ফাঁকা জায়গায় বল ঠেলে দৌঁড়াব। নিজের উপর বিশ্বাস ছিল।'
নবম উইকেট পড়ার সময়ও আরও ১৭ রান দরকার ছিল। সিলসকে নিয়ে সেই কাজটা করেছেন দারুণভাবে।। তবে সিলসও এতে রাখেন বড় ভূমিকা। তার ১৩ বলে ২ রানের ইনিংস ম্যাচের প্রেক্ষিতে অনেক বড়। রোচ জানালেন, এই তরুণের প্রতি কেবল বল ঠেকানোর বার্তা ছিল তার, 'ওকে বলেছি খালি স্টাম্প বাঁচাও। সে ভালোভাবেই তা পেরেছে। নিশ্চিতভাবেই সে আগামীর বড় তারকা। ৫ উইকেট নেওয়া আমাদের আগামীর পথে বারতা দিচ্ছি। তার জন্য শুভকামনা।'
জ্যামাকার কিংসটনে বল হাতেও দলের জয়ে বড় ভূমিকা এই দুজনের। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস ২১৭ রানে থামিয়ে দিতে রোচ ২ আর সিলস নেন ৩ উইকেট। নিজেরা প্রথম ইনিংসে ২৫৩ রান করে ছোটখাটো লিড পাওয়ার পর ফের বোলিং তোপ রোচ-সিলসের। রোচ নেন ৩ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে কমবয়েসী বোলার হিসেবে টেস্টে ৫ উইকেট নিয়ে নেন সিলস। পাকিস্তান ২০৩ রানে আটকে গেলে ১৬৮ রানের লক্ষ্য পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যা রোমাঞ্চে মাতিয়ে তুলেছে ক্যারিবিয়ানরা।
১ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
Comments