ওয়ানডের বর্ষসেরা হওয়ার দৌড়ে সাকিব

শেষ হতে যাওয়া বছরের ওয়ানডে সংস্করণে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের দৌড়ে আছেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গে লড়াইয়ে পাকিস্তানের বাবর আজম, দক্ষিণ আফ্রিকার ইয়ানেমান মালান ও আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং।

২০২১ সালের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে আইসিসি অ্যাওয়ার্ডসের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির তালিকা প্রকাশ করছে আইসিসি। বর্ষসেরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির তালিকার পর ওয়ানডের তালিকাও দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বৃহস্পতিবার ওয়ানডের জন্য দেওয়া তালিকায় রয়েছে বাঁহাতি তারকা সাকিবের নাম।

সাকিব

৯ ম্যাচে ৩৯.৫৭ গড়ে ২৭৭ রান ও ১৭.৫২ গড়ে ১৭ উইকেট।

নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে ফেরেন সাকিব। ঘরের মাঠে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের বিপক্ষে সিরিজসেরার পুরস্কার জেতেন সাকিব। ওয়ানডেতে ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করায় সবার সামনে থেকে ভূমিকা রাখেন তিনি। ব্যাট হাতে ১১৩ রানের পাশাপাশি বল হাতে নেন ৬ উইকেট।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে অবশ্য একেবারেই মলিন ছিলেন সাকিব। ওই সিরিজে তার প্রাপ্তি ১৯ রানের সঙ্গে ৩ উইকেট। তবে জিম্বাবুয়ে সফরে তিন ম্যাচের সিরিজে চেনা রূপে ফেরেন তিনি। আবার হন সিরিজসেরা। সবমিলিয়ে করেন ১৪৫ রান ও দখল করেন ৮ উইকেট।

বাবর

৬ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরিসহ ৬৭.৫০ গড়ে ৪০৫ রান

মাত্র ৬ ওয়ানডে খেললেও ২০২১ সালে পাকিস্তানের দুইটি সিরিজেই অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান বাবর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি ছিলেন সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ২২৮ রান করে সিরিজসেরার পুরস্কারও বগলদাবা করেন তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করার পর তৃতীয় ওয়ানডেতে ৮২ বলে ৯৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

ইংল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশড হলেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে অধিনায়ক বাবর ছিলেন ঝলমলে। সিরিজে ১৭৭ রান এসেছিল তার ব্যাট থেকে। কিন্তু সতীর্থদের কাছ থেকে পাননি সহায়তা। কেউই সবমিলিয়ে ১০০ রান করতে পারেননি।

মালান

৮ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরিসহ ৮৪.৮৩ গড়ে ৫০৯ রান

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল মালানের। খুব অল্প সময়েই দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশে নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠেছেন তিনি। ২০২১ সালে ওয়ানডেতে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি।

এ বছর প্রোটিয়াদের জার্সিতে মালান প্রথমবার নামার সুযোগ পান পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে। দল হারলেও ৭০ রানের ইনিংসে আলাদা করে নজর কাড়েন তিনি। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাননি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজসেরা হন ব্যাট হাতে ২৬১ রান করে। পরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি।

স্টার্লিং

১৪ ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরিসহ ৭৯.৬৬ গড়ে ৭০৫ রান

শেষ হতে যাওয়া বছরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক স্টার্লিং। শুরুটাই তার হয়েছিল দুর্দান্ত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে হাঁকান স্মরণীয় এক সেঞ্চুরি। যদিও আইরিশরা ম্যাচটা হেরে গিয়েছিল।

আফগানিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের সিরিজে দল হোয়াইটওয়াশড হলেও স্টার্লিং ছিলেন আপন মহিমায় উজ্জ্বল। ২ সেঞ্চুরিসহ তিনি করেছিলেন ২৮৫ রান। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পরের সিরিজেও হাসে তার ব্যাট। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিবর্ণ দশা কাটালেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রানে ফেরেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Fakhrul urges EC to work swiftly for fair, acceptable election

Prof Yunus deserves thanks for instructions over polls preparations

2h ago