ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশই করল পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বার বল হাতেই নিয়েই রুদ্ররূপ ধারণ করলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। পাকিস্তানের টপ অর্ডার ধসিয়ে লক্ষ্যটা খুব বড় হতে দেননি। কিন্তু আসল কাজটাই করতে পারলেন না। ব্যাট হাতে আবারও ব্যর্থ। ব্যর্থ তার সতীর্থরাও। ফলে পাকিস্তানে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারলো না ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫৩ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৪৮ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান করে দলটি। জবাবে ৬৪ বল বাকি থাকতেই ২১৬ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। ফলে ৩-০ ব্যবধানে ক্যারিবিয়ানদের হোয়াটওয়াশ করে সিরিজ জিতে নিল স্বাগতিকরা।
এদিন মূলত শাদাব খানের কাছে হেরে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অসাধারণ অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখান তিনি। প্রথমে দলের বিপর্যয়ে ব্যাট হাতে দলকে এনে দিয়েছেন লড়াইয়ের পুঁজি। এরপর বল হাতেও জ্বলে ওঠেন। ধসিয়ে দেন ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিং লাইন আপ।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে গড়ে ওঠেনি বলার মতো বড় কোনো জুটি। ১২৯ রানেই ছয় উইকেট হারিয়ে লেজ বেরিয়ে যায় দলটির। এরপর এক প্রান্তে ঝড় তুলে কিছুটা চেষ্টা চালান আকিল হোসেন। তবে তার চেষ্টা কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেন আকিল। ৩৭ বলের ইনিংসে ৬টি ছক্কা মারেন এ অলরাউন্ডার। সঙ্গে ছিল দুটি চারও। এছাড়া ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন কেসি কার্তি। পাকিস্তানের পক্ষে ৬২ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন শাদাব। এছাড়া হাসান আলী পান ২টি উইকেট।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের সূচনাটা ছিল দারুণ। ৮৫ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক। এরপর অখ্যাত স্পিনার নিকোলাস পুরানের স্পিনে ধসে পড়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইন আপ। স্কোরবোর্ডে ৩২ রান যোগ হতে পাঁচটি উইকেট হারায় তারা। এরমধ্যে চারটিই পান পুরান।
ফখরকে (৩৫) বোল্ড করে ওপেনিং জুটি ভাঙেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। মাঝে অবশ্য পাক অধিনায়ক বাবর আজমকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন হেয়ডেন ওয়ালস। সব সংস্করণ মিলিয়ে টানা নয় ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি পাওয়ার পর এদিন শুরুতেই আউট হন বাবর।
এরপর ইমামকে উইকেটরক্ষক সেই হোপের তালুবন্দি করেন পুরান। তবে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এ ওপেনার। ৬৮ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় করেন ৬২ রান। এ নিয়ে টানা সাতটি ওয়ানডে ম্যাচে ফিফটির দেখা পেলেন এ ওপেনার। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকেও হোপের ক্যাচে পরিণত করেন পুরান। মোহাম্মদ হারিসকে তো রানের খাতাই খুলতে দেননি।
দলীয় ১১৭ রানে প্রথম সারির পাঁচ উইকেট হারানোর পর দলটির হাল খুশদিল শাহকে নিয়ে ধরেন শাদাব। মাঝে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ ঘণ্টা খানেক খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচের পরিধি কমে আসে ৪৮ ওভারে। বৃষ্টির পর ভালোই খেলতে থাকে এ জুটি ষষ্ঠ উইকেটে ৮৪ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার।
এরপর খুশদিল (৩৪) ফিরে গেলে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন শাদাব। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৮৬ রানের ইনিংস। ৭৮ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৪৮ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান পুরান। এছাড়া ২টি শিকার কিমো পলের।
Comments