কামিন্স-লায়নদের তোপে প্রথম দিনেই ব্যাকফুটে ইংল্যান্ড

সিরিজ বাঁচানোর টেস্টে দরকার ছিল আরও বেশি আত্মনিবেদন, আরও বেশি দৃঢ়তা। ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে পাওয়া গেল না তার কোন কিছুই। অধিনায়ক জো রুটই যা কিছু লড়লেন, বাকিরা করলেন হতাশ। এক টেস্ট পর ফিরে শুরুতেই ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার কাঁপিয়ে দিলেন অজি কাপ্তান প্যাট কামিন্স। উইকেট নেওয়ায় যোগ দিলেন মিচেল স্টার্ক, অভিষিক্ত স্কট বোল্যান্ডরা। শেষ দিকে ইংল্যান্ডকে মুড়ে দেন অফ স্পিনার ন্যাথান লায়ন।
রোববার মেলবোর্নে বক্সিং ডেতে শুরু হওয়া তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই দাপট অস্ট্রেলিয়ার। ইংল্যান্ডকে মাত্র ১৮৫ রানে গুটিয়ে দিয়ে দিনশেষে ১ উইকেটে ৬১ রান তুলেছে তারা।
সফরকারীদের গুটিয়ে দিতে সমান ৩৬ রান দিয়ে ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন কামিন্স ও লায়ন। ৫৪ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক। ৪৮ রানে ১ উইকেট বোল্যান্ডের, ক্যামেরন গ্রিন ৭ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দিনের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ওপেনার হাসিব হামিদ কামিন্সের বলে ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে। ররি বার্নসের জায়গায় নেমে জ্যাক ক্রলিও ব্যর্থ। ১২ রান করে তিনিও শিকার কামিন্সের। দাবিদ মালান তিনে নেমে বেশি দূর আগাতে পারেননি। থিতু হওয়ার চেষ্টা করে তিনিও কাবু হন কামিন্সের ঝাঁজে।
৬১ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে দিশে দেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন রুট। থিতু হয়ে আশাও বাড়াচ্ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ড অধিনায়কের সম্ভাবনাময় ইনিংসটা থেমেছে ফিফটি স্পর্শ করেই। স্টার্কের বলে তিনিও ধরা দেন উইকেটের পেছনে।
সিরিজে আরও একবার থিতু হয়ে ইনিংস বড় করতে না পারার যন্ত্রণায় পুড়েছেন বেন স্টোকস। জস বাটলার দেখাতে পারেননি আগের টেস্টের নিবেদন। মার্ক উড, ওলি রবিনসনদের নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টায় চালিয়ে খুব একটা সফল হতে পারেননি জনি বেয়ারস্টো। ৩৫ করা বেয়ারস্টোকে স্টার্ক ফিরিয়ে দিলে আর কোন সম্ভাবনা থাকেনি ইংল্যান্ডের। দ্রুতই লেজ মুড়ে দেন লায়ন।
শেষ সেশনে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া পায় জুতসই শুরু। দুই ওপেনার মার্কাস হ্যারিস ও ডেভিড ওয়ার্নার অনায়াসেই এগিয়ে যেতে থাকেন। খেলতে থাকেন আগ্রাসী মেজাজে। একদম শেষ বিকেলে ৪২ বলে ৩৮ করা ওয়ার্নারকে তুলে নেন জেমস অ্যান্ডারসন। ৫১ বলে ২০ রান করে অপরাজিত আছেন হ্যারিস। নাইটওয়াচম্যান নেমে ৫ বল খেলে অপরাজিত লায়ন।
Comments