কেমন গেল মোস্তাফিজের আইপিএল?

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি দিল্লি ক্যাপিটালসের জন্য ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। তাতে হতাশায় পুড়তে হয়েছে রিশভ পান্তের দলকে। টিম ডেভিডের খুনে ব্যাটিংয়ে প্লে অফের আগেই থামতে হয়েছে দিল্লিকে। আগের চার ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও দিল্লি একাদশে সুযোগ পাননি বাংলাদেশের তারকা মোস্তাফিজুর রহমান।
এবারের আইপিএলে সব মিলিয়ে ৮ ম্যাচ খেলার সুযোগ পান মোস্তাফিজ। এই ৮ ম্যাচে খুব বেশি আলো কাড়তে পারেননি। তার বোলিং থেকে এসেছে ৭.৬২ রান। ৩০.৫০ গড়ে উইকেট নিয়েছেন কেবল ৮টি। অবশ্য কিছু ম্যাচে শেষ দিকে ভাল বল করেছিলেন তিনি। যদিও তার দলের চাহিদা ছিল আরও বেশি।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ওয়ানডে সিরিজ খেলে মুম্বাই পৌঁছে কোয়ারেন্টিনের কারণে প্রথম ম্যাচটি খেলতে পারেননি মোস্তাফিজ। পরের ৮ ম্যাচে টানা ছিলেন একাদশে। এরপর শেষ পাঁচ ম্যাচ তাকে কাটাতে হয় বেঞ্চে বসে।
তার বদলে শেষ দিকে টানা খেলেছেন চোট থেকে সেরে উঠা প্রোটিয়া পেসার আনরিক নরকিয়া। গতিময় এই তারকাকে আগের আসরের দল থেকে ধরে রেখেছিল দিল্লি। ৬ ম্যাচ খেলে ওভারপ্রতি ৯.৭১ করে রান দিলেও নরকিয়া দিল্লিকে এনে দেন ৯ উইকেট।
শনিবার রাতে পরের পর্বে যাওয়ার মিশনে ১৫৯ রান করেছিল দিল্লি। ১৬০ রানের লক্ষে এক পর্যায়ে ম্যাচ কঠিন হয়ে যায় মুম্বাইর। টিম ডেভিড যখন ব্যাট করতে নামেন তখন ৩৩ বলে চাই ৬৫ রান। প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন ডেভিড। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেওয়ার সুযোগ ছিল দিল্লির। কে ভেবে আর তা নেননি পান্ত। রিপ্লেতে দেখা যায় রিভিউ নিলে ওখানেই থামতে হতো ডেভিডকে।
জীবন পাওয়ার পর এই ডানহাতি হয়ে যান খুনে। মাত্র ১১ বলে ২ চার, ৪ ছক্কায় করেন ৩৪। পরে রামদীপ সিংয়ের ৬ বলে ১৩ রানে জিতে যায় মুম্বাই। এর আগে ৩৫ বলে ৪৮ করে জেতার রাস্তা করে দেন ইশান কিশানও।
এই হারের পর ১৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থাকল দিল্লি। আইপিএলে কোয়ালিফায়ার-এ খেলবে গুজরাট টাইটান্স-রাজস্থান রয়্যালস। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে লড়বে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
নিজের গড়পড়তা পারফরম্যান্স ও দলের হতাশার আইপিএল শেষে রোববারই দেশে ফিরছেন মোস্তাফিজ। লাল বলের চুক্তিতে না থাকা এই পেসারকে আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট দলে চায় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।
Comments