কোহলিদের হারানোর কিছুই ছিল না

ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৫ রান, শেষ বলে ৫। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, শ্রীকার ভরত মিলে সেই রানটা তুলে দলকে পাইয়ে দেন দারুণ জয়। এই জয়ের পরও প্রথম দুই দলের মধ্যে থাকতে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ফাইনালে যেতে তাই দুটি ধাপ সামনে বিরাট কোহলিদের। তবে অধিনায়ক কোহলি মনে করছেন প্লে অফ রাউন্ডে নামার আগে দল পেয়েছে সেরা আত্মবিশ্বাস।
আইপিএলের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে শুক্রবার রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টেবিলের শীর্ষে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালস আর বেঙ্গালুরুর ম্যাচ হয় রোমাঞ্চকর। দিল্লির ১৬৪ রান টপকাতে গিয়ে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়া বেঙ্গালুরু খেলায় ফিরে ভারত-ম্যাক্সওয়েলের জুটিতে। ভরত ৫২ বলে ৭৮, ম্যাক্সওয়েল ৩৩ বলে করেন ৫১।
শেষ ওভারে ১৫ রান করার দরকার দেখা দিলে আবেশ খানের প্রথম বলে চার মারেন ম্যাক্সওয়েল। পরের তিন বল থেকে আসে ৫ রান। ম্যাচ জিততে শেষ বলে দরকার দাঁড়ায় ৫। বাউন্ডারি মারলে ম্যাচ হতো টাই। ভরত মেরে দিন বিশাল ছক্কা। ম্যাচ জিতে উৎসবে মাতে কোহলিরা। এমন ম্যাচ জেতার পেছনে মানসিক শক্তিকেই বড় করে দেখছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক, 'অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ। আমাদের আসলে কিছুই হারাবার ছিল না। তবু শুরুতে বিপর্যয়ের পরও শীর্ষে থাকা দলকে হারানো দারুণ ব্যাপার। এই মৌসুমে দুবারই ওদের হারালাম। আমরা জানতাম ওদের আটকাতে পারব। এবিডি ভিলিয়ার্স, ভরত আর ম্যাক্সওয়েল তো বরাবরের মতই দুর্দান্ত ।'
এই জয়ের পরও প্রথম দুই দলের মধ্যে থাকতে পারেনি বেঙ্গালুরু। তৃতীয় হওয়ায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচ খেলতে হবে তাদের।
চেন্নাই সুপার কিংসের সমান ১৮ পয়েন্ট হলেও রানরেটে পিছিয়ে থাকে কোহলির দল। চেন্নাইকে টপকাতে হলে শেষ ম্যাচে দিল্লিকে ১৬৩ রানের ব্যবধানে হারাতে হতো। সেই অসম্ভব চেষ্টায় যাওয়া বিচক্ষণ মনে হয়নি কোহলির, 'দুইয়ে থাকতে হলে ১৬৩ রানে জিততে হতো। আমরা এটা জেনেই আগে ফিল্ডিং নেই। কারণ তাড়া করে জিতলে আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়। প্লে অফের আগে যেটা খুব দরকার ছিল। এই মৌসুমে রান তাড়ায় বেশি ব্যাট করেনি। তাই পরে ব্যাট করা দরকার ছিল। এতে প্রমাণ হয় যেকোনো পরিস্থিতিতে ম্যাচ বের করতে পারি আমরা।'
আইপিএলের লিগ পর্বের শেষ দিনে অনুমিত হিসেব নিকেশের বাইরে কিছু হয়নি। কলকাতাকে টপকে প্লে অফে যেতে অসম্ভব এক সমীকরণ ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। সানরাইজার্স হায়দরবাদের বিপক্ষে ২৩৫ রানের পাহাড় গড়েও লাভ হয়নি তাদের। সানরাইজার্স জবাবে ১৯৩ রান করে ম্যাচ হারে ৪২ রানে। কিন্তু মুম্বাইর ম্যাচ জেতা দরকার ছিল কমপক্ষে ১৭১ রানে।
প্লে অফ রাউন্ড শুরু হবে ১০ অক্টোবর (রোববার)। ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রতিপক্ষ চেন্নাই সুপার কিংস। পরদিন এলিমিনেটর ম্যাচে খেলবে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম কোয়ালিফায়ারে পরাজিত ও এলিমিনেটরে জয়ী দল বুধবার মুখোমুখি হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে।
Comments