ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের পরও হতাশ বুমরাহ

বছর পর বছর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে সাফল্য এনে দেওয়া জাসপ্রিট বুমরাহকে এবার যেন চেনাই যাচ্ছিল না। নিজের ছায়া হয়ে থাকা এই পেসার যেন হারিয়ে ফেলেছিলেন ধার, খরুচে বল করছিলেন, উইকেটও আসছিল না। দলও হারছিল। অবশেষে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবার নিলেন ৫ উইকেট। এমন দিনেও বড় হারে ম্লান হতে হলো তাকে।
সোমবার রাতে মুম্বাইর ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন বুমরাহ। এরমধ্যে একটি ওভারে নেন ট্রিপল উইকেট মেডেন!
বুমরাহর এমন ঝাঁজের মাঝেও ৯ উইকেটে ১৬৫ রান করে কলকাতা নাইট রাইডার্স। রান তাড়ায় ১১৩ রানে মুখ থুবড়ে পড়ে মুম্বাইর ইনিংস। তারা হারে ৫২ রানের বড় ব্যবধানে। এবারের আইপিএলে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ১১ ম্যাচের ৯টাই হারল।
অথচ এদিন ভিন্ন কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন বুমরাহ। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দুইশোর বেশি ম্যাচ খেললেও এতদিন পাঁচ উইকেট ছিল না, এদিন এসেছিল তা।
আগের ১০ ম্যাচে বুমরাহর উইকেট ছিল কেবল ৫টি। এদিন এক ম্যাচেই পেলেন পাঁচ উইকেট। এর আগে সাত ম্যাচ ছিলেন উইকেটশূন্য।
চতুর্থ ওভারে বল করতে এসে দিয়েছিলেন ৫ রান। এদিন তার সবচেয়ে খরচে ওভার সেটি। ১৫তম ওভারে এসেই দ্বিতীয় বলে ফেরান আন্দ্রে রাসেলকে। ওই ওভারের শেষ বলে ২৬ বলে ৪৩ করা নিতিশ রানাকেও ফিরিয়ে দেন তিনি।
১৮তম ওভারে বুমরাহ দেখান সেরা ঝলক। নিজের তৃতীয় ওভারে কোন রান না দিয়েই নেন ৩ উইকেট। নেনে শেলডন জ্যাকসন, প্যাট কামিন্স আর সুনিল নারাইনের উইকেট। জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও। নিজের শেষ ওভারেও দেন কেবল ১ রান।
দল হারলেও তাই ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। তবে ম্যাচ শেষে জানালেন এমন ব্যক্তিগত অর্জন ঠিক স্বস্তি দিতে পারছে না তাক, 'সবসময়ই দলে অবদান রাখতে পারা ভাল অনুভূতি দেয় কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের জয়। আজ আমাদের সুযোগ ছিল কিন্তু আমরা পারিনি।'
এবার এমন নিষ্প্রভ থাকা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন আগের ম্যাচগুলো ভাল না গেলেও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গেছেন তিনি, 'আমি কোন ফিগার ভেবে বল করি না। আমার লক্ষ্য থাকে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা। কখনো আপনি ভাল বল করেও উইকেট পাবেন না। খুবই মরিয়া হওয়া যাবে না। যেটা পারি সেটাই করে যেতে হবে।'
Comments