খাওয়াজার সেঞ্চুরি, ব্রডের ৫ উইকেট

করোনায় ছিটকে যাওয়া ট্রেভিস হেডের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন উসমান খাওয়াজা। সুযোগটা শতভাগ কাজে লাগাতে কোন ভুল করেননি তিনি। দারুণ এক সেঞ্চুরিতে রাঙিয়েছেন নিজের ফেরা। স্টিভেন স্মিথও ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তবে তাকে ফিরিয়ে দেন স্টুয়ার্ট ব্রড। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস টেনে ধরতে পাঁচ উইকেট নেন ইংলিশ। যদিও চারশো ছাড়িয়েই ইনিংস ঘোষণা করেছে স্বাগতিকরা।
বৃহস্পতিবার সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেটে ৪১৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। বিনা উইকেটে ১৩ রান তুলে দিন শেষ করেছে ইংল্যান্ড।
৩ উইকেটে ১২৬ রান নিয়ে নেমে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান খাওয়াজা আর স্মিথ দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকে দেখার দৃঢ়তা। খেলতে থাকেন সাবলীল গতিতে। চতুর্থ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া পেয়ে যায় বড় জুটি।
১১৫ রানের জুটির পর ৬৭ করা স্মিথ ব্রডের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। এরপর ক্যামেরন গ্রিনকে দ্রুতই ছেঁটে ফেলেন ব্রড। কিপার ব্যাটসম্যান আলেক্স ক্যারি এসে সঙ্গ দেন খাওয়াজাকে। টেস্টে নবম সেঞ্চুরি তুলে নিতে কোন সমস্যা হয়নি বাঁহাতি খাওয়াজার।
৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৪৩ রান আসার পর ১৩ করা ক্যারি শিকার হন জো রুটের স্পিনে। অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে নিয়েও দলকে টানতে থাকেন খাওয়াজা। সপ্তম উইকেটে তাদের দুজনের জুটিতে আসে ৪৬ রান। ২৪ করা কামিন্সও ব্রডের বলে ক্যাচ দেন কিপারের গ্লাভসে।
অষ্টম উইকেটে মিচেল স্টার্ককে নিয়ে বড় জুটি পান খাওয়াজা। অজিদের চারশো ছাড়ানোর পথ হয়ে যায় তখন। ৬৭ রানের জুটির পর অবশেষে বিদায় নেন খাওয়াজা। তাকে বোল্ড করে ক্যারিয়ারে ১৯তম পঞ্চম শিকার ধরেন ব্রড। পরে লায়নের সঙ্গে মিলে আরও কিছু রান যোগ করেন স্টার্ক, দল ছাড়িয়ে যায় চারশো। স্টার্কের ব্যাট থেকে আসে ৬০ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের মহা গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ১৩৪.৪ ওভারে ৪১৬/৮ (ইনিংস ঘোষণা) (ওয়ার্নার ৩০, হ্যারিস ৩৮, লাবুশেন ২৮, স্মিথ ৬৭, খাওয়াজা ১৩৭, গ্রিন ৫, ক্যারি ১৩, কামিন্স ২৪, স্টার্ক ৩৪* লায়ন ১৬* ; অ্যান্ডারসন ১/৫৪, ব্রড ৫/১০১, স্টোকস ০/৩৭, উড ১/৭৬, লিচ ০/৯৮, মালান ০/১৫, রুট ১/৩৬)
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৫ ওভারে ১৩/০ (হামিদ ২*, ক্রলি ২* ; কামিন্স ০/১, স্টার্ক ০/৪)
Comments