চান্দিমালের দৃঢ়তায় বড় লক্ষ্য পাচ্ছে পাকিস্তান

নিরোশান ডিকভেলা যখন আউট হন, তখন শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২৩৫ রান। লেজ বেরিয়ে যায় দলটির। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে অসাধারণ লড়াই চালিয়ে যান দিনেশ চান্দিমাল। লেজের ব্যাটারদের নিয়ে এরপর স্কোরবোর্ডে প্রায় একশ রান যোগ করেন তিনি। তাতে পাকিস্তানকে বিশাল লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা।

সোমবার গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে আগের দিনের ১ উইকেটে ৩৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে ৩২৯ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করে। ফলে ৩৩৩ রানে এগিয়ে আছে স্বাগতিকরা।

তবে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা বলেই হয়তো সাহসটা পাচ্ছে পাকিস্তান। নিজেদের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে মাত্র তিন বার তিনশ রানের বেশি লক্ষ্য তাড়া করে জিততে পেরেছে তারা। যার দুটিই আবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। টেস্টে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটাও এই লঙ্কানদের বিপক্ষেই। ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কার মাঠ পাল্লেকেলেতে ৩৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল পাকিস্তান জিতেছিল ৭ উইকেটে।

আগের দিনই অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে হারানো দলটি অবশ্য দিনের শুরুতেই হারায় নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা কাসুন রাজিথাকে। এরপর ওশাডা ফার্নান্ডোর সঙ্গে দলের হাল ধরেন কুসল মেন্ডিস। তৃতীয় উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৯১ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। ওশাডাকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন ইয়াসির শাহ।

এরপর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজকে নিয়ে ৩২ রানের আরও একটি জুটি গড়েন মেন্ডিস। ম্যাথিউজের বিদায়ের পর মাঠে নামেন দিনেশ চান্দিমাল। তখন থেকেই এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে টেনে নিতে থাকেন এ ব্যাটার। ছোট ছোট জুটিতে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান তিনি। অবশ্য ব্যক্তিগত ৬৯ রানে হাসান আলীর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন চান্দিমাল। তবে সে সুযোগ লুফে নিতে পারেনি পাকিস্তান।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৬ রান তুলে অপরাজিত রয়েছেন চান্দিমাল। ১২১ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ ব্যাটার। তার সঙ্গে ব্যক্তিগত ৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন প্রভাত জয়সুরিয়া। ১২৬ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৭৬ রান করেন মেন্ডিস। ১২ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন ওশাডা।

পাকিস্তানের পক্ষে ৮৮ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ১২২ রানের বিনিময়ে টি শিকার ইয়াসির শাহর। অপর উইকেটটি পান হাসান আলী।

Comments

The Daily Star  | English

Metro rail service resumes after 1.5 hours

The setback caused enormous suffering to commuters during the rush hour

1h ago