ছোটবেলার বন্ধুর সঙ্গে বিশ্ব রেকর্ড জুটি

ঈশান কিশান ফিরে গিয়েছিলেন তৃতীয় ওভারেই, এরপর সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে যোগ দেন দীপক হুডা। শুরু করেন তাণ্ডব। দুই পাশ থেকে চার-ছক্কার ঝড়ে উড়তে থাকে ভারত। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব রেকর্ডই করে ফেলেন তারা। রানের পাহাড় গড়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচ জেতার পর হুডা বললেন, আইপিএলের ধারটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও রাখতে পারায় খুশি তিনি।
মঙ্গলবার ডাবলিনে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডকে শেষ বলের উত্তেজনায় ৪ রানে হারায় ভারত। আগে ব্যাট করে হুডার সেঞ্চুরির, স্যামসনের ঝড়ো ইনিংসে ভারত করেছিল ২২৫। শেষ বল পর্যন্ত খেলায় থেকে আইরিশরা থামে ২২১ রানে।
ওয়ানডাউনে হুডা যখন ব্যাট করতে নামেন ভারতের রান তখন ১৩। ১৭তম ওভারে স্যামসন যখন ৪২ বলে ৭৭ করে ফিরছেন তখন দলের রান ১৮৯। এরমধ্যে হয়ে যায় ১৭৬ রানের জুটি।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আরেক রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডের জস বাটলার ও দাবিদ মালানের। ২০২০ সালে কেপটাউনে তারা ১৬৭ রানে অবিচ্ছিন্ন ছিলেন। স্যামসন ফেরার পর হুডা চালিয়ে গেছেন আরও। ১৮তম ওভারে আউট হওয়ার আগে করে গেছেন ৫৭ বলে ১০৪।
ম্যা শেষে এই আগ্রাসী ব্যাটার জানান, আগ্রাসী ধরণে খেলার অ্যাপ্রোচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ধরে রাখতে পারায় তৃপ্তি তার, 'সত্যি কথা বলতে, খুব ভালো একটা আইপিএল কাটিয়ে এসেছি একই ধরণে খেলে। আমি আমার খেলার ধরণে খুশি। আমি এরকম মেরে খেলতে ভালোবাসি। এখন উপরে খেলার সুযোগ পাচ্ছি, সময়ও পাচ্ছি।'
স্যামসনের সঙ্গে জুটির রসায়ন যে এমনি এমনি হয়নি। সেই বয়সভিত্তিক দল থেকে দুজনে খেলেন একসঙ্গে, যার ছাপ পড়েছে এবার, 'সঞ্জু আমার ছোটবেলার বন্ধু, সব সময় ওর সঙ্গে ব্যাট করতে ভালোবাসি। ভক্তদের ধন্যবাদ। যেভাবে তারা আমাদের সমর্থন করেছে তা দারুণ।'
এই দুজনের নৈপুণ্যে বড় পুঁজি পেয়েও রীতিমতো নাজেহাল হতে হয়েছে। জিততে হয়েছে অনেক কষ্ট করে। রান তাড়ায় পল স্টার্লিং, অ্যান্ডি বালবার্নি, হ্যারি টেক্টর, জর্জ ডকরেল, মার্ক অ্যাডাইররা প্রত্যেকেই তুলেন ঝড়। বাঁচিয়ে রাখেন আইরিশদের আসা। শেষ পর্যন্ত ১ বলে ছক্কার সমীকরণ মেলানো হয়নি তাদের।
Comments