জাতীয় লিগে নেমেই ৭ উইকেট নিলেন নাসুম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফেরার একদিন পর মাঠে নেমেই বল হাতে জাদু দেখালেন নাসুম আহমেদ। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ৭ উইকেট নিলেন সিলেট বিভাগের এই বাঁহাতি স্পিনার। তার নৈপুণ্যে কোনোমতে একশ পেরিয়ে গুটিয়ে গেল ঢাকা বিভাগ।
রোববার জাতীয় লিগের (এনসিএল) প্রথম স্তরে চতুর্থ রাউন্ডের প্রথম দিন শেষে লিড নেওয়ার পথে আছে সিলেট। প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৯ রান। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেট প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় মাত্র ১২৩ রানে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টার্নিং উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ঢাকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেন নাসুম। নিজের প্রথম ও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তিনি ফেরান তিন ব্যাটারকে। রনি তালুকদার, জয়রাজ শেখ ও রকিবুল হাসানের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেনি। পরের ওভারের প্রথম বলে আব্দুল মজিদও খালি হাতে ফিরলে শূন্য রানে ৪ উইকেট খোয়ায় ঢাকা।
বিপর্যয়ের পড়া ঢাকাকে টানেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও তাইবুর রহমান। পঞ্চম উইকেটে তারা গড়েন ৮৯ রানের জুটি। তাইবুরকে ফিরিয়ে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করেন নাসুম। এরপর ফের তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দলটির ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ ৬ উইকেট তারা হারায় মোটে ৩৪ রানে।
ঢাকার মাত্র তিন ব্যাটার দুই অঙ্কে পৌঁছান। ১২৪ বলে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান অঙ্কন। তিনিও শিকার হন নাসুমের। সবমিলিয়ে ১৮ ওভারে ৬ মেডেনসহ জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার ৭ উইকেট পান ৪৩ রানে। প্রথম শ্রেণিতে তার আগের সেরা বোলিং ফিগার ছিল ৯৭ রানে ৭ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে ২৮ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় সিলেট। এরপর জুটি বেঁধে তাদেরকে এগিয়ে নিচ্ছেন সায়েম আলম ও জাকির হাসান। হাতে ৮ উইকেট নিয়ে দলটি পিছিয়ে আছে মাত্র ৪৪ রানে।
সিলেট একাডেমি মাঠে প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান তুলেছে খুলনা বিভাগ। রংপুর বিভাগের বিপক্ষে টস জিতে তারা আগে ব্যাটিং বেছে নেয়।
তিনে নামা ইকরুল কায়েস ১৮৩ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন। আটে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত আছেন ১০১ বলে ৭২ রানে। তার কল্যাণে আড়াইশ পেরিয়েছে খুলনার সংগ্রহ। রংপুরের হয়ে আলাউদ্দিন বাবু ও সোহরাওয়ার্দি শুভ ৩টি করে উইকেট নেন।
Comments