জাতীয় লিগে ফিরে সৌম্যের ব্যাটে রান, আল-আমিনের ৫ উইকেট

বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর টি-টোয়েন্টি দল থেকে জায়গা হারানো সৌম্য সরকার জাতীয় লিগে রান পেয়েছেন। বিপর্যয়ে হাল ধরে ফিফটি করে খুলনা বিভাগকে লিড পাইয়ে দিয়েছেন তিনি।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে জাতীয় লিগের টায়ার ওয়ানের ম্যাচে সিলেটকে ১৩২ রানে আটকে দেয় খুলনা। এরপর নিজেরাও স্বস্তিতে থাকতে পারেনি। খুলনা করে ১৮৩ রান। সৌম্য করেন ৫৭, নাহিদুল ইসলাম করেন ৬৪।
৫১ রানের লিড নিয়ে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান তুলেছে সিলেট। তৃতীয় দিন শেষে তারা এগিয়ে আছে ২৯ রানে।
৮ উইকেটে ১৩২ রান নিয়ে নেমে আর কোন রান না যোগ করেই গুটিয়ে যায় সিলেট। এরপর ব্যাট করতে গিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। ১০ রানের মধ্যেই আউট হয়ে যান অমিত মজুমদার, এনামুল হক বিজয়, ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ মিঠুন।
চরম বিপর্যস্ত অবস্থায় জুটি বাধেন নাহিদুল-সৌম্য। পঞ্চম উইকেটে তারা যোগ করেন ১০১ রান। ৮৭ বলে ৭ চারে ৫৭ করে ফেরেন সৌম্য। জিয়াউর রহমান, রায়হান উদ্দিন দ্রুত ফেরার পর মাসুম খান টুটুলকে নিয়ে দলের রান বাড়ান নাহিদুল।
১০৮ বলে ৭ চারে ৬৪ করে ফেরেন নাহিদুল। শেষ দিকে আল-আমিন হোসেনও ১৭ রান করলে ১৮৩ তে যায় খুলনা।
প্রথম ইনিংসে ৩৪ রানে ৫ উইকেট নেওয়া আল-আমিন হোসেন দ্বিতীয় ইনিংসেও আসাদুল্লাহ গালিবকে তুলে নিয়েছিলেন। আরেক ওপেনার শাহনাজ আহমেদ আহত হয়ে মাঠ ছাড়লে অমিত হাসান-জাকির হাসান মিলে পার করে দেন দিন।
শুভাগতের ফিফটি, লিটনের জাতীয় লিগে ফেরা
বিকেএসপিতে টায়ার ওয়ানের আরেক ম্যাচে ঢাকা বিভাগের ৩৭১ রানের জবাবে ১ উইকেটে ৬৮ রান করেছে রংপুর। টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়া লিটন দাস ৪৫ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত আছেন।
আগের দিনের ৪ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে নেমে তাইবুর পারভেজ-শুভাগত হোমের ব্যাটে এগিয়ে যায় ঢাকা। তাইবুর ৩২ করে ফেরার পর নাদিফ চৌধুরীকে নিয়ে বড় জুটি পান শুভাগত। দুজনেই দিচ্ছিলেন সেঞ্চুরির আভাস।
৭৯ রানের জুটির পর ৭৬ করা শুভাগত হন রান আউট। সুমন খানের সঙ্গে আরেক জুটিতে ছুটে চলে দলের রান বাড়ান নাদিফ। তবে তিন অঙ্কের আশা পূরণ হয়নি তারও। ৮২ রান করে শিকার হন তানবীর হায়দারের।
শেষ দিকে এনামুল হক-সালাউদ্দিন শাকিলরা আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ রান আনেন।
মাইশুকুর রহমানকে নিয়ে ঢাকার জবাব দিতে নামেন লিটন। দলের ২১ রানে মাইশুকুর ফিরে যাওয়ার পর তানবীরকে নিয়ে দিন পার করে দেন তিনি।
Comments