জাতীয় লিগে মোহাম্মদ মিঠুনের বিধ্বংসী বোলিং

তার মুল পরিচয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে টুকটাক বোলিং করার অভ্যাস রয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের। এমনকি উইকেটও ছিল তার ঝুলিতে। কিন্তু এদিন যেন পুরোদুস্তর বোলার হয়ে গেলেন তিনি। একাই তুলে নিয়েছেন ৭টি উইকেট। অথচ এর আগে তার পুরো ক্যারিয়ারেই সব সংস্করণ মিলিয়ে উইকেট ছিল ৭টি।

মঙ্গলবার সাভারের বিকেএসপিতে জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডের তৃতীয় দিন শেষে ৩৭১ রানে এগিয়ে আছে ঢাকা বিভাগ। চতুর্থ ইনিংসে ৩৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে খুলনা বিভাগ। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২১৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৭ রান তুলে দিন শেষ করেছে তারা। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৫৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা।

আগের দিনের ৮ উইকেটে ১৮০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা খুলনা এদিন শেষ ২টি উইকেট হারিয়ে আর ৩৩ রান যোগ করতে পারে। মূলত শুভাগত হোমের ঘূর্ণিতে পড়ে দলটি। একাই সাত উইকেট তুলে নেন তিনি।

প্রথম ইনিংসে ১২২ রানের লিড নিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। আব্দুল মজিদ ও রনি তালুকদারের ব্যাটে লিড আরও বড় হতে থাকে দলটির। ওপেনিং জুটিতে ১৩৯ রান যোগ করে এ দুই ওপেনার। এরপর মিঠুনের ঘূর্ণিতে পড়ে দলটি। তাতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি।

৯১ বলে ৮৭ রান করেন রনি। ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। মজিদ খেলেন ৬১ রানের ইনিংস। তাইবুর রহমান ৩৭ ও শুভাগত ৩৩ রান করে করেন। খুলনার পক্ষে ২০.৫ ওভার বল করে ৭৫ রানের খরচায় ৭টি উইকেট নেন মিঠুন।

সাভারে রংপুর বিভাগ ও সিলেট বিভাগের মধ্যকার দিনের অপর ম্যাচটি অনেকটা ড্রয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। তৃতীয় দিন শেষে অমিত হাসান ও জাকির হাসানের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৪৫৫ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছে সিলেট। তৃতীয় দিন শেষে ৬২ রানের লিড পেয়েছে তারা

অমিত ১৮৬ রানের ইনিংস খেলেন অমিত। ৪২২ বলে ১৯টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। জাকির খেলেন ১২২ রানের ইনিংস। ২৪৮ বলে ১৪টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া সায়েম আলমের ব্যাট থেকে আসে ৪৯ রান। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৯৩ রান করে অলআউট হয় রংপুর বিভাগ।

সিলেটে ড্রয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বরিশাল বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগের মধ্যকার ম্যাচটিও। এদিন ৪২১ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করেছে রাজশাহী। প্রথম ইনিংসে তাদের লিড ৮৮ রানের। তবে এদিন আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ফরহাদ রেজাকে। এক রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। ১১১ বলে ১০টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৯৯ রান করেন তিনি। জুনায়েদ সিদ্দিকি ৭১, প্রিতম কুমার ৬৭ ও ফরহাদ হোসেন ৫২ রান করেন। বরিশালের পক্ষে ১২০ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নেন রুয়েল মিয়া। ৩টি উইকেট পান তানভির ইসলাম।

অপর ম্যাচে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ১৮৬ রানের লিড পেয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। এদিন ৫ উইকেটে ২২১ রান তুলে দিন শেষ করেছে দলটি। অসাধারণ ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি পথে এগিয়ে যাচ্ছেন সাহাদাত হোসেন। ২০৩ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯৭ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। সৈকত আলী ৩২ রানে তার সঙ্গে ব্যাট করছেন। এছাড়া ইরফান শুক্কুর ৩৩ রান করেন।

Comments

The Daily Star  | English
bad loans rise in Bangladesh 2025

Bad loans hit record Tk 420,335 crore

It rose 131% year-on-year as of March of 2025

13h ago