জয়ের জন্য বোলারদের কৃতিত্ব দিলেন মাহমুদউল্লাহ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম টি-টোয়েন্টির চেয়ে ভালো ছিল দ্বিতীয় ম্যাচের উইকেট। প্রথম অংশে বাংলাদেশের ইনিংস চলাকালে টার্ন ও অসমান বাউন্সের দেখা মেলে। তবে পরের ভাগে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সময় রান তোলা হয়ে যায় তুলনামূলক সহজ। ফ্লাডলাইটের নিচে শিশিরের জন্য তেমন সহায়তা পাননি বোলাররা। তারপরও ১৪১ রানের পুঁজি নিয়ে জেতায় তাদেরকে কৃতিত্ব দিতে কার্পণ্য করেননি স্বাগতিক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ৪ রানের ঘাম ঝরানো জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজ ঘরে তোলার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে তারা। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তারা এগিয়ে গেছে ২-০ ব্যবধানে। টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪১ রান তোলে মাহমুদউল্লাহর দল। জবাবে অধিনায়ক টম ল্যাথামের লড়াই সত্ত্বেও লক্ষ্য থেকে দূরে থামতে হয় নিউজিল্যান্ডকে। পুরো ওভার খেলে কিউইরা তুলতে পারে ৫ উইকেটে ১৩৭ রান।

উইকেট থেকে পর্যাপ্ত সাহায্য না মিললেও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জয় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন কিছুটা খরুচে ছিলেন। তবে শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ ও সাকিব আল হাসান রানের চাকায় লাগাম টেনে ধরেন। নিউজিল্যান্ডের পতন হওয়া ৫ উইকেটের সবগুলোই ভাগাভাগি করে নেন এই তিন স্পিনার।

ম্যাচের পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর প্রশংসা পান বাংলাদেশের বোলাররা, 'আমার মনে হয়, উইকেট আজকে বেশ ভালো ছিল, আগের ম্যাচের তুলনায়। দিনের বেলায়, যখন আমরা ব্যাট করেছি, তখন স্পিন ধরছিল। বাউন্সও একটু উঁচু-নিচু হচ্ছিল। কিন্তু লাইটের নিচে আমার মনে হয়, আস্তে আস্তে উইকেট ভালো থেকে আরও ভালো হচ্ছিল। বোলাররা খুবই ভালো বোলিং করেছে। এই উইকেটে ১৪০ (মূলত ১৪১ রান) রক্ষা করতে পেরেছে। কৃতিত্ব বোলারদের।'

মোস্তাফিজের করা শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২০ রান দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের। এক পর্যায়ে, তা নেমে আসে ২ বলে ১৩ রানে। সেসময় হাই-ফুলটস দিয়ে নো-বল করে ফেলেন বাঁহাতি তারকা মোস্তাফিজ। ব্যাটের আলতো টোকায় ওই ডেলিভারি থেকে চার আদায় করে নেন ল্যাথাম। তাতে নাটকীয়তা ছড়ায় ম্যাচে, জমে ওঠে লড়াই। তবে মোস্তাফিজ স্নায়ুচাপ সামাল দেওয়ায় শেষ ২ বলে ৮ রানের সমীকরণ মেলানো হয়নি ল্যাথামের। ৩ রানের বেশি আনতে পারেননি তিনি।

রোমাঞ্চকর সমাপ্তি নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'টি-টোয়েন্টিতে এই ধরনের চ্যালেঞ্জের কম-বেশি প্রায়ই মুখোমুখি হতে হবে। বোলিংয়ে থাকেন বা ব্যাটিংয়ে… অনেক সময় ব্যাটিংয়ে থাকলে ১২ বলে ২০ বা ১২ বলে ২৪ রান তাড়া করা লাগতে পারে। অন্যদিকে, বোলারদের হয়তো শেষদিকে কোনো পুঁজি রক্ষা করা লাগতে পারে, এক বা দুই ওভারে। যেটা আজকে মোস্তাফিজ বুদ্ধিদীপ্তভাবে করেছে এবং খুব ভালোভাবে শেষ করেছে। এজন্য আমরা ম্যাচটি জিততে পেরেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Investment slump deepens

Imports of capital machinery have fallen to multi-year lows, dipping even below Covid-19 levels

8m ago