তরুণদের নিয়েই চ্যালেঞ্জে চট্টগ্রাম

বিপিএল-২০২২ (দল পর্যালোচনা)

ড্রাফটের বাইরে থেকে খেলোয়াড় নেওয়ায় চট্টগ্রাম হাঁটে বেশ ব্যতিক্রম পথে। সবাইকে অবাক করে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে সবার আগে দলে নেয় তারা। বিদেশি বাছাইয়েও বড় কোন তারকা পায়নি দলটি। দলটির বিশেষত্ব হলো সবচেয়ে যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার দলে রেখেছে তারা।

বিপিএলে এবারও চট্টগ্রামের ফ্যাঞ্চাইজির মালিকানা আক্তার গ্রুপের। তারা দলটির নাম দিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সর্বশেষ বিপিএলেও চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজি ছিল তাদের কাছে।

বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে একজন দেশি ও তিনজন করে বিদেশি ক্রিকেট নেওয়ার সুযোগ ছিল সবার। চট্টগ্রাম এই সুযোগ গ্রহণ করে শুরুতেই দলে নেয় 'বি' ক্যাটাগরিতে থাকা নাসুমকে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সিনিয়র তারকাদের দিকে নজর দেয়নি তারা। নাসুম টি-টোয়েন্টিতে নিঃসন্দেহে ঘরের মাঠে খুব কার্যকর বোলার। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কয়েকজন বাঁহাতি স্পিনার থাকায় এই জায়গা ড্রাফট থেকেও পূরণ করতে পারত। তবে বিপিএলে সবশেষ আসরেও নাসুম তাদের দলের হয়ে দারুণ খেলেছিলেন। সেটি মাথায় রেখেই হয় নাসুমকে কোনভাবেই হাতছাড়া করতে চায়নি তারা। 

যে তিনজন বিদেশি তারা দলে নিয়েছে তাদের কেউই বড় কেউ নন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেনার লুইসের সঙ্গে আছে ইংল্যান্ডের বেনি হাওয়েল ও উইল জ্যাকস। বাংলাদেশের মন্থর উইকেট বিবেচনায় তারা কেমন করবেন সেই প্রশ্ন তোলাই যায়।

ড্রাফটে তরুণদের দিকে ঝোঁক বেশি ছিল চট্টগ্রামের। যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের শরিফুল ইসলাম, শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও আকবর আলিকে দলে নিয়েছে তারা। চোটের কারণে সেই বিশ্বকাপ খেলতে না পারা পেস অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীও গেছেন তাদের দলে।

পেস আক্রমণে রেজাউর রহমান রাজা, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধরাও তরুণই। জাতীয় দলের আফিফ হোসেন ধ্রুব নিশ্চিতভাবেই সেরা পছন্দ। তবে তাকে সরাসরি না নিয়ে ড্রাফট থেকে নেওয়ার ঝুঁকি নিয়েছে চট্টগ্রাম।

অনেক তরুণের ভিড়ে দেশের ক্রিকেটের অভিজ্ঞদের  একজন নাঈম ইসলামকে দলে নেওয়ায় বেশ চমকের। মূলত দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে প্রমাণিত ব্যাটসম্যান নাঈমের টি-টোয়েন্টি স্কিলে আস্থা রেখেছে তারা। আস্থা রেখেছে ঘরোয়া ক্রিকেটেও কোথাও ছন্দ রাখতে না পারা সাব্বির রহমানের উপরও। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিবেচিত না হলেও ঘরোয়া পর্যায়ে মেহেদী হাসান মিরাজ রাখতে পারেন বড় ভূমিকা। তার চার ওভার অফ স্পিনের পাশাপাশি ব্যাটিংটাও কাজে লাগবে চট্টগ্রামের।

বিদেশিদের মধ্যে ড্রাফট থেকে দুই ক্যারিবিয়ান চ্যাডউইক ওয়ালটন ও রায়াদ এমরিটকে বেছেছে চট্টগ্রাম। দুজনই মাঝারি মানের খেলোয়াড়।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জন্য প্রথমে বড় চ্যালেঞ্জ অধিনায়ক বাছাই। সিনিয়র হিসেবে নাঈম পেতে পারেন দায়িত্ব। তবে টি-টোয়েন্টির ছন্দ বিচারে তার আগে একাদশে জায়গাটা নিশ্চিত করতে হবে, সাব্বির কোন পর্যায়েই অধিনায়কত্ব করেননি। তার সম্ভাবনা তাই নেই।

এছাড়া মিরাজ ও আকবরের নাম আসবে। দুজনেই যুব পর্যায়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মিরাজের বিপিএলেও অধিনায়কত্বের নজির আছে। এই দুজন থেকে কাউকে বেছে নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স স্কোয়াড:

সরাসরি: নাসুম আহমেদ, কেনার লুইস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), বেনি হাওয়েল (ইংল্যান্ড), উইল জ্যাকস (ইংল্যান্ড)।

ড্রাফট থেকে দেশি: শরিফুল ইসলাম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, রেজাউর রহমান রাজা, সাব্বির রহমান, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, মেহেদী হাসান মিরাজ, আকবর আলী ও নাঈম ইসলাম।

ড্রাফট থেকে বিদেশি: চ্যাডউইক ওয়ালটন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), রায়াড এমরিট (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।

Comments

The Daily Star  | English

Awami League tenure: ACC probing 15yrs of financial irregularities

The Anti-Corruption Commission (ACC) has launched an investigation into alleged corruption by individuals, financial institutions, industrial groups, and loan defaulters during the Awami League’s 15-year tenure, which it claims led to the destruction of the country’s financial system.

5h ago