দিল্লিকে হারিয়ে ফাইনালে চেন্নাই

গ্রুপ পর্বের দুটি লড়াইয়েই চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে তাদের বিপক্ষে পেরে উঠল না দলটি। তাদের হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিল চেন্নাই।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭২ রান করে দিল্লি। জবাবে ২ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় হলুদ জার্সিধারীরা।
তবে হারলেও ফাইনালে ওঠার দ্বিতীয় সুযোগ পাচ্ছে দিল্লি। এলিমিনেটর রাউন্ডে জয়ী দলের সঙ্গে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মোকাবেলা করবে দলটি।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই ফাফ দু প্লেসির উইকেট হারায় চেন্নাই। তবে দ্বিতীয় উইকেটে রবিন উথাপ্পার সঙ্গে সঙ্গে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের দারুণ এক জুটিতে পাল্টে দেয় সব। ১১০ রানের জুটিতে দলকে জয়ের গড়ে দেন এ দুই ব্যাটসম্যান। এরপর অবশ্য এ জুটি ভাঙতেই ৬ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে দলটি।
এরপর মইন আলীর সঙ্গে ৩০ রানের জুটিতে সে চাপ সালে নেন ঋতুরাজ। এরপর এ দুই ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেলেও বাকি কাজ রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে শেষ করেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস খেলেন ঋতুরাজ। ৫০ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ ওপেনার। ৪৪ বলে ৬৩ রান আসে উথাপ্পার ব্যাট থেকে। ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া শেষ দিকে ৬ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ১৮ রানের এক কার্যকরী ইনিংস খেলেন ধোনি।
এর আগে পৃথ্বী শয়ের সুবোধে দিনের শুরুটা ইনিংসের শুরুটা ভালোই হয় দিল্লির। শেখর ধাওয়ানের সঙ্গে ৩৬ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন পৃথ্বী। তবে দলীয় ৮০ রানে পৌঁছতেই ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল দলটি। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে সিমরন হেটমায়ারকে নিয়ে দারুণ এক জুটিতে সে চাপ সামলে নেন অধিনায়ক রিশাভ পান্ত। গড়েন ৮৩ রানের দারুণ জুটি। তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেন পৃথ্বী। ৩৪ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজান এ ওপেনার। ৩৫ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে হার না মানা ৫১ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক পান্ত। ২৪ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৭ রান করেন হেটমায়ার। চেন্নাইর পক্ষে ২৯ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান জস হ্যাজলউড।
Comments