দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে নায়ক সোহান
দল ছিল খাদের কিনারে, হারের শঙ্কায় কেঁপে উঠেছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বেঞ্চ। ৮১ রানে ৫ উইকেট হারানো অবস্থা থেকে দলের হাল ধরলেন নুরুল হাসান সোহান। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে আসে ১৩৪ রানের জুটি। আর আউটই হলেন না সোহান, দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দলকে জিতিয়ে নায়ক বনেছেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি। রূপগঞ্জের ২৪৭ রান এক ওভার আগে পেরিয়ে জিতে যায় ধানমন্ডির ক্লাব। এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শিরোপার একদম কাছে চলে গেছে তারা।
দলকে জিতিয়ে ১১৮ বলে ১০ চার, ৫ ছক্কায় ১৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন সোহান। এবারের প্রিমিয়ার লিগে এটি তার প্রথম শতক।
মিরপুরের উইকেট বিচারে ২৪৮ রানের লক্ষ্য খুব সহজ ছিল না। সেটা আরও কঠিন হয়ে যায় টপ অর্ডারের ব্যর্থতায়। সাইফ হাসান, রবিউল ইসলাম রবি, ইমরুল কায়েস ফেরেন থিতু হওয়ার আগে। মোহামেডান সুপার লিগে উঠতে না পারায় প্রিমিয়ার লিগে শেখ জামালে যোগ দিয়ে এদিনই প্রথমবার নেমেছিলেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি।
৪২ বলে ৩২ রান করে তিনি ফেরেন শরিফুল্লার বলে। ৮১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ভিত নড়ে যাওয়া শেখ জামালকে ভরসা দেন সোহান-মিরাজ। বিপর্যয় ধীরে ধীরে কেটে যায় তাদের ব্যাটে। এই দুজনই রূপগঞ্জ টাইগার্সের হাত থেকে ম্যাচ ক্রমেই বের করে নিয়ে যান। ৪৭তম ওভারে মার্শাল আইয়ুবের সরাসরি থ্রোতে মিরাজ ৪৩ করে ফিরে গেলে ম্যাচ জমে উঠিয়েছিল।
তবে সমীকরণ একা হাতে সহজ করে দেন সোহান। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ২৩ রান। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধের ৪৯তম ওভারে তিন ছক্কা, ২ চারে খেলা শেষ করে দেন সোহান।
এর আগে রূপগঞ্জকে ব্যাট করতে দিয়ে চেপে ধরেছিল শেখ জামাল। রূপগঞ্জের রানের চাকা ছিল মন্থর। টপ অর্ডারে বাকিদের ব্যর্থতায় আবার দলকে টানেন জাকির হাসান। তার ৯৮ বলে ৭৫ রনের ভিতের পর শেষ দিকে ৪৩ বলে ৫০ করে দলকে অক্সিজেন যোগান পাকিস্তানি সাদ নাসিম। নাসুম আহ্মেদ ১৭ বলে ২৭ করলে আড়াইশর কিনারে গিয়েছিল টাইগার্সরা। শেষ পর্যন্ত সোহানের সেরা দিনে ওই রান হয়নি যথেষ্ট।
Comments