'ধানক্ষেতে' খেলতে দিলেও সমস্যা নেই মুমিনুলের

উপমহাদেশের দলগুলোর বিপক্ষে ঘরের মাঠেও উইকেট নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে বাংলাদেশকে। পেস সহায়ক কিংবা টার্নিং যে কোনো উইকেটই বুমেরাং হয়ে দাঁড়াতে পারে যখন তখন। ইতিহাস তাই বলে। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে উইকেট নিয়ে বিশেষ কোনো চাহিদা নেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হকের। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে যে কোনো উইকেট, এমনকি 'ধানক্ষেতে' দিলেও রাজি অধিনায়ক।

চট্টগ্রামে অবশ্য ব্যাটিং উইকেটই চেয়েছিল বাংলাদেশ। পেয়েছিলও বটে। কিন্তু লাভ হয়নি। প্রথম ইনিংসে লিড পেলেও চিরাচরিত দ্বিতীয় ইনিংসে ধস। পঞ্চম দিনে টেস্ট গড়ানো ম্যাচে হারতে হয় ৮ উইকেটে। তাই মিরপুর টেস্ট নিয়ে বাড়তি আলোচনা থাকছেই। এবারও ব্যাটিং উইকেটই প্রত্যাশা করছেন অধিনায়ক। কিন্তু এবার বাড়তি যোগ করলেন নিজেদের পেশাদারিত্বের কথা। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে যে কোনো উইকেটেই খেলতে রাজি বলে জানান তিনি।

নিজেদের মাঠে, নিজেদের কন্ডিশনে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে খেলোয়াড়দের অ্যপ্রোচ কেমন হওয়া উচিত জানতে চাইলে মুমিনুল বলেন, 'যেটা আপনি বলছেন একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে উইকেট নিয়ে অজুহাত দেওয়াটাই কোন ভাবেই কাম্য নয়। আমি নিজেও এর সঙ্গে কখনো একমত হই না। পেশাদার ক্রিকেটের হিসেবে ধানক্ষেতে খেলতে দিলে ওখানেও খেলতে হবে। আমার কাছে মনে হয় এগুলো অজুহাত হিসেব দাঁড় না করিয়ে জয়ের জন্য পেশাদার হলে আরও একটু ভালো হয়।'

অথচ অধিকাংশ সময়ই ম্যাচ হারের পর উইকেটও কাঠগড়ায় ওঠে অধিনায়কদের। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কী পেশাদারিত্বের জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি? এমন প্রশ্নে মুমিনুলের উত্তর, 'অবশ্যই, অবশ্যই পেশাদারিত্ব...। আমার কাছে তেমনটা মনে হয় না। শুধু উইকেট নিয়েইতো পেশাদারিত্ব নয়, অন্য অনেক কিছু ডিসিপ্লিন ওয়াইজ, ভালো মতো ট্রেনিং, স্পেসিফিক ট্রেনিং, প্রতিপক্ষকে চিন্তা করে কিভাবে শক্তি-দুর্বলতা চিন্তা করে কিভাবে ট্রেনিং করছে সেগুলো মিলেই কিন্তু পেশাদারিত্বের ভেতরেই থাকে। আমার কাছে মনে হয় আপনি যেটা মিন করেছেন সেটা নয়। পেশাদারিত্ব সবাই শো করছে, হয়তো কেউ সফল হচ্ছে, কেউ হচ্ছে না।'

তবে উপমহাদেশের দলগুলোর বিপক্ষে টার্নিং উইকেটে না খেলাই উচিৎ বলে মনে করেন টাইগার অধিনায়ক, 'আপনারা সবাই জানেন উপমহাদেশের দলগুলো স্পিন খুব ভালে খেলে। আমার কাছে মনে হয় উপমহাদেশের গুলোগুলোর বিপক্ষে স্পিন উইকেট না খেলাই উচিত। অনন্য সব দলই তাই করে। আমার মনে হয় ফ্লাট উইকেটই বেটার।'

তাহলে মিরপুরে কেমন উইকেট কেমন হবে? এ প্রশ্নেরও ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারেননি অধিনায়ক, 'নরমালি মিরপুরের যে উইকেট তেমনই হবে... আসলে অনুমান করা কঠিন। আমি যেটা অনুভব করি সাদা বলে এক রকম হয়। সাদা বলে দুই পাশ থেকে নতুন বল থাকে তখন বিভিন্ন কিছু ফেস করতে হয় ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু লাল বল একদিক থেকে হয়। লাল বলে সাদা বলের থেকে ভালো হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Students’ unions: Legal bars, admin delays stall polls in many universities

Of 56 public universities across the country, only seven have the legal provision for a central students' union

7h ago