নাঈমের এবার অলরাউন্ড নৈপুণ্য
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ব্যাট হাতে দুরন্ত ছন্দে থাকা অভিজ্ঞ নাঈম ইসলাম বল হাতে জ্বলে উঠেছেন। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্রাদার্স ইউনিয়নকে উড়িয়ে দিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
মঙ্গলবার নাঈম ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে টেনেটুনে দেড়শো পার করেছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। সেই মামুলি লক্ষ্যই ব্রাদার্স ইউনিয়নের জন্য হয়ে যায় পাহাড়সময়। আশরাফুলরা গুটিয়ে যান তিন অঙ্কের আগেই। ব্যাটিংয়ের বল হাতেও ঝলক দেখান অভিজ্ঞ নাঈম।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ হয়েছে একপেশে। তাতে ৮৩ রানের জয় পেয়েছে রূপগঞ্জ। আগে ব্যাট করে রূপগঞ্জের করা ১৬৮ রান টপকাতে গিয়ে মাত্র ৮৫ রানে গুটিয়ে যায় ব্রাদার্স।
ব্যাটিংয়ে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে ৪৫ রান করার পর বল হাতে ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে রূপগঞ্জের নায়ক নাঈম।
১৬৯ রানের লক্ষ্যে নেমে তৃতীয় ওভারেই ইমতিয়াজ হোসেন তান্নাকে তুলে নেন নাবিল সামাদ। এদিন তিনে নামা আশরাফুল টিকেছেন ১৩ বল। ৭ রান করে তিনি ফেরেন নাঈমের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। আরেক ওপেনার সাদিকুর রহমানকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান মাশরাফি মর্তুজা।
এরপর ব্রাদার্স ইনিংসে হানা দিতে থাকেন ভারতীয় চিরাগ জানি। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি একে একে ফেরান মাইশুকুর রহমান মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও সোহাগ গাজিকে।
৭৯ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে দিকহারা ব্রাদার্সকে দিশা দিতে পারতেন যিনি, সেই শ্রীলঙ্কান চতুরঙ্গ ডি সিলভা কাটা পড়েন নাঈমের বলে। পরে সাকলাইন সজীবকে তুলে ইনিংসও মুড়ে দেন নাঈম।
মিরপুরের উইকেটে সকালের সময়টা কাজে লাগাতে আগে প্রতিপক্ষকে ব্যাট করতে দিয়েছিল ব্রাদার্স। মোহাম্মদ ইরফান হোসেইনের তোপে সেটা কাজেই লেগেছিল। ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রূপগঞ্জ।
বাজে অবস্থায় হাল ধরে দলকে টানেন নাঈম ও সাব্বির। ৬ষ্ঠ উইকেটে এই দুজনের জুটিতে আসে ৮১ রান। ৮১ বলে ৪৫ করে সোহাগ গাজির শিকার হন নাঈম। ৫০ বলে ৪৬ করা সাব্বিরকে থামান চতুরঙ্গ। এরপর তানভীর হায়দার ১৩ বলে ১৪ করে দলকে নিয়ে যান দেড়শো ছাড়িয়ে। এই স্কোরই পরে জেতার জন্য যথেষ্ট হয়েছে তাদের।'
খেলাঘরকে হারাল শাইনপুকুর
দিনের আরেক ম্যাচে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। খেলাঘরের ২১৬ রান ৩১.৩ ওভারে পেরিয়ে জিতে যায় শাইনপুকুর
Comments