নাঈমের সেঞ্চুরি, আবু হায়দারের ৫ উইকেট

ছবি: সংগৃহীত

দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন রানের খাতা খোলার আগেই ফিরলেন সাজঘরে। টিকলেন না জুনায়েদ সিদ্দিকিও। দলের বিপর্যয়ে হাল ধরে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার নাঈম ইসলাম। প্রথমে অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুবকে সঙ্গী হিসেবে পেলেন তিনি। পরে জুটি বাঁধলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের সঙ্গে। নাঈমের ব্যাটে চড়ে চাপ সামলে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে বড় সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছে বিসিবি উত্তরাঞ্চল। আরেক ম্যাচে একাদশে ফেরা পেসার আবু হায়দার রনির তোপে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলকে আড়াইশর নিচে গুটিয়ে দিয়েছে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল।

রোববার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিনে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ২৪৬ রান তুলেছে উত্তরাঞ্চল। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ২৮তম সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে নাঈম অপরাজিত আছেন ১২৬ রানে। ২৯৭ বলের ইনিংসে তিনি মেরেছেন ১৪ চার ও ১ ছয়। ফিফটি তুলে নিয়ে অঙ্কন খেলছেন ৫৩ রানে। তার ১৩৪ বলের ইনিংসে চার ৪টি।

অফ স্পিনার নাহিদুল ইসলাম শুরুতেই কাঁপিয়ে দেন উত্তরাঞ্চলকে। ম্যাচের প্রথম ওভারে তিনি বোল্ড করেন তামিমকে। নিজের পরের ওভারে ইমনকে ফরহাদ রেজার ক্যাচ বানান তিনি। ৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর বিপদ বাড়িয়ে সাজঘরে ফেরেন জুনায়েদ। ৩৯ বলে ১৫ রান করে নাসুম আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এরপর শুরু হয় নাঈমের পাল্টা লড়াই।

২৪ রানে ৩ উইকেট পতনের পর চতুর্থ উইকেটে ৯০ রানের জুটি পায় উত্তরাঞ্চল। ৭৩ বলে ৪৭ রান করে শেখ মেহেদীর শিকার হয়ে মার্শাল বিদায় নিলে মাঠে নামেন অঙ্কন। তার সঙ্গেও জমে ওঠে নাঈমের জুটি। দিনশেষে তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ১৩২ রান। ১৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করা নাঈম সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ২৫১ বলে। অঙ্কন ফিফটি স্পর্শ করেন ১২৯ বলে।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ২৪৫ রানে। জবাবে বিনা উইকেটে ৪ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করেছে মধ্যাঞ্চল। ক্রিজে আছেন মিজানুর রহমান ও মোহাম্মদ মিঠুন। দুজনেরই সংগ্রহ ২ রান করে। এর আগে আবু হায়দার ৫ উইকেট নেন ৯৩ রানে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট দখল করেন তিনি।

শুরুতেই মোহাম্মদ আশরাফুলের উইকেট হারায় পূর্বাঞ্চল। শূন্য রানে রবিউল হকের বলে মিজানুরের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। থিতু হয়ে যাওয়া আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েসকেও ইনিংস লম্বা করতে দেননি রবিউল। ৬০ বলে ৩২ রান করা ইমরুলের বিদায়ে ভাঙে শাহাদাত হোসেন দিপুর সঙ্গে তার ৫১ রানের জুটি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিতে থাকে মধ্যাঞ্চল।

ইরফান শুক্কুরকে ফিরিয়ে উইকেট উৎসবে যোগ দেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর জায়গায় ফেরা আবু হায়দার। পরের ওভারে হাসান মুরাদের শিকার হয়ে ডাক মেরে বিদায় নেন আফিফ হোসেন। এক প্রান্ত আগলে থাকা দিপুকেও সাজঘরে পাঠান মুরাদ। ১৩২ বলে ১০ চারের সাহায্যে ৭২ রান করেন দিপু। মাঝারি ইনিংস খেলা নাদিফ চৌধুরী ও প্রিতম কুমার আবু হায়দারের বলে আউট হওয়ার পর এনামুল হককে দ্রুত ছাঁটেন মুরাদ। নাদিফ ৬২ বলে ২৬ ও প্রিতম ৬২ বলে ৩০ রান করেন।

নবম উইকেটে নাঈম হাসান ও তানভীর ইসলাম ৫৯ রানের জুটি গড়লে পূর্বাঞ্চলের সংগ্রহ পৌঁছায় ২৪৫ পর্যন্ত। তিন বলের মধ্যে তানভীর ও আসাদুজ্জামান পায়েলকে ফিরিয়ে আবু হায়দার পূরণ করেন ৫ উইকেট। নাঈম ৭৫ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। তানভীর ৪৮ বল খেলে করেন ২০ রান। বাঁহাতি স্পিনার মুরাদ ৪৭ রানে নেন ৩ উইকেট।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago