নাঈম-পারভেজের ফিফটিতে মোস্তাফিজদের উড়িয়ে দিল উত্তরাঞ্চল

বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলাম ও বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম দাগলেন তোপ। তাতে শেষদিকে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটিং লাইনআপ। এরপর সহজ লক্ষ্য তাড়ায় ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও নাঈম ইসলাম করলেন ফিফটি। অনায়াসে জয় তুলে নিয়ে স্বাধীনতা কাপে শুভ সূচনা করল বিসিবি উত্তরাঞ্চল।
রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে ৮ উইকেটে জিতেছে মার্শাল আইয়ুবের দল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪২.৪ ওভারে মাত্র ১৬২ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চল। জবাবে ১১৪ বল হাতে রেখে মাত্র ২ উইকেট খুইয়ে জয় নিশ্চিত করে উত্তরাঞ্চল।
জয়ী দলের হয়ে সানজামুল ৩৯ রানে নেন ৩ উইকেট। তিনি একই ওভারে তৌহিদ হৃদয়, ফরহাদ রেজা ও নাসুম আহমেদকে সাজঘরে পাঠিয়ে প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে দেন। শেষটা মুড়িয়ে দেওয়া শফিকুল ৩ উইকেট পান ২৯ রানে। ২ উইকেট শিকারের পর ৮৪ বলে ৯ চারে অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংসে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন নাঈম। পারভেজ আউট হন ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৪ বলে ৫৪ রান করে।
চতুর্থ ওভারেই এনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারায় দক্ষিণাঞ্চল। শফিকুলের বলে উইকেটরক্ষক আকবর আলীর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। রানআউটে কাটা পড়ে টিকতে পারেননি মাইশুকুর রহমান। ধাক্কা সামলে তৃতীয় উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়েন ওপেনার পিনাক ঘোষ ও হৃদয়।
পিনাককে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন নাঈম। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। ৭৬ বলের ইনিংসে ৬ চার মারেন তিনি। অধিনায়ক জাকির হাসানও নাঈমের বলে স্টাম্প খুইয়ে থিতু হতে পারেননি।
এক পর্যায়ে, দক্ষিণাঞ্চলের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৪০ রান। তখনও ১৫ ওভারের বেশি বাকি থাকায় লড়াইয়ের পুঁজি পাওয়া ছিল খুবই সম্ভব। কিন্তু শেখ মেহেদী হাসান অভিজ্ঞ পেসার শফিউল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার পর মড়ক লাগে দলটির ইনিংসে।
পরের ওভারে সানজামুল দেখান ঘূর্ণি জাদু। ৭৭ বলে ৩ চারে সাহায্যে ৫৫ রান করা হৃদয়কে বোল্ড করেন তিনি। ফরহাদ ও নাসুমকে খুলতে দেননি রানের খাতা। কামরুল ইসলাম রব্বি ও মোস্তাফিজুর রহমানকে আউট করে দক্ষিণাঞ্চলের দুর্দশা থামান শফিকুল। শেষ ৬ উইকেট তারা হারায় মাত্র ২২ রানে।
জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে শেখ মেহেদীর শিকার হন তানজিদ হাসান তামিম। এরপর দুটি ভালো জুটিতে উত্তরাঞ্চলকে জয় পাইয়ে দেন নাঈম। প্রথম পারভেজের সঙ্গে ৯১ রান যোগ করেন তিনি। পরে অধিনায়ক মার্শালের সঙ্গে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ৬৬ রানের জুটি। মার্শাল অপরাজিত থাকেন ৪১ বলে ৩২ রানে। ৭ ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন মোস্তাফিজ।
Comments