নিউজিল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করল ভারত
বিশাল জয়ের পথটা আগের দিনই তৈরি করে রেখেছিল ভারত। চতুর্থ দিনে নেমে কাজটা হয়ে গেল অতি দ্রুত। এদিন অফ স্পিনার জয়ন্ত যাদবের তোপে কেবল ৬৯ বল টিকতে পারল নিউজিল্যান্ড, যোগ করল মাত্র ২৭ রান। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট তোলা আরেক অফ স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন দ্বিতীয় ইনিংসেও নিলেন ৪ উইকেট।
মুম্বাইতে সোমবার চতুর্থ দিন বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। ভারতের দরকার ছিল ৫ উইকেট। হাতে ওই ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জিততে নিউজিল্যান্ডের আরও ৪০০ রান করতে হতো। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা ১৬৭ রানে গুটিয়ে ম্যাচ হেরেছে ৩৭২ রানের বিশাল ব্যবধানে।
এই জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজও ১-০ ব্যবধানে জিতল বিরাট কোহলির দল।
প্রথম ইনিংসে ভারতের ৩২৫ রানের জবাবে মাত্র ৬২ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। তখনই পরিষ্কার হয়ে যায় ম্যাচের গতিপথ। ২৬৩ রানের লিডের সঙ্গে আরও ২৭৬ যোগ করে ইনিংস ছেড়ে দেয় ভারত।
৫৪০ রানের অবিশ্বাস্য লক্ষ্যে নেমে তৃতীয় দিনেই হারের পথে চলে যায় সফরকারীরা। ৫ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে নেমে চতুর্থ দিন সকালে আরও ২২ রান যোগ করেন হেনরি নিকোলস ও রাচীন রবীন্দ্র। এরপরই নামে ধস। ৫০ বলে ১৮ করা রাচীনকে ফেরান জয়ন্ত যাদব। এরপর কাইল জেমিসন, টিম সাউদি, উইলিয়াম সামারবিলদের ছেঁটে ফেলেন তিনি।
অশ্বিন এসে নিকোলসকে তুলে মুড়ে দেন নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। ৫ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
অথচ ম্যাচটি স্মরণীয় হবে এক কিউই ক্রিকেটারের জন্যই। ভারতের প্রথম ইনিংসের সবগুলো উইকেট নিয়ে জিম লেকার, অনিল কুম্বলের পর ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার ইতিহাসে নাম লেখান এজাজ প্যাটেল। বাঁহাতি এই স্পিনার দ্বিতীয় ইনিংসেও নেন ৪ উইকেট। তবে তার এই অবিশ্বাস্য কীর্তি ম্যাচে কোন প্রভাব রাখতে পারল। এমন পারফরম্যান্সের পরও তাই তিনি ম্যাচ সেরা নন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ২১২ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ভারতের মায়াঙ্ক আগারওয়াল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত প্রথম ইনিংস: ৩২৫
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৬২
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস: ২৭৬/৭ (ডি.)
নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ৫৪০, আগের দিন ১৪০/৫) ৫৬.৩ ওভারে ১৬৭ (নিকোলস ৪৪, রবীন্দ্র ১৮, জেমিসন ০, সাউদি ০, সমারভিল ১, এজাজ ০*; সিরাজ ০/১৩, অশ্বিন ৪/৩৪, আকসার ১/৪২, জয়ন্ত ৪/৪৯, উমেশ ০/১৯)।
ফল: ভারত ৩৭২ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: মায়াঙ্ক আগারওয়াল।
সিরিজ: ভারত ১-০ ব্যবধানে জয়ী।
Comments