নিজেদের ভুলটা বুঝতে পেরেছেন লিটন

সিরিজটা টি-টোয়েন্টি হলেও সাম্প্রতিক সময়ে মিরপুর শেরে বাংলায় মন্থর-টার্নিং উইকেটে খেলা হচ্ছে। এখানে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের চেয়ে দেখেশুনে স্মার্ট ব্যাটিংই এ উইকেটে জয়ের মূলমন্ত্র। স্বাগতিক দল হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই এটা খুব ভালো করে জানার কথা বাংলাদেশ দলের। তবে আগের দিন সে পথে হাঁটেনি। ফলে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে দেরিতে হলেও নিজেদের ভুলটা বুঝতে পেরেছেন টাইগাররা। এমনটাই বলেছেন দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যান লিটন দাস।
ব্যাটসম্যানরা আরও দায়িত্ব দিয়ে খেলতে পারলে ফলাফল ভিন্ন কিছু হতে পারতো বলে মনে করেন এ ওপেনার, 'আমি আর নাঈম শুরুটা ভালো করেছিলাম, যদি ওই জায়গাটায় আরেকটু সেন্সিটিভ ক্রিকেট খেলতে পারতাম, আরেকটু দায়িত্ব নিতে পারতাম, জিনিসটা সহজ হয়ে যেত। কারণ দ্বিতীয় ম্যাচেও আমার ও নাঈমের ভালো একটা জুটির কারণে পরের ব্যাটসম্যানরা সহজ ব্যাটিং করতে পেরেছে। এরকম সুযোগ আসলে পরের বার চেষ্টা করবো ইনিংসটা বড় করার জন্য।'
প্রথম ম্যাচে সহজ জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেতে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছিল টাইগারদের। আর তৃতীয় ম্যাচে বিশাল ব্যবধানেই হারে তারা। ১২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে মাত্র ৭৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। যা ঘরের মাঠে নিজেদের সর্বনিম্ন রান। সবমিলিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।
তবে লো স্কোরিং ম্যাচে কীভাবে ব্যাট করতে হবে, কীভাবে রান তুলতে হবে সে বুঝটা পেয়েছেন টাইগাররা। লিটনের ভাষায়, 'আমার কাছে যে জিনিসটা মনে হয়, যেহেতু লো স্কোরিং ম্যাচ হচ্ছে তো স্কোর করাটা এত সহজ না। ওভার বাউন্ডারি বা এমনি বাউন্ডারি মারাটা অনেক কঠিন। আমার কাছে মনে হয় সিঙ্গেলসে একটু বেশি ফোকাস দিতে হবে। রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে একটু বেশি ফোকাস দিতে হবে।'
তবে মিরপুরের উইকেটে ব্যাটিংটা যে বেশ কঠিন তা জানালেন এ ব্যাটসম্যান, 'ব্যাটিং কন্ডিশন একটু তো চ্যালেঞ্জিং। কারণ গত ৩ টা ম্যাচই দেখেন লো স্কোরিং ছিল। শুধু আমরা না, ওদের ব্যাটসম্যানরাও ভুগেছে। এটা তো চ্যালেঞ্জিং বিষয়, কারণ টি-টোয়েন্টিতে সবসময় মাইন্ড সেটাপ থাকে বড় স্কোর করার বা স্ট্রাইক রেটটা মেইনটেইন করার। যেহেতু এ জিনিসটা হচ্ছে না, গেমটা চেঞ্জ করতে হচ্ছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এরকম উইকেটে সেটা ম্যানেজ করে নেওয়া একটু কঠিন। কারণ প্রতিটি ব্যাটসম্যানই একটু আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকে।'
আগের তিনটি ম্যাচ এক দিনের বিরতিতে হলেও চতুর্থ ম্যাচের আগে একদিন বেশি বিরতি রয়েছে। তাই আজ অনুশীলনে নামেনি বাংলাদেশ দল। তবে আনুষ্ঠানিক অনুশীলন না থাকলেও জিমে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন বলে জানান লিটন, 'আজকে অনুশীলন ছিল না, ছুটির দিন ছিল। কাল (মঙ্গলবার) অনুশীলন আছে, আসলে একদিন পর পর খেলা হলে, একটা ব্রেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই টিম ওয়াইজ ফিটনেসে অনেক মনোযোগ দিচ্ছি, জিম করছি। কারণ স্ট্রেন্থ অনেক বেশি দরকার, আমার মনে হয় জিম থেকে এ জিনিসটা পাওয়া যায়।'
Comments