‘ফাঁদে পা দিয়ে’ নিষিদ্ধ হচ্ছেন, জানালেন টেইলর

জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ব্র্যান্ডন টেইলর এক টুইটে দিয়েছেন বিস্ফোরক তথ্য। স্পট ফিক্সিং অ্যাপ্রোচের পরও আইসিসির দুর্নীতি বিভাগকে না জানিয়ে ফাঁদে পা দিয়েছেন। ফলে একাধিক বছরের জন্য সব ধরণের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন তিনি।
সোমবার নিজের স্বীকৃত টুইটার আইডি থেকে চার পৃষ্ঠার দীর্ঘ বিবৃতি দেন টেইলর। তাতে তিনি দাবি করেন ২০১৯ সালে ভারতীয় এক ব্যবসায়ীর ফাঁদে পা দিয়েছিলেন। ব্ল্যাকমেইলের শিকার হওয়ায় স্পট ফিক্সিং অ্যাপ্রোচের পরও সেটা লুকিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। যদিও তার দাবি, তিনি কখনো ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত হননি।
টেইলরের ভাষ্যমতে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারতীয় এক ব্যবসায়ী তাকে জিম্বাবুয়েতে একটি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা আয়োজনে স্পন্সর হওয়ার কথা বলে ভারতে এক পার্টিতে আমন্ত্রণ জানান। সন্দেহজনক হলেও টেইলর পার্টিতে যোগ দেন। প্রাথমিকভাবে তাকে ১৫ হাজার ডলার দেওয়া হলে তিনি তা গ্রহণ করেন।
To my family, friends and supporters. Here is my full statement. Thank you! pic.twitter.com/sVCckD4PMV
— Brendan Taylor (@BrendanTaylor86) January 24, 2022
টেইলর জানান, ওই রাতে তাকে কোকেন দেওয়া হলে তিনি 'বোকার মতো' তাও গ্রহণ করেন। কিন্তু তা গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা হয়। পরের সকালে সেই ভিডিও দেখিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। বলা হয় তিনি যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিং না করেন তাহলে তা প্রকাশ করা হবে, 'আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমার হোটেল রুমে ৬জন ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিল। আমি আমার নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। এবং আমি সেই ফাঁদে পা দেই।' টেইলর জানান, ড্রাগ গ্রহণের কারণে পুনর্বাসন কেন্দ্রেও যেতে হচ্ছে তাকে। ২৫ জানুয়ারি থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এই টুইটের পর এখনো পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি আইসিসি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে আইসিসির দুর্নীতি বিভাগ।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে যান টেইলর। তবে নিষিদ্ধ হলে কোন ধরণের ক্রিকেটে, কোন ভূমিকাতেই অংশ নিতে পারবেন না তিনি।
Comments