ফের সেঞ্চুরি হাতছাড়া কোহলির

সবশেষ ওই ২০১৯ সালে কলকাতায় বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি। এরপর ২৮টি ইনিংস খেলে ফেলেছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু আর তিন অঙ্ক ছোঁয়া হয়নি তার। আজও কেপটাউনে আশা জাগিয়ে হাতছাড়া করেছেন আরও একটি সেঞ্চুরি। তবে অধিনায়কের লড়াইয়ে প্রথম ইনিংসে সম্মানজনক স্কোর তুলতে পেরেছে ভারত।
নিউল্যান্ডসে মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনে ২২৩ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের প্রথম ইনিংস। আর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেটে ১৭ রান তুলে দিন শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
জিতলেই নতুন ইতিহাস গরবে ভারত। প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে সিরিজ জয়ের হাতছানি। এমন ম্যাচে ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরে একাই লড়াই করেছেন কোহলি। কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে সে অর্থে ভালো সহায়তা না পাওয়ায় প্রথম ইনিংসের বড় পুঁজি মিলেনি সফরকারীদের।
এদিন একাদশে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে ভারত। হনুমা বিহারির জায়গায় ফিরে আসেন অধিনায়ক কোহলি। আর চোটগ্রস্ত সিরাজের বদলে জায়গা পান উমেশ যাদব। তবে অধিনায়কের ফিরে আসায় জ্বলে উঠতে পারেনি দলের ব্যাটাররা। যা করার ওই অধিনায়কই করলেন।
ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে ভারতের প্রয়োজন ছিল একটি দারুণ সূচনা। তবে তা এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল। দলীয় ৩৩ রানেই সাজঘরে ফিরে যান এ দুই ব্যাটার। এরপর চেতশ্বর পুজারাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক কোহলি। ভালো জুটিও বেঁধেছিলেন তারা। তৃতীয় উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৬২ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার।
পুজারাকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন মার্কো জানসেন। এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আজিঙ্কা রাহানেও। পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক কোহলিকে কিছুটা সঙ্গ দিয়ে প্রতিরোধ গড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রিশাভ পান্ত। ৫১ রানের জুটিও গড়েন তারা। কিন্তু এ জুটি ভাঙতে এক প্রান্তে আসা যাওয়ার পালা শুরু হয় সফরকারীদের। অপর প্রান্তটি অবশ্য আগলে রেখেছিলেন কোহলি।
বেশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে এক প্রান্ত আগলে রাখেন অধিনায়ক। ১৫৮ বলে আসে তার ফিফটি। ততোক্ষণে ভারতের প্রথম সারীর পাঁচ ব্যাটার সাজঘরে। কিন্তু এরপর সতীর্থদের তেমন সহায়তা পেলেন না। দুই প্রান্ত আগলে রাখার লড়াইয়ে দলীয় ২১১ রানে ভাঙে কোহলির প্রতিরোধও। কাগিসো রাবাডার অফস্টাম্পের বাইরে রাখা বলে ব্যাট ছোঁয়াতে গিয়ে ভুলটা করে ফেলেন অধিনায়ক।
তবে এর আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। ২০১ বলে ৭টি চারের সাহায্যে করেন ৭৯ রান। ৭৭ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৪৩ রান করেন পুজারা। পান্ত করেন ২৭ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৭৩ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান রাবাডা। জানসেন ৫৫ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগারের উইকেট হারিয়ে ১৭ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এইডেন মার্করাম ৮ ও নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নামা কেশভ মহারাজ ৬ রানে উইকেটে আছেন।
Comments