বর্তমানে মন দিয়ে ভবিষ্যতেও চোখ মাহমুদউল্লাহর
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই মূলত বিশ্বকাপের পথে প্রস্তুতিটা শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের। শুধু সিরিজ জেতাই নয়, দলের সমন্বয় খুঁজে বের করার কাজটাও করতে হবে। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর তাই বর্তমান আর ভবিষ্যৎ দুই চিন্তাই মাথায় রাখতে হচ্ছে।
জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে একমাত্র টেস্টে জেতার পর ওয়ানডে সিরিজেও স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশড করে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি লড়াই।
এই সিরিজ পর দেশে ফিরেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আছে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ, পরের মাসে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
ঈদের দিনে অনুশীলন সেরে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানান বর্তমানে থেকেও ভবিষ্যততেও নজর থাকছে তাদের, ‘বিশ্বকাপের আগে সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আমাদের ১৬টি ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের বর্তমানে থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ। বাকি সিরিজগুলোতে অবশ্যই নজর থাকবে কিন্তু এখন ফোকাস করছি কালকের ম্যাচটা নিয়ে।’
টেস্ট ও ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের যেভাবে হারানো গিয়েছে, টি-টোয়েন্টিতে তা নাও হতে পারে। প্রতিপক্ষের কাছ থেকে তাই কঠিন চ্যালেঞ্জই প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ।
পারিবারিক কারণে এই সিরিজে বাংলাদেশ পাচ্ছে না মুশফকুর রহিমকে। হাঁটুর চোটের জন্য নেই তামিম ইকবালও। এই দুজনের না থাকা বাকিদের জন্য সুযোগ হিসেবে দেখছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘আমরা তামিম ও মুশফিককে অবশ্যই মিস করব। আমাদের দলের জন্য তারা অনবদ্য খেলোয়াড়। তারপরও বলব এটা অন্যদের জন্য এবং আমাদের সবার জন্য সুযোগ। জিম্বাবুয়ে তাদের মাঠে খুব ভাল দল। আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলেই ওদের হারাতে হবে।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক মনে করেন সিরিজের অন্য দুই সংস্করণে দল ভালো করায় আত্মবিশ্বাস আছে ভরপুর। তা নিয়েই শেষটাও রাঙাবেন তারা, ‘টেস্টে আমরা ভাল খেলে জিতেছি, তিনটা ওয়ানডে জিতেছি। আমাদের ব্যাটসম্যান ও বোলাররা ভাল করেছে। সবার আত্মবিশ্বাস আছে। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেন কাল ফলটা নিজেদের পক্ষে আনতে পারি।’
বৃহস্পতিবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বিকেল সাড়ে চারটায় শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার প্রথম টি-টোয়েন্টি। শুক্রবার একই সময়ে হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। সিরিজের শেষ ম্যাচ ২৫ জুলাই।
Comments