বুমরাহর তোপে বিধ্বস্ত ইংল্যান্ড

বল হাতে রীতিমতো রুদ্ররূপ ধারণ করলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে প্রায় একাই গুঁড়িয়ে দিলেন ইংল্যান্ডকে। তাকে দারুণ সঙ্গ দিলেন মোহাম্মদ শামি। এরপর ওপেনিং জুটিতেই লক্ষ্য পার। সবমিলিয়ে সফরকারী ভারতের সঙ্গে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে পাত্তাই পেল না স্বাগতিকরা।

মঙ্গলবার ওভালে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৫.২ ওভারে মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। এরপর লক্ষ্য তাড়ায় ১৮৮ বল হাতে থাকতেই হেসেখেলে জয় পায় সফরকারীরা।

মূলত বুমরাহের ভয়ঙ্কর এক স্পেলেই ধসে পড়ে ইংল্যান্ড। আট ওভারের মধ্যে সাজঘরে পাঁচ ব্যাটার। দলীয় রান তখন মাত্র ২৬। এরমধ্যে তো চার খেলোয়াড় রানের খাতাই খুলতে পারেনি। জেসন রয়, জো রুট, বেন স্টোকস ও লিয়াম লিভিংস্টোনের ব্যাটাররা ফিরেছেন খালি হাতে। জনি বেয়ারস্টো ৭ রান করেছেন ২০ বলে।

এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মইন আলী ও অধিনায়ক জস বাটলারও। এ দুই ব্যাটার অবশ্য দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন শামির শিকার হন বাটলার। এর আগে ব্যক্তিগত ১৪ রানে প্রসিধ কৃষ্ণার শিকার হন মইন।

তবে অষ্টম উইকেটে ব্র্যাডন কার্সকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ করেন ডেভিড উইলি। স্কোরবোর্ডে ৩৫ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। মূলত এ জুটিতে ভর করেই শতরান পার করতে পারে দলটি।  শেষ পর্যন্ত ১১০ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।

ভারতের বিপক্ষে এটাই সর্বনিম্ন স্কোর ইংলিশদের। এর আগে ২০০৬ সালে জয়পুরে ১২৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল দলটি। এতদিন এটাই ছিল সর্বনিম্ন স্কোর।

এদিন মাত্র ১৯ রানের খরচায় একাই ছয়টি উইকেট নেন বুমরাহ। মূলত এতেই কাবু স্বাগতিকরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে এটাই সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে ২০০৩ সালে ইংলিশদের বিপক্ষে ২৩ রানে ৬টি উইকেট নিয়েছিলেন আশিস নেহরা।

তবে বুমরাহর দিনে দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন শামি। ৩১ রানের বিনিময়ে তিনি পান ৩টি উইকেট। ফেরান বেন স্টোকস, জস বাটলার ও ক্রেইগ ওভার্টনকে। তাতে দ্রুততম ভারতীয় বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ১৫০ উইকেটের মাইলফলক টপকে যান। ৮০ ম্যাচ খেলে ৭৯ ইনিংসে এ কীর্তি গড়েন তিনি।

এতদিন ৯৭ ইনিংসে দেড়শ উইকেট নিয়ে ভারতের হয়ে দ্রুততম ছিলেন অজিত আগারকার। তবে সবমিলিয়ে তৃতীয় শামি। ৭৭ ম্যাচে ১৫০ উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। পাকিস্তানের সাকলাইন মুস্তাক দেড়শ উইকেট পেয়েছেন ৭৮টি ম্যাচে।

১১১ রানের সাদামাটা লক্ষ্য তাড়ায় নেমে কোনো ঝামেলায় পড়তে হয়নি ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ানের। ১৮.৪ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছান। ধাওয়ান স্বাভাবিক ব্যাটিং চালালেও রোহিত খেলেন টি-টোয়েন্টি স্টাইলে। ৫৮ বলে হার না মানা ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক। ৭টি চার ও ৫টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৫৪ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন ধাওয়ান।

Comments

The Daily Star  | English
Banks deposit growth in 2024

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

13h ago